গণিতের সকল সূত্র সমূহ PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় All Math Formula in Bengali PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি গণিতের সকল সূত্র সমূহ PDF.
নিচে গণিতের সকল সূত্র সমূহ PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। All Math Formula in Bengali PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।
Google News এ আমাদের ফলো করুন
গণিতের সকল সূত্র সমূহ PDF | All Math Formula in Bengali – পাটিগণিত | বীজগণিত | ত্রিকোনমিতি | পরিমিতি
গণিত (Mathematics): পরিমাণ, সংগঠন, পরিবর্তন ও স্থান বিষয়ক গবেষণা। গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা।
১৭শ শতক পর্যন্তও কেবল পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতিকে গাণিতিক শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হত। সেসময় গণিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চেয়ে কোন পৃথক শাস্ত্র ছিল না। গাণিতিক শাস্ত্রগুলির গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, মুসলিম পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, এবং খ্রিস্টান পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন। ১৭শ শতকে এসে আইজাক নিউটন ও গটফ্রিড লাইবনিৎসের ক্যালকুলাস উদ্ভাবন এবং ১৮শ শতকে অগুস্তঁ লুই কোশি ও তাঁর সমসাময়িক গণিতবিদদের উদ্ভাবিত কঠোর গাণিতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলির উদ্ভাবন গণিতকে একটি একক, স্বকীয় শাস্ত্রে পরিণত করে। তবে ১৯শ শতক পর্যন্তও কেবল পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ ও প্রকৌশলীরাই গণিত ব্যবহার করতেন।
১৯শ শতকের শুরুতে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের যে আধুনিক ধারা সূচিত হয়, সে-সংক্রান্ত গবেষণাগুলির ফলাফল প্রকাশের জন্য জটিল গাণিতিক মডেল উদ্ভাবন করা হয়। বিশুদ্ধ গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় জোয়ার আসে। অন্যদিকে ২০শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে কম্পিউটারের আবিষ্কার এ-সংক্রান্ত সাংখ্যিক পদ্ধতিগুলির গবেষণা বৃদ্ধি করে।
গণিতের প্রধান শাখা
গণিতের প্রধান শাখাগুলো হলো: (ক) পাটিগণিত (খ) বীজগণিত (গ) জ্যামিতি।
পাটিগণিত
পাটিগণিত হলো সংখ্যার বিজ্ঞান।
বীজগণিত
ইংরেজি অ্যালজেব্রার প্রতিশব্দ বীজগণিত। অ্যালজেব্রা (Algebra) শব্দটি এসেছে আরবি “অ্যালজাবের” শব্দ থেকে, যার অর্থ “ভাঙ্গা হাড় জোড়া দেয়া”।
জ্যামিতি
“জ্যামিতি” গণিত শাস্ত্রের একটি প্রাচীন শাখা, জ্যামিতি হলো বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও তাদের সম্পর্কের বিজ্ঞান।
জ্যামিতি দুই প্রকার। যথা:
ক) ইউক্লিডীয় জ্যামিতি খ) বিশ্লেষণ জ্যামিতি
