চর্যাপদ প্রশ্ন ও উত্তর – চর্যাপদ বা চর্চাগীতি প্রশ্ন ও উত্তর: চর্যাপদ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সাহায্যে ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা নামক গ্রন্থের চব্বিশ জন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যের রচিত চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ের সাতচল্লিশটি গান। চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের গূঢ় সাধনপ্রণালী ও দর্শনতত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে। প্রাচীন বাংলা ভাষায় রচিত এ পদগুলোর যেমন সাহিত্যিক মূল্য বিদ্যমান, তেমনি প্রাচীন বাঙালি সমাজের চিত্রও এতে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত।
বাংলা ভাষার পূর্ববর্তী রূপ অপভ্রংশ থেকে কোন মুহূর্তে এ ভাষা স্বপরিচয়ে চিহ্নিত হয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা বিতর্কমূলক হলেও সবাই বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হিসেবে চর্যাপদকেই স্বীকার করেন। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্যাপদ থেকে শুরু। কিন্তু চর্যাপদের প্রথম রচনার কাল সম্পর্কেও পণ্ডিতেরা ঐকমত্যে পৌঁছান নি।
চর্যাপদ প্রশ্ন ও উত্তর – চর্যাপদ বা চর্চাগীতি প্রশ্ন ও উত্তর
আবিষ্কার ও আবিষ্কারক
১. চর্যাগীতির পুঁথি কত খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত হয়?
উ:- ১৯০৭
২. চর্যাগীতির পুঁথি আবিষ্কারের নাম কি?
উ:- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি কি?
উ:- মহামহোপাধ্যায়
৪. কোথা থেকে চর্যাগীতির পুঁথি আবিষ্কৃত হয়?
উ:- নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে
৫. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কোন স্থান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল হয়েছিল?
উ:- গোয়ালঘরের মাচা
৬. প্রথম চর্যাগীতির তিব্বতী অনুবাদের পুঁথির সন্ধান কে পেয়েছিলেন?
উ:- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৭. চর্যাগীতির তিব্বতী অনুবাদের পুঁথি আবিষ্কার কে করেন?
উ:- প্রবোধচন্দ্র বাগচী
৮. নব চর্যাপদের আবিষ্কারক বা সংগ্রাহক কে?
উ:- ড.শশীভূষণ দাশগুপ্ত
৯. ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত নব চর্যাপদ কবে আবিষ্কার করেন?
উ:- ১৯৬৩
সম্পাদনা ও সম্পাদক
১০. যাঁর সুযোগ্য সম্পাদনায় চর্যাগীতির পুঁথি টি প্রথম পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়-
অথবা
চর্যাগীতির পুঁথি টির প্রথম সম্পাদক কে?
উ:- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
১১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সুযোগ্য সম্পাদনায় তাঁরই আবিষ্কৃত চর্যাগীতির পুঁথি টি প্রথম পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় কোথা থেকে এবং কবে?
উ:- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬
১২. চর্যাগীতিগুলি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে কি নামে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়?
উ:- হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা
১৩. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রকাশিত হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থের ভূমিকা কে লিখেছিলেন?
উ:- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
১৪. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থটির সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাবলীর ক্রমসংখ্যা কত?
উ:- ৫৫
১৫. কার সম্পূর্ণ খরচে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়?
উ:- লালগোলার রাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায়
১৬. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থে মোট কটি মৌলিক পুঁথি সংকলিত হয়েছে?
উ:- ৪ টি
১৭. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থে চর্যাগীতির পুঁথি ছাড়াও অন্য কয়টি মৌলিক পুঁথি সংকলিত হয়েছে?
উ:- ৩ টি। যথা ১) সরোজবজ্রের দোহাকোষ( সরহপাদের দোহা), ২) কৃষ্ণাচার্যের দোহাকোষ (কাহ্নপাদের দোহা), ৩) ডাকার্ণব
১৮. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থে মোট কটি মৌলিক পুঁথির টীকা সংকলিত হয়েছে?
উ:- ৩ টি
১৯. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থে একমাত্র যে পুঁথিটি টীকা ব্যতীত সংকলিত হয়েছে?
