পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাম ও তাদের প্রতিষ্ঠাকাল – পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক বিভাগ: ভারতীয় ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম ও সিকিম রাজ্য অবস্থিত। রাজ্যের উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে গঙ্গা পূর্বমুখে এবং তার শাখানদী হুগলি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডোর উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষা করছে। পশ্চিমবঙ্গ একাধিক ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যেমন, দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল, রাঢ় অঞ্চল, পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল, সুন্দরবন এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল।
১৯৪৭ সালে, যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে, তখন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশ বিভাজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত প্রদেশের ১৪টি জেলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গঠিত হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি পূর্বতন দেশীয় রাজ্য কোচবিহার একটি জেলা রূপে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর রাজ্যের হুগলি জেলার একটি অংশরূপে যুক্ত হয়। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভুক্তি ঘটে এবং বিহারের অপর একটি অংশ পশ্চিম দিনাজপুরের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিম দিনাজপুর, মেদিনীপুর, চব্বিশ পরগনা, ও জলপাইগুড়ি জেলার মতো বৃহদাকার জেলাগুলিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয়।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ৫টি বিভাগ ও ২৩টি জেলা থেকে বেড়ে ৩০টি জেলায় হয়েছে। ১লা আগস্ট ২০২২ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে ৭টি জেলার কথা ঘোষণা করেন (নতুন ৭টি জেলা হল – সুন্দরবন, ইচ্ছেমতী, বসিরহাট,রানাঘাট,বিষ্ণুপুর, বহরমপুর ও কান্দি)
বিভাগগুলি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাগুলি জেলাশাসকের দ্বারা শাসিত হয়। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা কলকাতা জেলায় অবস্থিত। অন্যান্য জেলাগুলি মহকুমা ও ব্লকে বিভক্ত। এগুলি যথাক্রমে মহকুমা শাসক ও ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দ্বারা শাসিত হয়। এই রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ত্রিস্তরীয়। গ্রামস্তরে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা “গ্রাম পঞ্চায়েত”, ব্লকস্তরে “পঞ্চায়েত সমিতি” ও জেলাস্তরে “জেলা পরিষদ” নামে পরিচিত। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পরিণত হয়েছে। এই সালেই ঘোষিত আরো দুটি জেলা হল ঝাড়গ্রাম জেলা ও কালিম্পং জেলা।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাম ও তাদের প্রতিষ্ঠাকাল
নং | জেলা | প্রতিষ্ঠাকাল |
---|---|---|
১ | দার্জিলিং | ১৯৪৭ |
২ | জলপাইগুড়ি | ১৯৪৭ |
৩ | মালদা | ১৯৪৭ |
৪ | বীরভূম | ১৯৪৭ |
৫ | মুর্শিদাবাদ | ১৯৪৭ |
৬ | পূর্ব বর্ধমান | ১৯৪৭ |
৭ | নদীয়া | ১৯৪৭ |
৮ | বাঁকুড়া | ১৯৪৭ |
৯ | হুগলী | ১৯৪৭ |
১০ | হাওড়া | ১৯৪৭ |
১১ | কলকাতা | ১৯৪৭ |
১২ | কোচবিহার | ১৯৫০ |
১৩ | পুরুলিয়া | ১৯৫৬ |
১৪ | উত্তর চব্বিশ পরগনা | ১৯৮৬ |
১৫ | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা | ১৯৮৬ |
১৬ | উত্তর দিনাজপুর | ১৯৯২ |
১৭ | দক্ষিণ দিনাজপুর | ১৯৯২ |
১৮ | পূর্ব মেদিনীপুর | ২০০২ |
১৯ | পশ্চিম মেদিনীপুর | ২০০২ |
২০ | আলিপুরদয়ার | ২০১৪ |
২১ | কালিম্পং | ২০১৭ |
২২ | ঝাড়গ্রাম | ২০১৭ |
২৩ | পশ্চিম বর্ধমান | ২০১৭ |