বর্তমান গণিতের কিছু শাখা, যেমন – গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞান, স্বতঃসিদ্ধমূলক সেট তত্ত্ব, প্রমাণ তত্ত্ব, মডেল তত্ত্ব, পুনরাবৃত্তি তত্ত্ব (recursion theory) ইত্যাদিকে একত্রে “গণিতের ভিত্তি” নামে ডাকা হয়।
পরিমিতি
পরিমিতি হল গণিতের এক বৃহৎ শাখা যেখানে বিভিন্ন জ্যামিতিক আকৃতি সমূহের সাথে জড়িত বিভিন্ন মাপ বা মাপ-জোখগুলি নেওয়া হয়। মাপ হল কোনো বস্তু বা ঘটনার বিশেষত্ব বোঝাতে ব্যবহার করা এক সংখ্যাত্মক প্রকল্প। যার তুলনা অন্য বস্তু বা ঘটনার সঙ্গে করা যায়। মাপের পরিসর এবং তার প্রয়োগ নির্ভর করে মাপের প্রাসঙ্গিকতা এবং নিয়মানুগত্যতার ওপরে। পরিমিতির শাখাটি জ্যামিতিক আকৃতি সমূহের পরিসীমা, ক্ষেত্রফল,ঘনফল ইত্যাদির মান নির্ণয় করে।
■ আয়তক্ষেত্র
■ বর্গক্ষেত্র
■ সামান্তরিক
■ ট্রাপিজিয়াম
■ রম্বস
■ বিষমবাহু ত্রিভুজ
■ সমবাহু ত্রিভুজ
■ সমকোণী ত্রিভুজ
■ বৃত্ত
■ ঘনক
■ গোলক
■ প্রভৃতি
ত্রিকোণমিতি
ইংরেজী শব্দ Trigonometry এর বাংলা প্রতিশব্দ ত্রিকোণমিতি। ইংরেজী শব্দ Trigonometry আবার গ্রিক শব্দ “trigōnon” ত্রিভুজ ও “metron” পরিমাপ থেকে এসেছে। অর্থ্যাৎ শাব্দিক অর্থে বলা যায় ত্রিকোণমিতি অর্থ ত্রিভুজের পরিমাপ।
পিথাগোরাসের বিখ্যাত উপপাদ্য দ্বারা সমকোণী ত্রিভুজের তিনটি বাহুর মধ্যে সম্পর্ক নিরূপন করা হলেও ত্রিকোণমিতির বিশেষত্ব হলো ত্রিকোণমিতির অনুপাত এবং ত্রিকোণমিতির অভেদ গুলোর মাধ্যমে সমকোণী ত্রিভুজের বাহুর সাথে কোণ, কোণের সাথে বাহুর সম্পর্ক নিরূপন করা যায়।
গণিতের বিভিন্ন শাখার জনক
১. গণিতের জনক – Archimedes
২. পাটিগণিতের জনক -আর্যভট্ট (ভারত)
৩. বীজগণিতের জনক – মুসা আল খারিজমী
৪. জ্যামিতির জনক – ইউক্লিড (গ্রিস)
৫. ক্যালকুলাসের জনক – স্যার আইজ্যাক নিউটন (১৬০০ খ্রি.)
৬. লগারিদমের জনক – জন নেপিয়ার
৭. সংখ্যাতত্ত্ব এর জনক – পিথাগোরাস
৮. ম্যাট্রিক্স এর জনক – কেইলে
৯. ত্রিকোণমিতি এর জনক – হিপ্পারকাস
১০. পাই এর জনক – উইলিয়াম জোন্স
১১. গণনা যন্ত্র এর জনক – চার্লস ব্যাবেজ
১২. শূন্যে আবিষ্কারক – ব্রহ্মগুপ্ত ও আর্যভট্ট
১৩. আলগরিদম এর জনক – ব্রহ্মগুপ্ত
১৪. সেটতত্ত্ব এর জনক – জর্জ ক্যান্টর
গণিতের সকল সূত্র সমূহ PDF – All Math Formula in Bengali – পাটিগণিত | বীজগণিত | ত্রিকোনমিতি | পরিমিতি
অঙ্ক – Digit
অনুপাত – Ratio
মৌলিক সংখ্যা – Prime number
পূর্ণবর্গ – Perfect square
উৎপাদক – Factor
ক্রমিক সমানুপাতী – Continued proportion
ক্রয়মূল্য – Cost price
ক্ষতি – Loss
গড় – Average
গতিবেগ – Velocity
গুণফল – Product
গ.সা.গু – Highest Common Factor
ঘাত – Power
ঘনমূল – Cube root
ঘনক – Cube
ঘনফল – Volume
পূর্নসংখ্যা – Integer
চাপ – Arc
চোঙ – Cylinder
জ্যা – Chord
জোড় সংখ্যা – Even number
ধ্রুবক – Constant
পরিসীমা – Perimeter
বাস্তব – Real
বর্গমূল – Square root
ব্যস্ত অনুপাত – Inverse ratio
বিজোড়সংখ্যা – Odd number
বিক্রয়মূল্য -Selling price
বীজগণিত – Algebra
মূলদ – Rational