উ:- ডাকার্ণব
২০. নব চর্যাপদ গ্রন্থটির সম্পাদক কে?
উ:- ড. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়
২১. ড. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায় সুযোগ্য সম্পাদনায় নব চর্যাপদ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় কবে?
উ:- ১৯৮৯
২২. ড. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায় সুযোগ্য সম্পাদনায় নব চর্যাপদ গ্রন্থটি প্রথম পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়-
উ:- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
পুঁথি ও নামকরণ
২৩. চর্যাগীতির পুঁথির পত্রগুলি কি দ্বারা নির্মিত?
উ:- তালপাতা
২৪. চর্যাগীতির পুঁথি টির লিপি কোন লিখিত?
উ:- প্রাচীন বাংলা এবং নেওয়ারি অক্ষরে
২৫. চর্যাগীতির পুঁথির শেষ পত্র সংখ্যা কত?
উ:- ৬৯
২৬. চর্যাগীতি পুঁথিটির কোন পত্রগুলি পাওয়া যায় নি?
উ:- ৩৫,৩৬,৩৭,৩৮ এবং ৬৬ সংখ্যক পত্র
২৭. চর্যাগীতির পুঁথিতে মোট কতগুলি পদ সংকলিত হয়েছিল?
উ:- ৫০ টি
২৮. চর্যাগীতির পুঁথিতে প্রাপ্ত পদের সংখ্যা কত?
উ:- ৪৬.১/২
২৯. চর্যাগীতির পুঁথিতে কয়টি পদ পাওয়া যায় নি?
উ:- ৩.১/২ খানি
৩০. চর্যাগীতির পুঁথিতে কোন পদগুলি পাওয়া যায় নি?
উ:- ২৩.১/২, ২৪,২৫,৪৮
৩১. নেপাল রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাগীতির পুঁথি আবিষ্কার কালে এর মলাটে কোন নাম উল্লেখিত হয়েছিল?
উ:- চর্যাচর্য্যটীকা
৩২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক নেপাল রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে উদ্ধারীকৃত চর্যাগীতি পুঁথিটির মলাটে চর্যাচর্য্যটীকা নামটি কোন হরফে লিখিত ছিল?
উ:- নাগরী হরফে
৩৩. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুস্তকাকারে প্রকাশের সময় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাগীতির পুঁথি টিকে কি নামে চিহ্নিত করেছেন?
উ:- চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
৩৪. মহামহোপাধ্যায় বিধুশেখর শাস্ত্রীর মতে চর্যাগীতির পুঁথির প্রকৃত নাম কি?
উ:- আশ্চর্যচর্য্যাচয়
৩৫. ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচীর মতে চর্যাগীতির পুঁথির প্রকৃত নাম কি?
উ:- চর্য্যশ্চর্যবিনিশ্চয়
৩৬. চর্যাগীতি পুঁথির প্রকৃত নাম কি থেকে জানা যায়?
উ:- চর্যাগীতির পুঁথির তিব্বতী অনুবাদ থেকে
৩৭. চর্যাগীতি পুঁথির প্রকৃত নাম কি?
উ:- চর্যাগীতিকোষবৃত্তি
রচনাকাল
৩৮. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. সুকুমার সেন এবং ড. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায় এর মতে চর্যাগীতির রচনাকাল কত?
উ:- দশম-দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে
৩৯. ড. মহম্মদ শহীদুল্লাহ মতে চর্যাগীতির রচনাকাল কত?
অথবা
পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে চর্যাগীতির রচনাকাল কত?
উ:- অষ্টম-দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে
৪০. কে প্রথম ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের (ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ) মাধ্যমে চর্যাগীতির রচনাকাল নির্নয়ে সচেষ্ট হয়েছিলেন?
উ:- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
কবি পরিচিত ও টীকাকার
৪১. তিব্বতী এবং ভারতীয় কিংবদন্তি অনুযায়ী মোট সিদ্ধাচার্য সংখ্যা কত?
উ:- ৮৪
৪২. চর্যাগীতির পুঁথিতে মোট কতজন সিদ্ধাচার্য নাম পাওয়া যায়?
