ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ২০১৯ – Forest Survey of India 2019: ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এফএসআই ), জুন 1981 সালে প্রতিষ্ঠিত এবং উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে সদর দপ্তর , হল ভারত সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক সংস্থা যেটি পর্যায়ক্রমে ভূমি এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বন জরিপ , গবেষণা এবং গবেষণা পরিচালনা করে। বন সম্পদ এবং পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা, সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার তথ্য উপস্থাপন করে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন’ দপ্তরের অধীনে Forest Survey of India 2019 সালের ভারতীয় অরণ্য প্রতিবেদন বা তথ্য প্রকাশ করে। ১৯৮৭ সালে থেকে Forest Survey of India এই তথ্য প্রকাশ করছে এবং এটি ১৬ তম প্রতিবেদন।
অরণ্য প্রতিবেদনের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য
ক) মোট ৫১৮৮ বর্গকিমি গাছ ও অরন্যের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
খ) ভারতে কার্বন ডাই অক্সাইড ধারন করার ক্ষমতা ৪৬ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ) ভারতের মোট ভূখন্ডের প্রায় ২১.৬৭ % অরণ্য দ্বারা আবৃত রয়েছে যা ২০১৭ সালে ছিল ২১.৫৪%।
ঘ) কেবল মাত্র বৃক্ষ দ্বারা মোট ভূভাগের ২.৮৯% আবৃত আছে।
ঙ) বৃক্ষ ও অরণ্য দ্বারা আচ্ছাদিত ভূভাগ মোট ভূখন্ডের ২৪.৫৬% ।
চ) ঘন অরণ্যের ক্ষেত্রে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমান থাকে ৭০% এবং মাঝারি ঘন অরণ্যের ক্ষেত্রে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমান ৪০-৭০% ।
ছ) আয়তনের দিক থেকে মধ্যপ্রদেশে অরন্যের পরিমান সব থেকে বেশি, তারপর অরুনাচল প্রদেশ, ছত্তিসগড়, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র।
জ) শতকরা হিসাবে অরণ্য আচ্ছাদনে মিজোরাম রাজ্য প্রথম । মিজোরামে প্রায় ৮৫.৪১% ভূমি অরণ্য দ্বারা আবৃত। এরপর অরুনাচল প্রদেশ (৭৯.৬৩%), মেঘালয় (৭৬.৩৩%), মনিপুর (৭৫.৪৬ %) এবং নাগাল্যান্ড (৭৫.৩১%)।
ঝ) যে পাঁচটি রাজ্যে অরন্যের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলি হল – কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, জম্বু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ।
ঞ) সর্বাধিক অরন্যের বিনাশ ঘটেছে এমন প্রধান তিনটি রাজ্য – মনিপুর, অরুনাচল প্রদেশ ও মিজোরাম
ট) ভারতে মোট ম্যানগ্রোভের পরিমান – ৪৯৭৫ বর্গকিমি
ঠ) ২০১৭ তুলনায় প্রায় ৫৪ বর্গকিমি ম্যানগ্রোভ অরণ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ড) ভারতের প্রায় ২১.৪০% অরণ্যের দাবানলের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢ) প্রজাতি প্রতুলতার দিক থেকে কর্নাটক রাজ্য প্রথম।