মধ্য সমানুপাতী – Mean proportional
যােগফল – Sum
ল.সা.গু – Lowest Common Multiple
লব – Numerator
শতকরা – Percentage
সমানুপাত – Proportion
সমানুপাতী – Proportional
সুদ – Interest
হর – Denominator
জ্যামিতি
অতিভূজ – Hypotenuse
অন্তঃকোণ – Internal angle
অর্ধবৃত্ত – Semi-circle
অন্ত ব্যাসার্ধ – In-radius
আয়তক্ষেত্র – Rectangle
উচ্চতা – Height
কর্ণ – Diagonal
কোণ – Angle
কেন্দ্র – Centre
গােলক – Sphere
চতুর্ভুজ – Quadrilateral
চোঙ – Cylinder
জ্যামিতি – Geometry
দৈর্ঘ্য – Length
পঞ্চভূজ – Pentagon
প্রস্থ – Breadth
পূরককোন – Complementary angles
বাহু – Side
বৃত্ত – Circle
ব্যাসার্ধ – Radius
ব্যাস – Diameter
বহুভূজ – Polygon
বর্গক্ষেত্র – Square
বহি:স্থ – External
শঙ্কু – Cone
সমকোণ – Right angle
সমবাহু ত্রিভূজ – Equilateral triangle
অসমবাহু ত্রিভূজ – Scalene triangle
সমদ্বিবাহু ত্রিভূজ – Isosceles Triangle
সমকোণী ত্রিভুজ – Right angled triangle
সূক্ষ্মকোণী – Acute angled triangle
স্থূলকোণী ত্রিভুজ – Obtuse angled triangle
সমান্তরাল – Parallel
সরলরেখা – Straight line
সম্পূরক কোণ – Supplementary angles
সদৃশকোণী – Equiangular
বীজগণিতের সূত্র
1. (a+b)² = a²+2ab+b²
2. (a+b)² = (a-b)²+4ab
3. (a-b)² = a²-2ab+b²
4. (a-b)² = (a+b)²-4ab
5. a² + b² = (a+b)²-2ab.
6. a² + b² = (a-b)²+2ab.
7. a²-b² = (a +b)(a -b)
8. 2(a²+b²) = (a+b)²+(a-b)²
9. 4ab = (a+b)²-(a-b)²
10. ab = {(a+b)/2}²-{(a-b)/2}²
11. (a+b+c)² = a²+b²+c²+2(ab+bc+ca)
12. (a+b)³ = a³+3a²b+3ab²+b³
13. (a+b)³ = a³+b³+3ab(a+b)
14. (a-b)³ = a³-3a²b+3ab²-b³
15. (a-b)³ = a³-b³-3ab(a-b)
16. a³+b³ = (a+b) (a²-ab+b²)
17. a³+b³ = (a+b)³-3ab(a+b)
18. a³-b³ = (a-b) (a²+ab+b²)
19. a³-b³ = (a-b)³+3ab(a-b)
20. (a² + b² + c²) = (a + b + c)² – 2(ab + bc + ca)
21. 2 (ab + bc + ca) = (a + b + c)² – (a² + b² + c²)
22. (a + b + c)³ = a³ + b³ + c³ + 3 (a + b) (b + c) (c + a)
23. a³ + b³ + c³ – 3abc = (a+b+c)(a² + b²+ c²–ab–bc– ca)
24. a3 + b3 + c3 – 3abc = ½ (a+b+c) { (a–b)²+(b–c)²+(c–a)²}
25. (x + a) (x + b) = x² + (a + b) x + ab
26. (x + a) (x – b) = x² + (a – b) x – ab
27. (x – a) (x + b) = x² + (b – a) x – ab
28. (x – a) (x – b) = x² – (a + b) x + ab
29. (x+p) (x+q) (x+r) = x³ + (p+q+r) x² + (pq+qr+rp) x +pqr
30. bc (b-c) + ca (c- a) + ab (a – b) = – (b – c) (c- a) (a – b)
31. a² (b- c) + b² (c- a) + c² (a – b) = – (b-c) (c-a) (a – b)
32. a (b² – c²) + b (c² – a²) + c (a² – b²) = (b – c) (c – a) (a – b)
33. a³ (b – c) + b³ (c-a) +c³ (a -b) = – (b-c) (c-a) (a – b)(a + b + c)
34. b²- c² (b² – c²) + c²a² (c² – a²) + a²b² (a² – b²) = -(b – c ) (c – a) (a – b) (b + c) (c + a) (a + b)
