প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর – Ancient Indian History MCQ Questions in Bengali

Rate this post

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর – Ancient Indian History MCQ Questions in Bengali: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF. নিচে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর – Ancient Indian History MCQ Questions in Bengali

  1. সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন?

উত্তর: সিন্ধু নদের তীরে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ায় প্রথমেই সভ্যতাকে সিন্ধু সভ্যতা বলা হলেও পরবর্তীকালে হরপ্পা অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সভ্যতায় আবিষ্কৃত অন্যান্য স্থানের তুলনায় হরপ্পা প্রাপ্ত নিদর্শনগুলি সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অনেক বেশি রয়েছে।

এছাড়াও হরপ্পার অধিকাংশ কেন্দ্রের নিদর্শনগুলির সঙ্গে হরপ্পায় পাওয়া নিদর্শনগুলির অদ্ভুত মিল রয়েছে তাই বর্তমানে এই সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয়।

  1. হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

উত্তর: হরপ্পা সভ্যতা ছিল বিশ্বের প্রথম নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। এই সভ্যতার নগর পরিকল্পনার দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল

  1. দুর্গ দ্বারা বেষ্টিত: হরপ্পা সভ্যতায় প্রত্যেকটি নগর দুর্গ দ্বারা বেষ্টিত ছিল। উঁচু ঢিবি অপর দুর্গ নির্মাণ করা হত। শাসকশ্রেণীর লোকেরা দুর্গের অভ্যন্তরে বসবাস করতেন এবং দুর্গের নিচের দিকে ছিল সাধারণ মানুষের বসবাস‌।
  2. পয়:প্রণালী: হরপ্পা সভ্যতার বাড়ি গুলি নোংরা জল নিকাশের জন্য নর্দমা থাকত। এই নর্দমাগুলো সদর রাস্তার বাঁধানো বড়ো নর্দমা সঙ্গে যুক্ত থাকতো এবং শহরের বাইরে বেরিয়ে যেত।

3. আর্যরা ভারতে কোথায় প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল?

উত্তর: আর্যরা ভারতে প্রথম খুব সম্ভবত আফগানিস্তান ও উত্তর পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে এবং সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে তাদের প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল।

আফগানিস্তান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম সীমান্তে সরস্বতী, সিন্ধু এবং সিন্দুর পূর্বদিকের 5 উপনদী বিতস্তা, বিপাশা, চন্দ্রভাগা, ইরাবতী শতদ্রু নদীর অববাহিকা অঞ্চল হল সপ্তসিন্ধু অঞ্চল।

পরবর্তীকালে আর্যরা গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে এবং পূর্বে কোন নদী পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল।

  1. ঋক বৈদিক যুগে আর্য সমাজে নারীর অবস্থান কেমন ছিল?

উত্তর: ঋক বৈদিক যুগে নারীরা যথেষ্ট সম্মানের অধিকারী ছিলেন। গৃহস্থলী ব্যাপারে নারী ছিল সর্বময়ী। বাল্যবিবাহ, বিধবা বিবাহ ও পর্দা প্রথার প্রচলন ঋক বৈদিক যুগের সমাজে ছিল না এবং প্রচলিত পণপ্রথা অনুসারে কন্যার পিতা পণ পেতেন।

এই যুগে নারীরা বিদ্যাচর্চায়, সামাজিক বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে, এমনকি যুদ্ধেও অংশ নিতেন এবং উপযুক্ত জীবনসঙ্গী পছন্দ করতে পারতেন। গার্গী, লোপামুদ্রা, অপালা ও মৈত্রেয়ী প্রমুখ নারীরা সমাজে উচ্চস্থান পেয়েছিলেন।

  1. ঋক বৈদিক যুগে আর্যদের অবসর বিনোদন কেমন ছিল?

উত্তর: ঋক বৈদিক যুগে আর্যরা নানারকম আমোদ-প্রমোদের মাধ্যমে তাদের অবসর সময় কাটাত। পাশাখেলা ও মল্লযুদ্ধ ছিল তখন খুব জনপ্রিয়। উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা গান বাজনা শিকারের মধ্য দিয়ে অবসর যাপন করত এবং নারীরা নাচ গানের মধ্য দিয়ে তাদের অবসর-জীবন বিনোদন করত।

  1. বৌদ্ধধর্মে আর্যসত্য কী?

উত্তর: বুদ্ধদেব বলেছিলেন জগত দুঃখময় এবং এই দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য তিনি যে চারটি সত্যকে উপলব্ধি করতে বলেছিলেন তা আর্য সত্য নামে পরিচিত। এই চারটি আর্য সত্য হল

  1. জগতে দুঃখ আছে।
  2. দুঃখের কারণ আছে। জাগতিক কামনাবাসনা ও আসক্তি হল মানুষের যাবতীয় দুঃখের কারণ।
  3. দুঃখের নিভৃতি সম্ভব অর্থাৎ দুঃখের কারণগুলি ধ্বংস করতে পারলে দুঃখের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
  4. দুঃখের কারণ গুলি ধ্বংসের উপায় বা নির্দিষ্ট পথ (মার্গ) রয়েছে।

7. অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী?