উ:- ২৩, মতান্তরে ২৪ জন
৪৩. চর্যা গানের রচয়িতারা ছিলেন-
উ:- তান্ত্রিক বৌদ্ধ
৪৪. চর্যাগীতির পুঁথির প্রথম পদটি কার রচিত?
অথবা
সিদ্ধাচার্য আদি গুরু কে ছিলেন?
উ:- লুইপাদ
৪৫. পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে সিদ্ধাচার্য আদি গুরু কে ছিলেন?
উ:- সরহপাদ
৪৬. লুইপাদ রচিত গ্রন্থের নাম-
উ:- শ্রীভগবদভিসময়, অভিসময়বিভঙ্গ, তত্ত্বস্বভাত-দোহাকোষ-গীতিকাদৃষ্টিনাম
৪৭. সিদ্ধাচার্য আদি গুরু লুইপাদ আনুমানিক যে শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন-
উ:- দশম শতাব্দী
৪৮. চর্যাগীতির পুঁথিতে লুইপাদের সর্বমোট কটি পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- ২টি
৪৯. চর্যাগীতির পুঁথির সর্বশেষ পদটি কার রচিত?
উ:- শবরপাদ
৫০. চর্যাগীতির পুঁথিতে কার সর্বাধিক পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- কাহ্নপাদ
৫১. চর্যাগীতির পুঁথিতে কাহ্নপাদের সর্বমোট কটি পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- ১৩ টি
৫২. কাহ্নপাদ রচিত মোট গ্রন্থের সংখ্যা কত?
উ:- ৫৭ টি
৫৩. চর্যাগীতির পুঁথিতে ভুসুকুপাদ সর্বমোট কটি পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- ৮ টি
৫৪. ভুসুকুপাদ রচিত গ্রন্থের নাম কি?
উ:- চতুরাভরণ
৫৫. সরহপাদ চর্যাপদ সংখ্যা কত?
উ:- ৪টি
৫৬. সিদ্ধাচার্য সরহপাদের জীবতকালের আনুমানিক নিম্নসীমা-
উ:- একাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ
৫৭. সিদ্ধাচার্য ভুসুকুপাদের জীবতকালের আনুমানিক নিম্নসীমা-
উ:- ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষার্ধে
৫৮. চর্যাগীতির পুঁথিতে কুক্কুরীপাদের সর্বমোট কটি পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- ৩ টি
৫৯. চর্যাগীতির পুঁথিতে কয়জন কবির দুটি করে পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- ৩ জন
৬০. চর্যাগীতির পুঁথিতে কয়জন কবির একটি করে পদ গৃহীত হয়েছে?
উ:- ১৬ জন
৬১. চর্যাগীতির পুঁথিতে প্রাপ্ত কাহ্নপাদের মোট ১৩ টি পদের রচয়িতা প্রকৃতপক্ষে দুইজন কাহ্ন, এই অভিমত টি কার?
উ:- সুকুমার সেন
৬২. কুক্কুরীপাদের সাথে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত বলেই তাঁর এই নামকরণ করা হয়, – এই অভিমত টি কার?
উ:- তারনাথ
৬৩. কুক্কটীপাদ থেকে কুক্করীপা নামটি এসেছে, – এই অভিমত টি কার?
উ:- সুকুমার সেন
৬৪. চর্যাগীতির টীকা কে রচনা করেছেন?
উ:- মুনিদত্ত
৬৫. চর্যাগীতির সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্ত আনুমানিক যে শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন-
উ:- চতুর্দশ শতাব্দী
৬৬. মুনিদত্ত মোট কতগুলি চর্যাগীতির সংস্কৃত টীকা রচনা করেছিলেন?
উ:- ৫০
৬৭. চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদক কে?
উ:- শীলচারী
৬৮. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে গাছ এবং তার শাখা রুপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- লুইপাদ ও কাহ্নপাদ
৬৯. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে মদ চোলাই ও বিক্রয়ের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- বিরুআপাদ
৭০. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে হরিণ-হরিণী ও শিকারীর রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- ভুসুকুপাদ
৭১. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে নয়বল(দাবা) খেলার রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- কাহ্নপাদ
৭২. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে গঙ্গা যমুনা নদীর উল্লেখ আছে?