35. (ab + bc+ca) (a+b+c) – abc = (a + b)(b + c) (c+a)
36. (b + c) (c + a) (a + b) + abc = (a + b + c) (ab + bc + ca)
আয়তক্ষেত্রের সূত্র
1.আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ) বর্গ একক
2.আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = 2 (দৈর্ঘ্য+প্রস্থ)একক
3.আয়তক্ষেত্রের কর্ণ = √(দৈর্ঘ্য²+প্রস্থ²)একক
4.আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য= ক্ষেত্রফল÷প্রস্ত একক
5.আয়তক্ষেত্রের প্রস্ত= ক্ষেত্রফল÷দৈর্ঘ্য একক
বর্গক্ষেত্রের সূত্র
1.বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (যে কোন একটি বাহুর দৈর্ঘ্য)² বর্গ একক
2.বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা = 4 × এক বাহুর দৈর্ঘ্য একক
3.বর্গক্ষেত্রের কর্ণ=√2 × এক বাহুর দৈর্ঘ্য একক
4.বর্গক্ষেত্রের বাহু=√ক্ষেত্রফল বা পরিসীমা ÷ 4 একক
ত্রিভূজের সূত্র
1.সমবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = √¾×(বাহু)²
2.সমবাহু ত্রিভূজের উচ্চতা = √3/2×(বাহু)
3.বিষমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল = √s(s – a) (s-b) (s-c)
এখানে a, b, c ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য, s = অর্ধপরিসীমা পরিসীমা 2s = (a+b+c)
4. সাধারণ ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = ½
(ভূমি×উচ্চতা) বর্গ একক
5.সমকোণী ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = ½(a×b)
এখানে ত্রিভুজের সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয় a এবং b.
6.সমদ্বিবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = 2√4b²-a²/4 এখানে, a= ভূমি; b= অপর বাহু।
7.ত্রিভুজের উচ্চতা = 2(ক্ষেত্রফল/ভূমি)
8.সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ =√ লম্ব²+ভূমি²
9.লম্ব =√অতিভূজ²-ভূমি²
10.ভূমি = √অতিভূজ²-লম্ব²
11.সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের উচ্চতা = √b² – a²/4
এখানে a= ভূমি; b= সমান দুই বাহুর দৈর্ঘ্য।
12.ত্রিভুজের পরিসীমা=তিন বাহুর সমষ্টি
রম্বসের সূত্র
1.রম্বসের ক্ষেত্রফল = ½× (কর্ণদুইটির গুণফল)
2.রম্বসের পরিসীমা = 4× এক বাহুর দৈর্ঘ্য
সামান্তরিকের সূত্র
1.সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল = ভূমি × উচ্চতা =
2.সামান্তরিকের পরিসীমা = 2×(সন্নিহিত বাহুদ্বয়ের সমষ্টি)
ট্রাপিজিয়ামের সূত্র
1. ট্রাপিজিয়ামের ক্ষেত্রফল =½×(সমান্তরাল বাহু দুইটির যােগফল)×উচ্চতা
ঘনকের সূত্র
1.ঘনকের ঘনফল = (যেকোন বাহু)³ ঘন একক
2.ঘনকের সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল = 6× বাহু² বর্গ একক
3.ঘনকের কর্ণ = √3×বাহু একক
আয়তঘনকের সূত্র
1.আয়তঘনকের ঘনফল = (দৈৰ্ঘা×প্রস্ত×উচ্চতা) ঘন একক
2.আয়তঘনকের সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল = 2(ab + bc + ca) বর্গ একক
