ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে? ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখো।

Rate this post

ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে? ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখো: ভূ-পৃষ্ঠের কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় সমূহের অবস্থান ও সমন্বয় যখন নির্দিষ্ট প্রতীক চিহ্ন ও রং ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অক্ষাংশিক ও দ্রাঘিমাংশিক সীমারেখার মধ্যে নির্দিষ্ট স্কেলে জ্যামিতিক পদ্ধতিতে অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বলে।

ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য

১)সুনির্দিষ্ট স্কেল-ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র হলো বৃহৎ সার্কেলের মানচিত্র। ইহা সুনির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কন করা হয়।

২)সুনির্দিষ্ট অবস্থান-ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রগুলির সুনিদিষ্ট অক্ষাংশিক ও দ্রাঘিমাংশিক অবস্থান থাকে।

৩)নির্দিষ্ট উপাদান উপস্থাপন-ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক উপাদান তথা ভূ-প্রকৃতি, নদ নদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ এবং সাংস্কৃতিক উপাদান তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনবসতি স্থাপন করা হয়।

৪)রং, রেখা ও প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার-ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলিকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট রং, রেখা ও প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমন ভূপ্রকৃতি বোঝানোর জন্য বাদামি রঙের রেখা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ বোঝানোর জন্য সবুজ রং, রেলপথ বোঝানোর জন্য কালো রঙের রেখা ব্যবহার করা হয়।

৫)প্রাথমিক তথ্যের ব্যবহার-প্রধানত জমি জরিপ করে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র অঙ্কন করা হয়। বর্তমানে অবশ্য উপগ্রহের মাধ্যমে ও বিমান থেকে ছবি তুলে সংগৃহীত সুনির্দিষ্ট ও নির্ভুল প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে এই মানচিত্র অঙ্কন করা হচ্ছে।

৬)সূচক সংখ্যা-প্রতিটি ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের একটি নির্দিষ্ট সূচক সংখ্যা থাকে। যেমন-ভারতের ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রগুলিতে 40-92 মূল সংখ্যা, A-P গৌণ সংখ্যা এবং 1-16 প্রগৌণ সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।

ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের গুরুত্ব ও ব্যবহার

১)ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র থেকে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশগত অবস্থান সম্পর্কে সঠিক জানা যায়।

২)ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র থেকে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, নদ নদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ ইত্যাদি প্রাকৃতিক এবং পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, জনবসতি ইত্যাদি সাংস্কৃতিক উপাদান সম্পর্কে জানা যায়।

৩)এই মানচিত্রের সাহায্যে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়।

৪)এই মানচিত্রের সাহায্যে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের সম্পদ সম্পর্কে সমীক্ষা করা যায় এবং আঞ্চলিক আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতি উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়।

৫)এই ধরনের মানচিত্র সামরিক ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা।

Leave a Comment