আধুনিক ভারতের ইতিহাস SAQ প্রশ্ন উত্তর: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আধুনিক ভারতের ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তর PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আধুনিক ভারতের ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তর PDF.
নিচে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। আধুনিক ভারতের ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তর PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।
- দস্তক কী?
উত্তর: দস্তক হল বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার ছাড়পত্র। মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বের শেষের দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি 1690 খ্রিস্টাব্দে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার বিনাশুল্কে বাণিজ্যের অনুমতি বা দস্তক পায়। এই ছাড়পত্র কেবলমাত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিজের পণ্য দ্রব্যের ক্ষেত্রে এই দস্তক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির কর্মচারীগণ ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে দস্তক ব্যবহার করে নবাবের প্রাপ্য রাজস্বকে ফাঁকি দিতে শুরু করে হলে তৎকালীন বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি 1713 খ্রিস্টাব্দে খাঁ দস্তক প্রথা বাতিল করেন। অবশেষে 1717 খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফারুখশিয়ার কোম্পানির পক্ষে ফরমান জারি করে পুনরায় দস্তক ব্যবহারের অনুমতি দেন।
- ফারুকশিয়ারের ফরমান কী?
উত্তর: বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি 1713 খ্রিস্টাব্দে খাঁ দস্তক ব্যবহার বাতিল করলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি 1717 খ্রিস্টাব্দে জন সুরম্যানের নেতৃত্বে মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ারের কাছ থেকে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য পড়ার ছাড়পত্র বা দস্তক লাভ করে যা ফারুকশিয়ার ফরমান নামে পরিচিত।
- ফারুকশিয়ার ফরমানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কী কী সুবিধা লাভ করে?
উত্তর: ফারুকশিয়ার ফরমান লাভ করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যে সকল সুবিধাগুলি পেয়ে ছিল সেগুলি হল
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বার্ষিক মাত্র 3000 টাকার বিনিময়ে বাংলায় বিনাশুল্কে শুধুমাত্র বৈদেশিক অনুমতি পায়।
- বাণিজ্যের ব্যাপারে কোম্পানি দস্তক ব্যবহারের অনুমতি পায়। মালবাহী জাহাজ এই দস্তক দেখালে নবাবের কোনো কর্মচারী ওই জাহাজ পরীক্ষা করবেন না।
- কলকাতা, গোবিন্দপুর ও সুতানুটি ছাড়াও আরো কলকাতা সন্নিহিত 38 টি গ্রাম সামান্য অর্থের বিনিময়ে কেনার অনুমতি পায়।
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুর্শিদাবাদের টাঁকশাল থেকে মুদ্রা তৈরি অধিকার পায়।
4. মসলিন কী?
উত্তর: বাংলাদেশের ঢাকাতে উৎপাদিত এক ধরনের সূক্ষ্ম ও শৌখিন সুতি বস্ত্র হল মসলিন, যা ছোট দেশলাইয়ের বাক্সের মধ্যে অনায়াসে রাখা যেত। দেশ-বিদেশে এ মসলিন বস্ত্রের খুব সুনাম ছিল।
- অন্ধকূপ হত্যা কী?
উত্তর: ইংরেজদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা 1756 খ্রিস্টাব্দের 20 জুন কলকাতা আক্রমণ করে 146 জন ইংরেজকে বন্দি করে একটি ক্ষুদ্র ঘরে রাখেন। এর ফলে 123 জন বন্দী ইংরেজ মারা যান এটি অন্ধকূপ হত্যা নামে পরিচিত।
- কে দ্বৈত শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটান?
উত্তর: 1772 খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটান।
- ম্যাঙ্গালোরের সন্ধির শর্ত কী ছিল?
উত্তর: 1784 খ্রিস্টাব্দে মহীশুরের টিপু সুলতান ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে যে ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি হয় তার শর্ত গুলি হল
- উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বন্দী বিনিময় হবে।
- ইংরেজ কোম্পানি টিপু সুলতান একে অপরের অধিকৃত অঞ্চল ফেরত দেবে।
8. শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির প্রধান দুটি শর্ত কী ছিল?