[ যেখানে a = দৈর্ঘ্য b = প্রস্ত c = উচ্চতা ]
3.আয়তঘনকের কর্ণ = √a²+b²+c² একক
4. চারি দেওয়ালের ক্ষেত্রফল = 2(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)×উচ্চতা
বৃত্তের সূত্র
1.বৃত্তের ক্ষেত্রফল = πr²=22/7r² {এখানে π=ধ্রুবক 22/7, বৃত্তের ব্যাসার্ধ= r}
2. বৃত্তের পরিধি = 2πr
3. গোলকের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল = 4πr² বর্গ একক
4. গোলকের আয়তন = 4πr³÷3 ঘন একক
5. h উচ্চতায় তলচ্চেদে উৎপন্ন বৃত্তের ব্যাসার্ধ = √r²-h² একক
6.বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য s=πrθ/180° ,
এখানে θ = কোণ
সমবৃত্তভূমিক সিলিন্ডার / বেলনের সূত্র
সমবৃত্তভূমিক সিলিন্ডারের ভূমির ব্যাসার্ধ r এবং উচ্চতা h আর হেলানো তলের উচ্চতা l হলে,
1.সিলিন্ডারের আয়তন = πr²h
2.সিলিন্ডারের বক্রতলের ক্ষেত্রফল (সিএসএ) = 2πrh।
3.সিলিন্ডারের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল (টিএসএ) = 2πr (h + r)
সমবৃত্তভূমিক কোণকের সূত্র
সমবৃত্তভূমিক ভূমির ব্যাসার্ধ r এবং উচ্চতা h আর হেলানো তলের উচ্চতা l হলে,
1.কোণকের বক্রতলের ক্ষেত্রফল = πrl বর্গ একক
2.কোণকের সমতলের ক্ষেত্রফল = πr(r+l) বর্গ একক
3.কোণকের আয়তন = ⅓πr²h ঘন একক
বহুভুজের কর্ণের সংখ্যা = n(n-3)/2
বহুভুজের কোণগুলির সমষ্টি = (2n-4)সমকোণ
এখানে n = বাহুর সংখ্যা
চতুর্ভুজের পরিসীমা = চার বাহুর সমষ্টি
ত্রিকোণমিতির সূত্রাবলী
1. sinθ = लম্ব/অতিভূজ
2. cosθ = ভূমি/অতিভূজ
3. taneθ = लম্ব/ভূমি
4. cotθ = ভূমি/লম্ব
5. secθ = অতিভূজ/ভূমি
6. cosecθ = অতিভূজ/লম্ব
7. sinθ = 1/cosecθ, cosecθ = 1/sinθ
8. cosθ =1/secθ, secθ = 1/cosθ
9. tanθ =1/cotθ, cotθ =1/tanθ
10. sin²θ + cos²θ = 1
11. sin²θ = 1 – cos²θ
12. cos²θ = 1- sin²θ
13. sec²θ – tan²θ = 1
14. sec²θ = 1+ tan²θ
15. tan²θ = sec²θ – 1
16. cosec²θ – cot²θ = 1
17. cosec²θ = cot²θ + 1
18. cot²θ = cosec²θ – 1
বিয়ােগের সূত্রাবলি
1. বিয়ােজন – বিয়োজ্য = বিয়োগফল।
2.বিয়ােজন = বিয়ােগফ + বিয়ােজ্য
3.বিয়ােজ্য = বিয়ােজন-বিয়ােগফল
গুণের সূত্রাবলি
1.গুণফল = গুণ্য × গুণক
2.গুণক = গুণফল ÷ গুণ্য
3.গুণ্য = গুণফল ÷ গুণক
ভাগের সূত্রাবলি
নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে।
1. ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল + ভাগশেষ।
2. ভাজ্য = (ভাজ্য — ভাগশেষ) ÷ ভাগফল।
3. ভাগফল = (ভাজ্য — ভাগশেষ) ÷ ভাজক।
নিঃশেষে বিভাজ্য হলে।
4. ভাজক = ভাজ্য÷ ভাগফল।
5. ভাগফল = ভাজ্য ÷ ভাজক।
6. ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল।
ভগ্নাংশের ল.সা.গু ও গ.সা.গু সূত্রাবলী
1. ভগ্নাংশের গ.সা.গু = লব গুলাের গ.সা.গু / হর গুলাের ল.সা.গু
2. ভগ্নাংশের ল.সা.গু = লব গুলাের ল.সা.গু /হর গুলার গ.সা.গু
3. ভগ্নাংশদ্বয়ের গুণফল = ভগ্নাংশদ্বয়ের ল.সা.গু × ভগ্নাংশদ্বয়ের গ.সা.গু.
