দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য লেখাে

Rate this post

দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য লেখাে: প্রকৃতি ও মনুষ্য সৃষ্ট যে ঘটনা গুলো মানুষের প্রাণহানী ঘটায়, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কে ব্যাহত করে, প্রাকৃতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সম্পদের ক্ষতি করে সেই ঘটনা গুলোকে তাদের তীব্রতা, ক্ষয় ক্ষতির মাত্রা অনুসারে দুটো শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা – দুর্যোগ ও বিপর্যয়। এখানে এই দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পার্থক্য গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

1. ধারণা 

অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যখন হঠাৎ স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দ পতন ঘটায়, তখন তাকে দুর্যোগ বলে। 

দুর্যোগের প্রভাবে ব্যাপক আকারে প্রাণহানী, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ ধ্বংস হওয়া কে বিপর্যয় বলে।

2. নিয়ন্ত্রণ 

আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার সাহায্যে দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

বিপর্যয় কে নিয়ন্ত্রন করা যায় না। উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাহায্যে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়।

3. জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব

দূর্যোগ জীবনযাত্রা কে রুদ্ধ না করলেও অল্প বিস্তর জীবনযাত্রা কে ব্যাহত করে। 

বিপর্যয় ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা  সম্পূর্ণ ভাবে রুদ্ধ হয়ে যায়।

4. প্রকৃতি

দুর্যোগ ক্ষুদ্র স্কেলে ঘটে থাকে। 

বিপর্যয় বৃহৎ স্কেলে সংঘটিত হয়।

5. প্রাণহানী

দুর্যোগের ফলে প্রাণহানী প্রায় হয় না বললেই চলে।

বিপর্যয়ের ফলে বহুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ হানির সম্ভাবনা থাকে।

6. ক্ষয়ক্ষতি

দুর্যোগের সঙ্গে বৃহদাকার ক্ষয় ক্ষতি যুক্ত থাকে না।

কোন স্থানে বিপর্যয় সংঘটিত হলে প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যাপক হারে ক্ষতি হয়। 

7. উদাহরণ 

দুর্যোগের উদাহরণ হল ধ্বস, মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প, খরা, শিলাবৃষ্টি প্রভৃতি।

প্রবল গতিবেগ সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়, প্রবল তীব্রতার ভূমিকম্প, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ প্রভৃতি বিপর্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।

Leave a Comment