উত্তর: 1757 খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতান ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে শ্রীরঙ্গপত্তমের যে সন্ধি হয়েছিল তার প্রধান দুটি শর্ত হল –
- টিপু সুলতান যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইংরেজদের 3 কোটি 30 লক্ষ টাকা দেবেন।
- টিপু সুলতান নিজের রাজ্যের অর্ধাংশ ইংরেজ, মারাঠা ও নিজামকে ছেড়ে দেবেন।
9. স্বত্ববিলোপ নীতি কী?
উত্তর: লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা ছিল ইংরেজ আশ্রিত কোন দেশীয় রাজ্যের রাজার বংশধর অর্থাৎ উত্তরাধিকারী থাকলে রাজা মারা যাবার পর ওই রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভুক্ত হয়ে যাবে। দত্তক পুত্রের উত্তরাধিকার স্বীকার করা হবে না বলে এই নীতিতে ঘোষণা করা হয়।
- বেসিনের সন্ধি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর: পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও ও লর্ড ওয়েলেসলির মধ্যে 1802 খ্রিস্টাব্দে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
- দাদন প্রথা কী?
উত্তর: দাদন মানে অগ্রিম অর্থ প্রদান। পলাশীর যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশীয় এজেন্ট ও কর্মচারীর মাধ্যমে তাঁতিদের অগ্রিম অর্থ বা দাদন দিত। কোম্পানির অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করার ফলে তাঁতিরা শুধুমাত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানকে উৎপন্ন বস্ত্র অল্প মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য থাকতো। কোম্পানি ছাড়া আর অন্য কোথাও উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করতে পারত না। একেই দাদন প্রথা বলে।
- সূর্যাস্ত আইন কী?
উত্তর: 1793 খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিশ প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম শর্ত ছিল যে, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে কোম্পানীর নির্ধারিত খাজনা জমা দিতে না পারলে সেই জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
- তিতুমীর কে ছিলেন?
উত্তর: 1827-1831 খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন তিতুমীর। তার প্রকৃত নাম ছিল মির নিশার আলি। তিনি নিজেকে স্বাধীন বাদশাহ বলে ঘোষণা করেন এবং নারকেলেবেড়িয়াতে বাঁশের কেল্লা তৈরি করে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
- এনফিল্ড রাইফেল কী?
উত্তর: এনফিল্ড রাইফেল হল একশ্রেণির বন্দুক। এনফিল্ড বন্দুকের কার্তুজকে কেন্দ্র করে 1857 খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের সূচনা হয়। কার্তুজের মোরকটি গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে প্রস্তুত ছিল এবং সেটি দাঁত দিয়ে ছিড়ে কার্তুজটি বন্দুকে ভরতে হতো। ফলে হিন্দু-মুসলমান সিপাহীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
- দামিন-ই-কোহ কী?
উত্তর: দামিন-ই-কোহ শব্দের অর্থ হল পাহাড়ে প্রান্তদেশ। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হলে সাঁওতালদের বাসভূমি মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম প্রভৃতি অঞ্চল কোম্পানির রাজস্বের অধীনে চলে আসে। তাই বাধ্য হয়ে সাঁওতালরা রাজমহল পার্বত্য অঞ্চলে ও মুর্শিদাবাদের একাংশে নতুন বসতি গড়ে তোলে, যা দামিন-ই-কোহ নামে পরিচিত।
- কে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
- শুদ্ধি আন্দোলন কী?
উত্তর: ব্যাপক ধর্মান্তরের ফলে হিন্দু সমাজে ভাঙ্গন দেখা দেয়। হিন্দু সমাজকে এর হাত থেকে রক্ষার জন্য আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। ধর্মান্তরিত হিন্দু এবং অহিন্দুদের হিন্দু ধর্মের ফিরিয়ে আনার জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যা শুদ্ধি আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলন অনেকাংশে সাফল্য লাভ করলেও এর ফলূ হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
- কে, কোথায় প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ মহারাষ্ট্রে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
- উডের প্রতিবেদনের ফলাফল কি হয়েছিল?