উত্তর: দুঃখময় পৃথিবীতে দুঃখের হাত থেকে মুক্তি লাভের জন্য অর্থাৎ নির্বাণ লাভের উপায় হিসাবে গৌতমবুদ্ধ তার অনুগামীদের আটটি মার্গ বা পথ অনুসরণের উপদেশ দিয়েছিলেন আটটি অষ্টাঙ্গিক মার্গ নামে পরিচিত।

অষ্টাঙ্গিক মার্গের তিনি যে অস্ত্র পথের কথা বলেছেন তা হল – সৎ বাক্য, সৎ কার্য, সৎ জীবিকা, সৎ চেষ্টা, সৎ চিন্তা, সৎ চেতনা, সৎ সংকল্প এবং সৎ দৃষ্টি। এই অষ্টাঙ্গিক মার্গের প্রথম তিনটি মার্গ দৈহিক সংযম এবং পরের তিনটি মানসিক সংযম রক্ষা করে। সর্বশেষ মার্গ দুটি বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে।

  1. বৌদ্ধধর্মে নির্বাণ লাভ কী?

উত্তর: বৌদ্ধধর্ম অনুসারে নির্বাণ হল শ্বাশ্বাত শান্তি অর্থাৎ মোক্ষলাভ। এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দেখানো অর্থাৎ জীবনের সমস্ত রকমের আকাঙ্খা ও কামনা-বাসনার অবসান এবং জন্মচক্র থেকে মুক্তি।

  1. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সার্বভৌম সম্রাট বলা হয় কেন?

উত্তর: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগদের নন্দ বংশের রাজার ধননন্দকে পরাজিত করে মগধে মৌর্য রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। মগধের সিংহাসনে বসে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সাম্রাজ্যের সীমা ভারতের প্রায় সর্বত্র প্রসারিত করেন। তার সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল পশ্চিম ভারতের গুজরাট, পাঞ্জাব, অবন্তী, মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন অঞ্চল এবং দক্ষিনে গোদাবরী নদী অতিক্রম করে মহীশূর মাদ্রাজ পর্যন্ত।

এছাড়াও তিনি গ্রিক বীর সেলুকাসকে যুদ্ধে পরাজিত করে আফগানিস্তানের অন্তর্গত কাবুল, কান্দাহার ও বিরাট এবং বেলুচিস্তানের অন্তর্গত মকরান প্রদেশ নিজ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। এভাবে তিনি ভারতের মাটিতে গ্রীক শক্তিকে প্রতিহত এবং সমগ্র আর্যবর্ত ও দক্ষিণের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে ভারতবর্ষের বুকে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক ঐক্য তথা এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। তাই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সার্বভৌম সম্রাট বলা হয়।

  1. মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?

উত্তর: মেগাস্থেন্স ছিলেন ভারতে আগত প্রথম গ্রীক দূত। তিনি সিরিয়ার গ্রিক রাজা সেলুকাসের রাষ্ট্রদূত হয়ে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। দীর্ঘকাল ভারতে অবস্থান করার সুবাদে মেগাস্থিনিস সমকালীন ভারত সম্পর্কে একটি সুন্দর বিবরণ তাঁর ইন্দিকা গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন।

মেগাস্থিনিস ইন্ডিকা গ্রন্থে মগধকে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন এবং রাজার ক্ষমতা ও দায়িত্ব, শাসনব্যবস্থা, রাজকর্মচারীদের কর্তব্য ও সামরিক কার্যকলাপ, পাটলিপুত্র নগরী ও রাজপ্রাসাদ, সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছিলেন। তিনি ভারতবাসীর নৈতিক চরিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

  1. কনিষ্ককে দ্বিতীয় অশোক বলা হয় কেন?

উত্তর: প্রথম জীবনে অশোক নিষ্ঠুর প্রকৃতির ছিলেন। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উপগুপ্তর কাছ থেকে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধপ্রিয় রাজা পরিণত হলেন পরম মানব প্রেমিকে। অশোক বুদ্ধের বাণী প্রচারে মধ্যে দিয়ে জীবনের অধিকাংশ সময় অবহিত করেন এবং রাজধানী পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি আহবান করেন।

অশোকের মত কনিষ্ক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে নিষ্ঠুর প্রকৃতির ছিলেন এবং পরবর্তীকালে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। বৌদ্ধসংঘের ঐক্য ও সংহতি রক্ষার জন্য তিনি চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি আহবান করেন এবং বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য দেশ-বিদেশে দূত প্রেরণ করেন। এই সমস্ত কারণে কনিষ্ককে দ্বিতীয় অশোক বলা হয়।

  1. স্কন্দগুপ্তকে ‘ভারতের রক্ষাকারী’ বলা হয় কেন?

