একনজরে মানবদেহ – মানবদেহ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য: মানব দেহ হল একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ দেহ কাঠামো যা মাথা, ঘাড়, ধড় (যাতে অন্তর্ভুক্ত হলো বক্ষ এবং পেট), বাহু এবং হাত, পা এবং পায়ের পাতা। মানব দেহের প্রতিটি অংশই বিভিন্ন ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত, যা জীবনের মৌলিক একক।
পরিণত অবস্থায়, মানবদেহের কোষের সংখ্যা থাকে গড়ে প্রায় ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। এই সংখ্যাটিকে মানবদেহের অন্যতম উপাত্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং পরবর্তী ধাপের অন্যান্য হিসেবনিকেশের সূচনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেহের সকল অঙ্গের এবং সকল প্রকারের কোষের সংখ্যাকে যোগ করে এই সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়েছে। মানব বেশ কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত যাদের মধ্যে অন্যতম হলো কার্বন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস।
মানবদেহ নিয়ে অধ্যয়নের প্রধান দুটি শাখা হলো শারীরস্থান এবং শারীরবিদ্যা। মানব দেহে প্রায়শই কিছু অঙ্গসংস্থানিক ও রোগনির্ণয়-ভিত্তিক বৈচিত্র্য ও অনিয়মিত অস্বাভাবিকতা দেখা যায় যা শনাক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। শারীরবিদ্যা দেহের অঙ্গতন্ত্রের এবং অঙ্গের কার্যপ্রণালির দিকে নজর দেয়। মানবদেহের বহু তন্ত্র ও কার্যপ্রণালি দৈহিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের জন্য পারস্পরিকভাবে সম্পর্ক তৈরি করে।
একনজরে মানবদেহ – মানবদেহ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য
১ | মানবদেহে মোট পেশির সংখ্যা | ৬৩৯টি |
২ | মানবদেহে মোট অস্থি সংখ্যা | ২০৬টি |
৩ | করোটি অস্থির সংখ্যা | ২২টি |
৪ | করোটি স্নায়ুর সংখ্যা | ১২ জোড়া |
৫ | মানুষের মেরুদণ্ডে কশেরুকা সংখ্যা | ৩৩টি |
৬ | মানুষের গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা সংখ্যা | ৭টি |
৭ | পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুখমণ্ডলে দাঁতের সংখ্যা | ৩২টি |
৮ | মানুষের শরীরে পাঁজর সংখ্যা | ১২ জোড়া |
৯ | মানুষের কঙ্কালতন্ত্র বিভক্ত | দুইভাগে যথা – অক্ষীয় কঙ্কাল ও উপাঙ্গীয় কঙ্কাল |
১০ | অক্ষীয় কঙ্কালে অস্থ সংখ্যা | ৮০টি |
১১ | উপাঙ্গীয় কঙ্কালে অস্থি সংখ্যা | ১২৬টি |
১২ | সুষুম্না স্নায়ু সংখ্যা | ৩১ জোড়া |
১৩ | মানুষের অস্থি গোলকের স্তর | ৩টি |
১৪ | মানবদেহের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী হাড় | ফিমার |
১৫ | সবথেকে ছোট হাড় | স্টেপিস |
