জীবিকা সত্ত্বা ভিত্তিক কৃষির বৈশিষ্ট্য – জীবন ধারণ ভিত্তিক কৃষি

1/5 - (1 vote)

জীবিকা সত্ত্বা ভিত্তিক কৃষি কাকে বলে এবং  জীবিকা সত্ত্বা ভিত্তিক কৃষির বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল ।

সংজ্ঞা – মূলত খাদ্যশস্য চাষের মাধ্যমে জীবন ধারন এবং জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে যে কৃষি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাকে  জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষি বলে। 

অবস্থান – এই ধরণের কৃষি মূলত দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার ঘন জনবসতি পূর্ন এলাকায় দেখা যায়।

জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষির বৈশিষ্ট্য 


কৃষিজোতের আয়তন
 – অধিক জনসংখ্যা যুক্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় কৃষিজোত গুলি বংশানুক্রমিক ভাবে বিভক্ত হতে হতে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম কৃষিজোতে পরিনত হয়েছে। 

উৎপন্ন ফসল – এই কৃষি ব্যবস্থায় খাদ্যশস্য হিসাবে ধান, গম, জোয়ার, বাজরা প্রভৃতি খাদ্য ফসলের চাষ বেশি হয়। 

শ্রমশক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার –  জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থায় সাধারনত যন্ত্রপাতির পরিবর্তে শুধুমাত্র মানুষ ও পশু শ্রমের বিনিময়ে ফসল উৎপাদন করা হয়। 

ফসল উৎপাদনের পরিমান –  জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থায় অত্যন্ত নিবিড় পদ্ধতিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, উচ্চফলনশীল বীজ ও জলসেচের মাধ্যমে কৃষি কাজ করা হয় বলে হেক্টর প্রতি উৎপাদিত ফসলের পরিমান অনেক বেশি কিন্তু অধিক লোকবসতির কারণে মাথাপিছু উৎপাদনের পরিমান অনেক কম। 

কৃষি পদ্ধতি –  জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষি অঞ্চলে খাদ্যের চাহিদা প্রচুর হওয়ায় জলসেচ ব্যবস্থার প্রচলনের মাধ্যমে একই জমিতে বছরে দুই থেকে তিনবার কৃষিকাজ করা হয়ে থাকে । আবার একই ভৌগোলিক পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন ফসলের চাষ করা হয়। 

উদ্বৃত্ত ফসলের পরিমান – এই কৃষি তে বাজারে বিক্রির জন্য কোনো উদ্বৃত্ত ফসল থাকে না।

Leave a Comment