উ:- ডোম্বীপাদ
৭৩. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে বীণাবাদন এবং নৃত্য গীতের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- বীণাপাদ
৭৪. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে বুদ্ধনাটকের উল্লেখ আছে?
উ:- বীণাপাদ
৭৫. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে এক দ্বিচারিণী ডোমরমণীর রহস্যময় আচরণের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- কাহ্নপাদ
৭৬. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে বিবাহ, বরযাত্রীর ও যৌতুক গ্রহণের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- কাহ্নপাদ
৭৭. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে চঞ্চল মূষিকের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- ভুসুকুপাদ
৭৮. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে শবর দম্পতির প্রেম ও মিলনের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- শবরপাদ
৭৯. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে চন্দ্রোদয়ের রূপক ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- ভুসুকুপাদ
৮০. কোন সিদ্ধাচার্যের পদে পদ্মা নদীর উল্লেখ আছে?
উ:- কাহ্নপাদ
৮১. কোন চর্যাকার নিজেকে রাউতু (রাজপুত্র/ অশ্বারোহী সৈনিক) বলে ঘোষণা করেছিলেন?
উ:- ভুসুকুপাদ
৮২. কোন চর্যাকার নিজেকে বঙ্গালি ঘোষণা করেছিলেন?
উ:- ভুসুকুপাদ
৮৩. উঁঞ্চা উঁঞ্চা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী – এই পদটি কে লিখেছিলেন?
উ:- শবরপাদ
৮৪. হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী- এই পংক্তির রচয়িতা কে?
উ:- ঢেণ্ঢণ পাদ
ভাষা ছন্দ অলংকার ও রাগ
৮৫. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা প্রকাশকাল সম্পাদক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এই গ্রন্থে সংকলিত সমস্ত পুঁথি কোন ভাষায় রচিত?
উ:- প্রাচীন বাংলা
৮৬. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা প্রকাশের পর কে প্রথম এই গ্রন্থের সবকটি মৌলিক পুঁথিকে প্রাচীন বাংলায় রচিত নয় বলে দাবি করেছিলেন?
উ:- বিজয় মজুমদার
৮৭. ভাষাতাত্ত্বিক বিজয়চন্দ্র মজুমদার কোন মাসিক পত্রিকায় প্রথম বিভিন্ন প্রবন্ধের মাধ্যমে হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা য় সংকলিত প্রতিটি মৌলিক পুঁথির ভাষা গোত্র নির্নয়ে সচেষ্ট হয়েছিলেন?
উ:- বঙ্গবাণী
৮৮. ভাষাতাত্ত্বিক বিজয়চন্দ্র মজুমদার কোন বক্তৃতামালায় (১৯২০) হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা য় সংকলিত চারটি মৌলিক পুঁথির ভাষা গোত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছিলেন?
উ:- The History of the Bengal Language
৮৯. ভাষাতাত্ত্বিক বিজয়চন্দ্র মজুমদার হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা য় সংকলিত চর্যাগীতি, কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং সরহপাদের দোহা কে মূলত কোন ভাষায় রচিত বলে দাবী করেছিলেন?
উ:- হিন্দি
৯০. ভাষাতাত্ত্বিক বিজয়চন্দ্র মজুমদার হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা য় সংকলিত ডাকার্ণবের পুঁথি টিকে কোন ভাষায় রচিত বলে দাবী করেছিলেন?
উ:- সংস্কৃত ও প্রাকৃতের সংমিশ্রণ
৯১. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সর্বপ্রথম কোন গ্রন্থে (১৯২৬) ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, এবং ছন্দের ভিত্তিতে বিচার করে হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা য় সংকলিত চারটি মৌলিক পুঁথির ভাষা গোত্র বিচার করেছিলেন?
উ:- The Origin and Development of the Bengali Language
৯২. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা য় সংকলিত কৃষ্ণাচার্যের দোহা, সরহপাদের দোহা এবং ডাকার্ণব কোন ভাষায় রচিত?