গড় নির্ণয়ের সূত্র
1. গড় = রাশি সমষ্টি / রাশি সংখ্যা
2. রাশির সমষ্টি = গড় × রাশির সংখ্যা
3. রাশির সংখ্যা = রাশির সমষ্টি ÷ গড়
4. আয়ের গড় = মােট আয়ের পরিমাণ / মােট লােকের সংখ্যা
5. সংখ্যার গড় = সংখ্যাগুলাের যােগফল / সংখ্যার পরিমান বা সংখ্যা
6. ক্রমিক ধারার গড় = শেষ পদ +১ম পদ /2
সুদকষার পরিমান নির্নয়ের সূত্রাবলী
1. সুদ = (সুদের হার × আসল × সময়) ÷ ১০০
2. সময় = (100 × সুদ) ÷ (আসল × সুদের হার)
3. সুদের হার = (100 × সুদ) ÷ (আসল × সময়)
4. আসল = (100 × সুদ) ÷ (সময় × সুদের হার)
5. আসল = {100 × (সুদ – মূল)} ÷ (100 + সুদের হার × সময় )
6. সুদাসল = আসল + সুদ
7. সুদাসল = আসল × (1 + সুদের হার) × সময় |[চক্রবৃদ্ধি সুদের ক্ষেত্রে]।
লাভ – ক্ষতির এবং ক্রয় – বিক্রয়ের সূত্রাবলী
1. লাভ = বিক্রয়মূল্য-ক্রয়মূল্য
2. ক্ষতি = ক্রয়মূল্য-বিক্রয়মূল্য
3. ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্য-লাভ
অথবা
ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্য + ক্ষতি
4. বিক্রয়মূল্য = ক্রয়মূল্য + লাভ
অথবা
বিক্রয়মূল্য = ক্রয়মূল্য – ক্ষতি
সরল সুদ -এর সূত্র
যদি আসল = P
সময় =T
সুদের হার = R
সুদ – আসল = A হয়, তাহলে
1. সুদের পরিমাণ = PRT/100
2. আসল = 100 × সুদ – আসল (A) / 100 + TR
কোন কিছুর গতিবেগ
1. গতিবেগ = অতিক্রান্ত দূরত্ব/সময়
2. অতিক্রান্ত দূরত্ব = গতিবেগ × সময়
3. সময় = মোট দূরত্ব/বেগ
4. স্রোতের অনুকূলে নৌকার কার্যকরী গতিবেগ = নৌকার প্রকৃত গতিবেগ + স্রোতের গতিবেগ।
5. স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার কার্যকরী গতিবেগ = নৌকার প্রকৃত গতিবেগ – স্রোতের গতিবেগ
উদাহারণ :
১. নৌকার গতি স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় 10 কি.মি. এবং স্রোতের প্রতিকূলে 2 কি.মি.। স্রোতের বেগ কত ?
ব্যাখ্যা – স্রোতের বেগ = (স্রোতের অনুকূলে নৌকার বেগ – স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ) /2
= (10 – 2)/2=
= 4 কি.মি.
২. একটি নৌকা স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় 8 কি.মি.এবং স্রোতের প্রতিকূলে ঘন্টায় 4 কি.মি.
যায়। নৌকার বেগ কত ?
ব্যাখ্যা –
নৌকার বেগ = (স্রোতের অনুকূলে নৌকার বেগ+স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ)/2
= (8 + 4)/2
=6 কি.মি.
৩. নৌকা ও স্রোতের বেগ ঘন্টায় যথাক্রমে 10 কি.মি. ও 5 কি.মি.। নদীপথে 45 কি.মি. পথ একবার গিয়ে ফিরে আসতে কত সময় লাগবে?
ব্যাখ্যা –
মােট সময় = [(মােট দূরত্ব/ অনুকূলে বেগ) + (মােট দূরত্ব/প্রতিকূলে বেগ)]
উত্তর:স্রোতের অনুকূলে নৌকারবেগ = (10 + 5) = 15 কি.মি.
স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ = (10 – 5) = 5কি.মি.
[(45/15) + (45/5)]
= 3 + 9
= 12 ঘন্টা
জোড় সংখ্যা ও বিজোড় সংখ্যা সংক্রান্ত
1. জোড় সংখ্যা + জোড় সংখ্যা = জোড় সংখ্যা।
যেমন – 2 + 6 = 8.
2. জোড় সংখ্যা + বিজোড় সংখ্যা = বিজোড় সংখ্যা।
যেমন – 6 + 7 = 13.
