জর্জ সাইমন ওহম জীবনী: gksolve.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Georg Simon Ohm Biography in Bengali. আপনারা যারা জর্জ সাইমন ওহম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী জর্জ সাইমন ওহম এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।
জর্জ সাইমন ওহম কে ছিলেন? Who is Georg Simon Ohm?
গেয়র্গ সিমোন ওম (১৬ মার্চ, ১৭৮৯ – ৬ জুলাই, ১৮৫৪) ছিলেন জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ। ১৮২৬ সালে তিনি ও’মের সূত্র আবিষ্কার করেন। তার ছোট ভাই মার্টিন ওম একজন প্রখ্যাত গণিতবিদ।
জর্জ সাইমন ওহম জীবনী – Georg Simon Ohm Biography in Bengali
নাম | জর্জ সাইমন ওহম |
জন্ম | 16 মার্চ 1789 |
পিতা | ইয়োহান ভল্ফগাং ওহম |
মাতা | মারিয়া এলিজাবেথ বেক |
জন্মস্থান | এরলাঙ্গেন, জার্মানি |
জাতীয়তা | জার্মানি |
পেশা | পদার্থ বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ |
মৃত্যু | 6 জুলাই 1854 (বয়স 65) |
জর্জ সাইমন ওহম এর জন্ম: Georg Simon Ohm’s Birthday
জর্জ সাইমন ওহম ১৬ মার্চ ১৭৮৯ জন্মগ্রহণ করেন।
জর্জ সাইমন ওহম এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Georg Simon Ohm’s Parents And Birth Place
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি মাত্র সূত্র আবিষ্কার করেই ভবিষ্যৎকালের বিজ্ঞানীদের বহুতর গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করে দেন এক এক জন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের ইতিহাস তাদের যথোপযুক্ত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এমনি এক মহান বিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম। তার আবিষ্কৃত তড়িৎ বিজ্ঞানের সূত্রটি ওহমের সূত্র নামে পরিচিত। জর্জ ওহম জন্মগ্রহণ করেন ১৭৮৭ খ্রিঃ জার্মানীতে এক দরিদ্র পরিবারে।
জর্জ সাইমন ওহম এর শিক্ষাজীবন: Georg Simon Ohm’s Educational Life
অভাব অনটনের সংসারে থেকে প্রচন্ড পরিশ্রম স্বীকার করে তাঁকে লেখাপড়া শিখতে হয়েছিল। তবে অভাবের চাপে মাঝে মাঝেই পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হত। অর্থোপার্জনের জন্য ছোটখাট কাজ করতে হত। কিছু সঞ্চয় হলে আবার পড়াশোনা আরম্ভ করতেন। বিদ্যার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ থাকার ফলেই তিনি পড়াশোনার জগতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অভাবের বাধাকে তিনি সগৌরবে জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বি.এ পাশ করে কলেজের পড়া সাঙ্গ করেন।
ছেলেবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। একসময়ে এমন ইচ্ছাও পোষণ করতেন, তিনি বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করবেন। অর্থকৃচ্ছ্বতার উপর্যুপরি বাধার মধ্যে থেকেও তিনি মনের সঙ্গোপন ইচ্ছা পরিত্যাগ করেননি। অসাধারণ মেধা ছিল তার। সেই সঙ্গে ছিল অধ্যবসায়। এরই সংযোগে তাঁর প্রতিভা বিকাশ লাভের সুযোগ পেয়েছিল।
জর্জ সাইমন ওহম এর কর্ম জীবন: Georg Simon Ohm’s Work Life
বি.এ পাশ করার পর ওহম জেসুইট হাইস্কুলে শিক্ষকতার কাজ গ্রহণ করেন। এই কাজে থাকার সময়েই তিনি বিজ্ঞানের গবেষণার সুযোগ পান। সেই সময়ে বিজ্ঞানীরা তড়িৎ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় মেতে উঠেছিলেন। ওহমও এই বিষয়ে আকর্ষণ বোধ করলেন। তিনি গভীর মনোযোগের সঙ্গে গবেষণা আরম্ভ করলেন এবং কিছুকাল পরেই আবিষ্কার করলেন তড়িৎ বিজ্ঞানের একটি মহান সূত্র।
১৮২৬ খ্রিঃ তার এই আবিষ্কারের কথা বিশ্ববাসী জানতে পারল। বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি জানালেন। ওহম – এর বিখ্যাত সূত্রটি হল, তাপমাত্রা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে কোন পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব প্রভেদের সমানুপাতিক হয় ৷ ওহম – এর এই সূত্রটি প্রবাহী তড়িৎ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় সূত্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
এই কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ নুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় জর্জ ওহমকে ১৮৩৩ খ্রিঃ পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। এখানে কিছুকাল কাজ করার পরেই তিনি মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ পান ৷ পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন।
জর্জ সাইমন ওহম এর পুরস্কার ও সম্মান: Georg Simon Ohm’s Awards And Honors
বহু সম্ভাবনাময় মহান আবিষ্কারের জন্য ওহম বহু বিজ্ঞান সংস্থার কাছ থেকে সম্মান লাভ করেন। ১৮৪১ খ্রিঃ লন্ডনের রয়েল সোসাইটি তাঁকে স্বর্ণপদক প্রদান করে। তড়িৎ বিজ্ঞানের একটি একক – ও ওহম – এর নামে প্রচলিত হয়েছে।
জর্জ সাইমন ওহম এর মৃত্যু: Georg Simon Ohm’s Death
১৮৫৪ খ্রিঃ এই বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়।