উ:- পশ্চিমা অপভ্রংশ বা শৌরসেনী অপভ্রংশ
৯৩. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে চর্যাগীতিগুলি কোন ভাষায় রচিত?
উ:- প্রাচীন বাংলা
৯৪. চর্যাগীতির ভাষা কোন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত?
উ:- নব্য ভারতীয় আর্য
৯৫. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলি কোন ভাষায় রচিত?
উ:- প্রাচীন বাংলা
৯৬. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলি যে প্রাচীন বাংলায় রচিত তা প্রথম যুক্তিসহ নিঃসংশয়ে জানান কে?
অথবা
কে প্রথম ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দের বিচারে চর্যাগীতিগুলির ভাষা গোত্র নির্নয় করেছিলেন?
উ:- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের
৯৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলিকে কে প্রথম হিন্দি ভাষায় রচিত বলে দাবী করেছিলেন?
উ:- বিজয়চন্দ্র মজুমদার
৯৮. চর্যাগীতিগুলিকে হিন্দি বা বিহারী ভাষায় রচিত বলে অভিমত প্রকাশ করেছিলেন কারা?
অথবা
চর্যাগীতিগুলির রচয়িতা সিদ্ধাচার্যের বিহারী বলে কারা দাবি করেছিলেন?
উ:- রাহুল সাংকৃত্যায়নের জয়কান্ত মিশ্র কাশীপ্রসাদ জয়সোয়াল
৯৯. ড. জয়কান্ত মিশ্র চর্যাগীতিগুলিকে কোন ভাষা সাহিত্যের আদি নিদর্শন রূপে চিহ্নিত করেছেন?
উ:- মৈথিলী
১০০. ড. জয়কান্ত মিশ্র তাঁর কোন গ্রন্থে চর্যাগীতিগুলিকে মৈথিলী সাহিত্যের আদি নিদর্শন রূপে চিহ্নিত করেছেন?
উ:- The History of Maithaili Literature:vol-1
১০১. চর্যাগীতিগুলির উপর কোন ভাষার উত্তরাধিকার সবচেয়ে দুর্বল?
উ:- হিন্দি
১০২. ” …. সহজিয়া ধর্ম্মের সকল বইই সান্ধ্য ভাষায় লেখা, সান্ধ্যভাষার মানে আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না অর্থাৎ এই সকল উঁচু অঙ্গের ধর্ম্মকথার ভিতরে একটা অন্য ভাবের কথাও আছে। ” – চর্যাগীতিতে ব্যবহৃত সান্ধ্যভাষার প্রেক্ষিতে এই অভিমত টি কার?
উ:- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
১০৩. সন্ধ্যা বানানটি লিপিকর প্রমাদ, প্রকৃত বানান “সন্ধা”। এই অভিমত টি কার?
উ:- বিধুশেখর শাস্ত্রী
১০৪. মহামহোপাধ্যায় বিধুশেখর শাস্ত্রী কথিত সন্ধা বানান টির ব্যুৎপত্তি ও ব্যাখ্যা কে সমর্থন করেছিলেন?
উ:- প্রবোধচন্দ্র বাগচী
১০৫. চর্যাগীতিতে ব্যবহৃত সন্ধ্যাভাষাকে কে আঞ্চলিক উপভাষা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন?
উ:- পাঁচকড়ি বন্দোপাধ্যায়
১০৬. চর্যাগীতিতে ব্যবহৃত সন্ধ্যাভাষার প্রকৃত অর্থ—
উ:- গূঢ়ার্থ প্রতিবাদক বচন সংকেত আভিপ্রায়িক দ্ব্যর্থ ভাষা
১০৭. দুলি দুহি পিটা ধরন না জাই। —- “দুলি” শব্দটির অর্থ কি?
উ:- কচ্ছপ
১০৮. দুআন্তে চিখিল মাঝেঁ ন থাহী —– এই পদটির “চিখিল” শব্দের অর্থ?
উ:- কর্দম
১০৯. তিন ন চ্ছুপই হরিণা—- বাক্যাংশ “চ্ছুপই” শব্দের অর্থ?