3. বিজোড় সংখ্যা + বিজোড় সংখ্যা = জোড় সংখ্যা।
যেমন – 3 + 5 = 8.
4. জোড় সংখ্যা × জোড় সংখ্যা = জোড় সংখ্যা।
যেমন – 6 × 8 = 48.
5. জোড় সংখ্যা × বিজোড় সংখ্যা = জোড় সংখ্যা।
যেমন – 6 × 7 = 42
6. বিজোড় সংখ্যা × বিজোড় সংখ্যা = বিজোড় সংখ্যা।
যেমন – 3 × 9 = 27
1. সমান্তর ধারার ক্রমিক সংখ্যার যোগফল –
(যখন সংখ্যাটি1 থেকে শুরু)1+2+3+4+……+ n হলে এরূপ ধারার সমষ্টি = [n (n + 1)/2]
n = শেষ সংখ্যা বা পদ সংখ্যা s = যোগফল
প্রশ্ন- 1 + 2 + 3 + ….+ 100 =?
সমাধান : [n(n + 1)/2]
= [100(100 + 1)/2]
= 5050
2. সমান্তর ধারার বর্গ যোগ পদ্ধতির ক্ষেত্রে –
প্রথম n পদের বর্গের সমষ্টি
S = [n(n + 1)2n + 1)/6]
(যখন 1² + 2²+ 3² + 4²…….. + n²)
প্রশ্ন- (1² + 3²+ 5² + ……. + 31²) সমান কত ?
সমাধান : S = [n(n + 1)2n + 1)/6]
= [31(31 + 1)2 × 31 + 1)/6]
=31
3. সমান্তর ধারার ঘনযোগ পদ্ধতির ক্ষেত্রে-
প্রথম n পদের ঘনের সমষ্টি S = [n(n + 1)/2]2
(যখন 1³ + 2³ + 3³+………….+ n³)
প্রশ্ন- 1³+2³+3³+4³+…………+10³= ?
সমাধান : [n(n + 1)/2]2
= [10(10 + 1)/2]2
= 3025
4. পদ সংখ্যা ও পদ সংখ্যার সমষ্টি নির্নয়ের ক্ষেত্রে-
পদ সংখ্যা N = [(শেষ পদ – প্রথম পদ)/প্রতি পদে বৃদ্ধি] + 1
প্রশ্ন- 5+10+15+…………+50=?
সমাধান : পদসংখ্যা = [(শেষ পদ – প্রথমপদ)/প্রতি পদে বৃদ্ধি] + 1
= [(50 – 5)/5] + 1
=10
সুতরাং পদ সংখ্যার সমষ্টি
= [(5 + 50)/2] ×10
= 275
5. n তম পদ= a + (n – 1)d
এখানে, n =পদসংখ্যা, a = 1ম পদ, d = সাধারণ অন্তর
প্রশ্ন- 5 + 8 + 11+ 14 +…….ধারাটির কোন পদ 302?
সমাধান : ধরি, n তম পদ = 302
বা, a + (n – 1)d = 302
বা, 5 + (n – 1)3 = 302
বা, 3n = 300
বা, n = 100
6. সমান্তর ধারার ক্রমিক বিজোড় সংখ্যার যোগফল – S = M² এখানে, M = মধ্যেমা = (1ম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা)/2
প্রশ্ন-1 + 3 + 5 + …….+ 19 = কত?
