অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার কী? | Asthenosphere: শিলামন্ডলের নিচে ভূপৃষ্ঠ থেকে 60-200 কিমি অভ্যন্তরে গুরুমন্ডলের ওপরের অংশে যে থকথকে, সান্দ্র, প্লাস্টিকের মত দুর্বল স্তর রয়েছে, তাকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার (Asthenosphere) বলে।
বাংলা প্রতিশব্দ: গ্রিক শব্দ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের বাংলা প্রতিশব্দ হলো দুর্বল স্তর।
বৈশিষ্ট্য: অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ-
১)সান্দ্রতা: অত্যধিক চাপ ও তাপের প্রভাবে এখানকার শিলাসমূহ সান্দ্র বা অর্ধতরল অবস্থায় রয়েছে।
২)ভাসমান পাত: মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাতগুলি এই অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাই পাতগুলি সচল।
৩)ভূকম্পীয় তরঙ্গের গতিবেগ: এই স্তরের মধ্য দিয়ে ভূমিকম্প তরঙ্গ ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়।
৪)কার্য: অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার থেকে অর্ধতরল সান্দ্র পদার্থ বা ম্যাগমা অগ্নুৎপাতেরর মাধ্যমে ফাটল পথে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে এসে ভূপৃষ্ঠের নানা রূপ পরিবর্তন সাধন করে। তাই একে ক্ষুদ্ধমন্ডল বলা হয়।