উত্তর: গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্ত সিংহাসনে আরোহনের অল্প কিছুকালের মধ্যেই দূর্ধর্ষ হুনজাতির একটি শাখা হিন্দুকুশ পর্বতমালা অতিক্রম করে গান্ধারে প্রবেশ করে। স্কন্দগুপ্ত এই হুন আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য অগ্রসর হন এবং তাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন।

এর ফলে পরবর্তী 50 বছরের মধ্যে আর হুনরা ভারত আক্রমণের সাহস পায়নি। এভাবে হুন আক্রমণ থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য স্কন্দগুপ্তকে ‘ভারতের রক্ষাকারী’ বলা হয়।

  1. বাংলার ইতিহাসে শশাঙ্কের স্থান গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর: শশাঙ্ক প্রথম রাজা যিনি বাংলাকে প্রথম স্বাধীন রাজ্য ও সার্বভৌম শক্তিতে পরিণত করেন। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের সুযোগে, আনুমানিক 606 খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক গৌড়ে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলায় নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং এরপর তিনি বাংলার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তারে উদ্যোগ নেন। একে একে তিনি দক্ষিনে দণ্ডভুক্তি, উৎকল এবং পশ্চিমে মগধকে নিজের সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।

সাম্রাজ্য বিস্তারের সাথে তিনি রাজ্য শাসনব্যবস্থাকে উন্নত করেন তাছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে শিবের উপাসক হলেও শশাঙ্ক পরধর্মসহিষ্ণু ছিলেন। শশাঙ্কের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সুদক্ষ নেতৃত্ব ও প্রবল পরাক্রমের ফলে বাংলা ভারতে একটি অন্যতম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং তিনি একজন প্রজাহিতৈষী শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

  1. মাৎস্যন্যায় কাকে বলে?

উত্তর: কোন পুকুরের বড় মাছ সুযোগ পেলে যেমন ছোট ছোট মাছগুলোকে খেয়ে ফেলতে চাইলে ছোট মাছগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পালিয়ে যায় ঠিক তেমনি শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় 100 বছর ধরে বাংলায় যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সামাজিক অনাচার দেখা যায়, সে অবস্থাকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় রাজতন্ত্র ভেঙে পড়লে কোন সার্বভৌম শক্তির না থাকায়, বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে সামন্তদের মধ্যে গৃহবিবাদ বেধে যায়, শাসনতন্ত্র ভেঙে পড়ে, ছোট ছোট প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং চারিদিকে নৈরাজ্য ও অরাজকতা চরম আকার ধারণ করে, বাংলার ইতিহাসে এই অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলাময় পরিস্থিতি মাৎস্যন্যায় নামে পরিচিত। প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী সামন্ত্ররাজ গোপাল সিংহাসনে বসার পর কঠোর হাতে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটান।

  1. লক্ষণ সেনের রাজসভায় পঞ্চরত্ন কারা ছিলেন?

উত্তর: লক্ষণ সেনের রাজসভায় পঞ্চরত্ন ছিলেন – জয়দেব, ধোয়ী,শরণ, গোবর্ধন ও উমাপতিধর।

  1. পল্লব যুগের মন্দির গুলি কিভাবে নির্মিত হয়েছিল?

উত্তর: পল্লব যুগের মন্দির গুলি দুইভাবে নির্মিত হয়েছিল। যেমন-

  1. পাহাড় কেটে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল।
  2. রথের আকারে স্বাধীন স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল।

17. দেবদাসী প্রথা কী?

উত্তর: অভিজাত পরিবারের অবিবাহিতা নাচ-গানে পারদর্শী যুবতীদের মন্দিরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হতো যে প্রথার মাধ্যমে, তা দেবদাসী প্রথা নামে পরিচিত।

  1. ব্রহ্মদেয় ও দেবদান সম্পত্তি কাকে বলে?

উত্তর: ব্রহ্মদেয়: যখন কোন রাজা কোন জমি এক বা একাধিক ব্রাহ্মণকে দান করলে ওই জমিকে ব্রহ্মদেয় সম্পত্তি বলা হয়।

দেবদান: যখন কোন জমির রাজস্ব স্থানীয় মন্দিরের পূজার জন্য দান করা হয়েছে, তাকে দেবদান সম্পত্তি বলা হয়।

  1. ভোগপটিকা কী?

উত্তর: গুপ্তযুগে রাজকর্মচারীদের বেতনের পরিবর্তে জমিদান প্রথা বা জায়গির প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথা অনুসারে তারা তিন পুরুষ পন্ত জমির মালিকানা ভোগ করত। এইসব জমি মালিকদের ভোগপটিকা বলা হয়।

  1. গুপ্ত যুগে কি কি রপ্তানি আমদানি করা হতো?

উত্তর: গুপ্ত যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিকৃত পণ্য ছিল মশলা। এছাড়াও চন্দন কাঠ, গোলমরিচ, মুক্তো, সুতি বস্ত্র ও মূল্যবান পাথর প্রভৃতি।

গুপ্তযুগে আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আরবের ঘোড়া, চিনের রেশম ও ইথিওপিয়ার হাতির দাঁত ইত্যাদি।

Leave a Comment