সমাধান : S = M²
= {(1 + 19)/2}²
= (20/2)²
= 100
বর্গ
(1)² = 1
(11)² = 121
(111)² = 12321
(1111)² = 1234321
(11111)² = 123454321
নিয়ম –
যতগুলো 1 পাশাপাশি নিয়ে বর্গ করা হবে, বর্গ ফলে 1 থেকে শুরু করে পর পর সেই সংখ্যা পর্যন্ত লিখতে হবে এবং তারপর সেই সংখ্যার পর থেকে অধঃক্রমে পরপর সংখ্যাগুলো লিখে 1 সংখ্যায় শেষ করতে হবে।
(3)² = 9, (33)² = 1089, (333)² = 110889, (3333)² = 11108889, (33333)² = 1111088889
যতগুলি 3 পাশাপাশি নিয়ে বর্গ করা হবে, বর্গ ফলে এককের ঘরে 9 এবং 9 এর বাঁদিকে তার চেয়ে (যতগুলো 3 থাকবে) একটি কম সংখ্যক 8, তার পর বাঁদিকে একটি 0 এবং বাঁদিকে 8 এর সমসংখ্যক 1 বসবে।
(6)² = 36, (66)² = 4356, (666)² = 443556, (6666)² = 44435556, (66666)² = 4444355556
যতগুলি 6 পাশাপাশি নিয়ে বর্গ করা হবে, বর্গ ফলে এককের ঘরে 6 এবং 6 এর বাঁদিকে তার চেয়ে (যতগুলো 6 থাকবে) একটি কম সংখ্যক 5, তার পর বাঁদিকে একটি 3 এবং বাঁদিকে 5 এর সমসংখ্যক 4 বসবে।
(9)² = 81, (99)² = 9801, (999)² = 998001, (9999)² = 99980001, (99999)² = 9999800001
যতগুলি 9 পাশাপাশি নিয়ে বর্গ করা হবে, বর্গ ফলে এককের ঘরে 1 এবং 1 এর বাঁদিকে তার চেয়ে (যতগুলো 9 থাকবে) একটি কম সংখ্যক 0, তার পর বাঁদিকে একটি 8 এবং বাঁদিকে 0 এর সমসংখ্যক 9 বসবে।
1-100 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা সহজে মনে রাখার উপায় –
শর্টকাট : 44 – 22 – 322 – 321
1থেকে 100 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 25 টি
1থেকে 10 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 4 টি 2, 3, 5, 7
11থেকে 20 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 4 টি 11, 13, 17, 19
21থেকে 30 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 2 টি 23, 29
31থেকে 40 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 2 টি 31, 37
41থেকে 50 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 3 টি 41, 43, 47
51থেকে 60 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 2 টি 53, 59
61থেকে 70 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 2টি 61, 67
71থেকে 80 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 3টি 71, 73, 79
81থেকে 90 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 2টি 83, 89
91থেকে 100 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = 1টি 97
1-100 পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা 25 টি
2, 3, 5, 7, 11, 13, 17, 19, 23, 29, 31, 37, 41, 43, 47, 53, 59, 61, 67, 71, 73, 79, 83, 89, 97
1-100পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যার যোগফল = 1060।
গণিতের জনকগণ / Father
1. Numerology (সংখ্যাতত্ত্ব) – Pythagoras (পিথাগোরাস)
2. Geometry (জ্যামিতি) – Euclid (ইউক্লিড)
3. Calculus (ক্যালকুলাস) – Newton (নিউটন)
4. Matrix (ম্যাট্রিক্স) – Arthur Cayley (অর্থার ক্যালে)
5. Trigonometry (ত্রিকোণমিতি) – Hipparchus (হিপ্পারচাস)
6. Asthmatic(পাটিগণিত) – Brahmagupta (ব্রহ্মগুপ্ত)
7. Algebra (বীজগণিত) – Muhammad ibn Musa al-Khwarizmi (মােহাম্মদ মুসা আল খারিজমী)
8. Logarithm (লগারিদম) – John Napier (জন নেপিয়ার)
9. Set theory (সেট তত্ত্ব) – George Cantor (জর্জ ক্যান্টর)
10. Zero (শূন্য) – Brahmagupta (ব্রহ্মগুপ্ত)
রোমান সংখ্যা≠ (Roman numerals)
1: I, 2: II, 3: III, 4: IV, 5: V, 6: VI, 7: VII, 8: VIII, 9: IX, 10: X, 11: XI, 12: XII, 13: XIII, 14: XIV, 15: XV, 16: XVI, 17: XVII, 18: XVIII, 19: XIX, 20: XX, 30: XXX, 40: XL, 50: L, 60: LX, 70: LXX, 80: LXXX, 90: XC, 100: C, 200: CC, 300: CCC, 400: CD, 500: D, 600: DC, 700: DCC, 800: DCCC, 900: CM, 1000: M
Download গণিতের সকল সূত্র সমূহ PDF
File Details:
File Name: গণিতের সকল সূত্র সমূহ [www.gksolve.in]
File Format: PDF
Quality: High
File Size: 3 Mb
File Location: Google Drive