উ:- ছোঁয়া
১১০. গেলী জাম বহুড়ই কইসেঁ—- ছত্রটিতে “গেলী” শব্দের অর্থ?
উ:- গত
১১১. তোহোর অন্তরে মোত্রঁ খলিলি হাড়েরি মালী—– পঙক্তির “অন্তরে” শব্দের অর্থ?
উ:- জন্য
১১২. প্রাচীন বাংলা খেলহুঁ নঅবল বাক্যাংশ হুঁ এসেছে—-?
উ:- ধ্বম্ থেকে
১১৩. চর্যাপদের ছন্দ রীতিকে বলা হয়—?
উ:- প্রত্নপ্রাকৃত
১১৪. চর্যাপদ ছন্দের মূল ভিত্তি কি?
উ:- পাদাকুলক
১১৫. ছান্দসিক ড. প্রবোধচন্দ্র সেন চর্যাগীতির ছন্দোরীতিকে কি নামে অভিহিত করেছেন?
উ:- অপকৃষ্ট পাদাকুলক
১১৬. চর্যাগীতির পুঁথিতে প্রাপ্ত ৪৬.১/২ টি পদের মধ্যে মোট কতগুলি পদ পাদাকুলক ছন্দের আদর্শে রচিত?
উ:- ৩৬
১১৭. চর্যাগীতিতে ব্যবহৃত ছন্দে প্রতিটি পংক্তির মাত্রা সংখ্যা কত?
উ:- ১৬
১১৮. কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল —- চর্যাপদের এই চরণটির কত মাত্রার?
উ:- ৮+৮ মাত্রার
১১৯. চর্যাগীতিতে কোন অলংকার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে?
উ:- রূপক
১২০. চর্যাগীতিতে কোন গানের উল্লেখ আছে?
উ:- রাগরাগিনীর উল্লেখ
১২১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলিতে সর্বমোট কতগুলি রাগের প্রয়োগ লক্ষিত হয়?
উ:- ১৯ টি
১২২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক আবিষ্কৃত চর্যাগীতির প্রথম পদটি যে রাগে রচিত হয়েছে?
অথবা
চর্যাগীতির পুঁথিতে সংকলিত লুইপাদের সমস্ত পদ(২) যে রাগে রচিত হয়েছে?
উ:- পটমঞ্জরি
১২৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতৃক আবিষ্কৃত চর্যাগীতির শেষ পদটি (৫০ তম) কোন রাগে রচিত হয়েছে?
উ:- রামক্রি
১২৪. সর্বাধিক চর্যাগীতি কোন রাগে রচিত হয়েছে?
উ:- পটমঞ্জরি
১২৫. পটমঞ্জরি রাগে মোট কতগুলি চর্যাগীতি রচিত হয়েছে?
উ:- ১১ টি
১২৬. পটমঞ্জরি রাগে সর্বাধিক পদ রচনা করেছেন কে?
উ:- কাহ্নপাদ
১২৭. পটমঞ্জরি রাগে কাহ্নপাদ মোট কতগুলি পদ রচনা করেছেন?
উ:-৪টি
১২৮. পটমঞ্জরি ব্যতীত অন্য কোন রাগে সর্বাধিক পদ রচিত হয়েছে?
উ:- মল্লারী
১২৯. মল্লারী রাগে মোট কতগুলি চর্যাগীতি রচিত হয়েছে?
উ:- ৫ টি
১৩০. মল্লারী রাগে সর্বাধিক পদ কে রচনা করেছেন?
উ:- ভুসুকুপাদ
১৩১. মল্লারী রাগে ভুসুকুপাদ মোট কতগুলি পদ রচনা করেছেন?
উ:- ২ টি
১৩২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক উদ্ধারীকৃত চর্যাগীতিগুলিতে মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে এমন রাগের সংখ্যা কত?
উ:- ১০
১৩৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক উদ্ধারীকৃত চর্যাগীতিগুলিতে মাত্র দুবার ব্যবহৃত হয়েছে এমন রাগের সংখ্যা কত?
উ:- ২ টি