জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের মধ্যে পার্থক্য: জীবমন্ডলকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কর্তৃক জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। এই দুই ধরণের সংরক্ষন অঞ্চলে জীবজন্তুর উপস্থিতি, সংরক্ষন এবং মনুষ্য অধিকার প্রভৃতি বিভিন্ন দিক থেকে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারন্যের মধ্যে পার্থক্য গুলি নিচে আলোচনা করা হল।
প্রথম
- জাতীয় উদ্যানে জীবজন্তুর নিরাপত্তা অভয়ারন্যের থেকে অনেক বেশি ।
- অন্য দিক অভয়ারন্যের বেশ কিছু অংশে মানুষের কার্যকলাপের সুযোগ থাকে।
দ্বিতীয়
- একটি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একের বেশি বাস্তুতন্ত্র থাকে।
- কিন্তু অভয়ারন্যে মূলত একটি অভয়ারন্য থাকে।
তৃতীয়ত
- জাতীয় উদ্যানে পশুচারন সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ ।
- অভয়ারন্যে অনুমতি নিয়ে পশুচারন করা যায়।
চতুর্থ
- জাতীয় উদ্যানে নিদিষ্ট কোন প্রজাতির উপর তেমন কোন গুরুত্ব প্রদান করা হয় না।
- অন্যদিকে অভয়ারন্য সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্যই হল নিদিষ্ট প্রজাতির সংরক্ষণ করা।
যেমন – পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া অভয়ারন্যে এক শৃঙ্গ গন্ডার সংরক্ষন
পঞ্চম
- জাতীয় উদ্যান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্বারা তৈরি করা হয়।
- অন্যদিকে অভয়ারন্য কেবল মাত্র রাজ্য সরকার তৈরি করে থাকে।
ষষ্ট
- জাতীয় উদ্যানকে অভয়ারন্যে রূপান্তর করা যায় না ।
- কিন্তু একটি অভয়ারন্যকে জাতীয় উদ্যানে পরিবর্তন করা যায়।
সপ্তম
- জাতীয় উদ্যানের উদাহরণ হল – সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, কানহা জাতীয় উদ্যান।
- অভয়ারন্যের উদাহরণ হল – নাগার্জুন সাগর, সুলতানপুর অভয়ারন্য।