উত্তর: উডের শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদন সুপারিশ অনুযায়ী –
- উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে এলাহাবাদ ও লাহোরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
- বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য সর্বমোট 140 টি মধ্যে ইংরেজি বিদ্যালয় এবং 79 টি উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়কে সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়।
20. দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইনের শর্তগুলি কী ছিল?
উত্তর: 1878 খ্রিস্টাব্দের দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইনের শর্তগুলি হল –
- সরকারবিরোধী কোনো সংবাদ বা রচনা প্রকাশ করলে ওই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শাস্তি পাবেন এবং এ ব্যাপারে বিচারবিভাগে কোন অভিযোগ করা যাবে না।
- সরকারি কোনো কর্মচারী বিশেষ অনুমতি ছাড়া সংবাদপত্র সম্পাদনা করতে পারবেন না।
- সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে অর্থ জমা রাখতে হবে এবং সরকার বিরোধী মন্তব্য ছাপা হলে সে অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
21. কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: ডেভিড হেয়ার কর্তৃক কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা উদ্দেশ্য ছিল
- বিভিন্ন স্থানে ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপন করা।
- ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করা।
22. হান্টার কমিশনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: হান্টার কমিশনের মূল দুটি উদ্দেশ্য হল
- উডের ডেসপ্যাচের সুপারিশগুলি কার্যকর করার পর শিক্ষাব্যবস্থার তদন্ত করা।
- ভারতে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করা।
23. গদর পার্টির লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: আমেরিকা সানফ্রান্সিসকো শহরে লালা হরদয়াল যে গদর পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিল তার লক্ষ্য ছিল ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে প্রবাসী ভারতীয়দের শামিল করানো।
- কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশনে কী হয়েছিল?
উত্তর: 1907 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশনের নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যে মতবিরোধ চরমে উঠল, চরমপন্থীরা অধিবেশন বয়কট করে এবং কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়ে।
- খিলাফৎ আন্দোলন কাকে বলে?
উত্তর: তুরস্কের প্রধান খালিফা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পক্ষ অবলম্বন করার অপরাধে ব্রিটেন খালিফাকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করে এবং তুরস্ক সাম্রাজ্যের বিভাজন ঘটায়। এই ঘটনার বিরোধিতা করে ভারতীয় মুসলমানরা যে আন্দোলন শুরু করেন, তা খিলাফৎ আন্দোলন নামে পরিচিত।
- চৌরিচৌরা ঘটনাটি কী?
উত্তর: উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা নামক স্থানে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী ধরনায় পুলিশ গুলি চালায় এবং এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার থানায় আগুন লাগিয়ে দিলে 22 জন পুলিশ পুড়ে মারা যায় এটি চৌরিচৌরা ঘটনা নামে পরিচিত।
- ত্রিপুরী কংগ্রেসের সুভাষচন্দ্র বসু কাকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন?
উত্তর: 1939 খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরী কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীজী মনোনীত পট্টভি সিতারামাইয়াকে পরাজিত করে বামপন্থী গোষ্ঠীর সমর্থনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
- নেতাজি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম কী রেখেছিলেন?
উত্তর: আন্দামান দ্বীপের নাম নেতাজি রাখেন শহিদ দ্বীপ এবং স্বরাজ দ্বীপ নাম রাখা হয় নিকোবর দ্বীপের।
- মুসলিম লিগের লাহোর (1940) অধিবেশনের গুরুত্ব কী?
উত্তর: 1940 খ্রিস্টাব্দে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লিগের অধিবেশনে বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক পূর্ব ভারত ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চল গুলিকে নিয়ে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি তোলেন এবং এই অধিবেশনেই প্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
- সি. আর. ফর্মূলা কী?
উত্তর: 1944 খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসে চক্রবর্তী রাজগোপালাচারি মহম্মদ আলি জিন্নার পৃথক পাকিস্তান দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন যে, মুসলিম লিগ জাতীয় সরকার গঠনে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা করুক এবং স্বাধীনতা লাভের পর গণভোটের মাধ্যমে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি বিবেচিত হবে।