১৬ | শরীরে কোষের সংখ্যা | ৭৫ ট্রিলিয়ন |
১৭ | শরীরে রক্তের আয়তন | ৫ লিটার |
১৮ | লোহিত রক্তকণিকার জীবনচক্র | ১২০ দিন |
১৯ | শ্বেত রক্তকণিকার জীবনচক্র | ৩-১৫ দিন |
২০ | লোহিত রক্তকণিকার অন্য একটি নাম | এরিথ্রোসাইটস্ |
২১ | সবথেকে বড় শ্বেত রক্তকণিকা | মোনোসাইটস্ |
২২ | সবথেকে ছোট শ্বেত রক্তকণিকা | লিম্ফোসাইট |
২৩ | মানুষের রক্তে PH এর মাত্রা | ৭.৩৫-৭.৪৫ |
২৪ | মূত্রে PH এর মাত্রা | গড় ৬.৫ |
২৫ | লালারসে PH এর মাত্রা | ৬.০২-৭.০৫ |
২৬ | মাসিক চক্র | ২৮ দিন |
২৭ | রক্ততঞ্চনের সময় | ৩-৫ মিনিট |
২৮ | সর্ববৃহৎ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি | থাইরয়েড গ্রন্থি |
২৯ | মেনোপজের বয়স | ৪০-৫০ বছর |
৩০ | মানবদেহের সবথেকে বড় গ্রন্থি | যকৃৎ |
৩১ | মানবদেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রন্থি | অগ্ন্যাশয় |
৩২ | সবথেকে বড় পেশি | গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস |
৩৩ | সবথেকে ছোট পেশি | স্ট্যাপেডিয়াস |
৩৪ | সবথেকে বড় শিরা | ইনফেরিয়র ভেনাকাভা |
৩৫ | সবথেকে বড় ধমনি | অ্যাওর্টা |
৩৬ | সবথেকে বড় ও শক্তিশালী স্নায়ু | সায়াটিক স্নায়ু |
৩৭ | সবচেয়ে বড় অঙ্গ | ত্বক |
৩৮ | সবচেয়ে পাতলা ত্বক | কনজাংটিভা |
৩৯ | পালস্ এর গতি | ৭২ বার/মিনিট |
৪০ | ক্ষুদ্রতম অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি | পিনিয়াল বডি |
৪১ | সর্ববৃহৎ পৌষ্টিক গ্রন্থি | যকৃৎ |
৪২ | ক্ষুদ্রতম পৌষ্টিক গ্রন্থি | অক্সিন্টিক |
৪৩ | সর্ববৃহৎ লসিকা গ্রন্থি | প্লীহা |
৪৪ | একটি মিশ্র কোষ | অগ্ন্যাশয় |
৪৫ | দেহের দীর্ঘতম কোষ | স্নায়ুকোষ |
৪৬ | ক্ষুদ্রতম কোষ | শুক্রাণু |
৪৭ | ক্ষুদ্রান্ত্রের দৈর্ঘ্য | ৭ মিটার |
৪৮ | বৃহদান্ত্রের দৈর্ঘ্য | ১.৫ মিটার |
৪৯ | মস্তিষ্কের ওজন | ১৩০০-১৪০০ গ্রাম |
৫০ | হৃৎপিণ্ডের ওজন | ২০০-৩০০ গ্রাম |
৫১ | যকৃতের ওজন | ১.৫ কিগ্রা |
৫২ | বৃক্কের ওজন | ১২৫-১৭০ গ্রাম |
৫৩ | সারাদেহে রক্তপ্রবাহের সময় | ২২ সেকেন্ড |
৫৪ | দেহের কঠিনতম অংশ | দাঁতের এনামেল |
৫৫ | দেহের ব্যস্ততম অঙ্গ | হৃৎপিণ্ড |
৫৬ | দেহের শক্তিশালী পেশি | চোয়ালের পেশি |
৫৭ | শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় | যকৃৎ |
৫৮ | রক্ত ক্ষরণের স্বাভাবিক সময় | ২-৫ মিনিট |
৫৯ | স্পষ্ট দৃষ্টির জন্য ন্যূনতম দূরত্ব | ২৫ সেমি |
৬০ | দেহ ওজন | ৭০ কেজি |
৬১ | সাধারণ দেহ উষ্ণতা | ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস |
৬২ | সিমেনের আয়তন | ২.৫ মিলি/প্রতি ইজাকুলেশন |
৬৩ | অণুচক্রিকার অপর নাম | থ্রম্বোসাইট |
৬৪ | সুষুম্না কাণ্ডের দৈর্ঘ্য | ৪২-৪৫ সেমি |