আম্লিক লাভা ও ক্ষারকীয় লাভার পার্থক্য: ভূপৃষ্ঠের কোন ফাটল বা আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূগর্ভ থেকে নির্গত তরল পদার্থ কে লাভা বলে। লাভা গুলিতে উপস্থিত সিলিকা র পরিমানের উপর ভিত্তি করে দুটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা – আম্লিক লাভা ও ক্ষারকীয় লাভা। এই আম্লিক লাভা ও ক্ষারীয় লাভার মধ্যে বৈশিষ্ট্য গত দিক থেকে নানা রূপ পার্থক্য দেখা যায়। নিচে আম্লিক লাভা ও ক্ষারকীয় লাভার পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
1) সংজ্ঞা
যে লাভায় সিলিকর পরিমাণ 65% এর বেশি সেই লাভা কে আম্লিক লাভা বলে।
যে লাভায় সিলিকর পরিমাণ 45-60%, তাকে ক্ষারকীয় লাভা বলে।
2) অপর নাম
আম্লিক লাভায় অ্যালুমিনিয়াম ও সিলিকার পরিমাণ বেশি থাকায় একে ফেলসিক লাভা বলে।
ক্ষারকীয় লাভা য় ম্যাগনেসিয়াম ও লোহার পরিমাণ বেশি থাকেে বলে একে ম্যাফিক লাভা বলে।
3) সান্দ্রতা
আম্লিক লাভার সান্দ্রতার পরিমাণ খুব বেশি।
ক্ষারকীয় লাভার সান্দ্রতা কম হয়।
4) বিস্তার ও জমাট বদ্ধতা
আম্লিক লাভা বেশিদূর বিস্তার লাভ করতে পারে না এবং দ্রুত জমে যায়।
সান্দ্রতা কম হওয়ায় ক্ষারকীয় লাভা বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।
5) সৃষ্ট আগ্নেয়গিরির প্রকৃতি
আম্লিক লাভার দ্বারা সৃষ্ট আগ্নেয়গিরি খাড়া কোন বিশিষ্ট হয়।
ক্ষারকীয় লাভা দ্বারা গঠিত আগ্নেয়গিরির উপরিভাগ চ্যাপ্টা প্রকৃতির হয়।
6) সৃষ্ট শিলার উদাহরণ
আম্লিক লাভায় সৃষ্ট শিলার উদাহরণ হল রায়োলাইট, গ্রানাইট।
ক্ষারকীয় লাভা দ্বারা গঠিত শিলার উদাহরণ হল ব্যাসল্ট, গ্যাব্রো প্রভৃতি।
7) ক্যালসিয়ামের পরিমাণ
আম্লিক লাভায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে কম।
ক্ষারকীয় লাভায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে বেশি।
8) রং বা বর্ণ
আম্লিক লাভা গুলি হালকা সাদা বা ধূসর বর্ণের হয়।
ক্ষারকীয় লাভা গুলি ঘন কালো রঙের হয়।
9) পাত সীমানা
অভিসারী পাত সীমানা বরাবর আম্লিক লাভার উপস্থিত দেখা যায়।
প্রতিসারী পাত সীমানা বরাবর ক্ষারকীয় লাভার উপস্থিতি দেখা যায়।
10) অগ্ন্যুৎপাতের প্রকৃতি
আম্লিক লাভা দ্বারা সৃষ্ট আগ্নেয়গিরি থেকে বিস্ফোরণ সহকারে অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে।
ক্ষারকীয় লাভা থেকে বিদায় শ্রেণীর অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে।