ক্যাটাবেটিক বায়ু ও অ্যানাবেটিক বায়ু কাকে বলে? ক্যাটাবেটিক ও অ্যানাবেটিক বায়ুর মধ্যে পার্থক্য।
ক্যাটাবেটিক বায়ু: পার্বত্য অঞ্চলে রাত্রিবেলা আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে শীতল পার্বত্য ঢালের উপরি অংশের বায়ু দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল ও ভারী হয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে তা পর্বতের ঢালে বরাবর উপত্যকায় নেমে আসে। পার্বত্য অঞ্চলের এইরূপ রাত্রিকালীন নিম্নমুখী শীতল বায়ু প্রবাহকে ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে।
অ্যানাবেটিক বায়ু: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে দিনের বেলায় সূর্যকিরণে পার্বত্য উপত্যকা উত্তপ্ত হওয়ার ফলে বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে পরিচলন পদ্ধতিতে পর্বতের ঢালে বরাবর উপরের দিকে উঠতে থাকে। এইরূপ ঊর্ধ্বগামী উষ্ণ ও হালকা বায়ুকে উপত্যকা বায়ু বা অ্যানাবেটিক বায়ু বলে।
উদাহরণ: হিমাচল প্রদেশের কুলু উপত্যাকায় ধরনের বায়ু প্রবাহিত হয়।
ক্যাটাবেটিক ও অ্যানাবেটিক বায়ুর মধ্যে পার্থক্য
সংজ্ঞা | ক্যাটাবেটিক বায়ু | অ্যানাবেটিক বায়ু |
---|---|---|
সংজ্ঞা | রাতের বেলা পর্বতের উচ্চ অংশের বায়ু তাপ বিকিরণ করে শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতের ঢাল বরাবর নিচে নামতে থাকলে তাকে ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে। | দিনের বেলা পর্বতের নিম্ন উপত্যকার বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে ঊর্ধ্বমুখী হলে তাকে অ্যানাবেটিক বায়ু বলে। |
অপর নাম | পর্বতের ঊর্ধ্বাংশ থেকে প্রবাহিত হওয়ায় ক্যাটাবেটিক বায়ু পার্বত্য বায়ু (Mountain breeze) নামেও পরিচিত। | অ্যানাবেটিক বায়ু পার্বত্য উপত্যকা থেকে প্রবাহিত হওয়ায় একে উপত্যকা বায়ুও (Valley breeze) বলে। |
স্থানীয় আবহাওয়ার উপর প্রভাব | ক্যাটাবেটিক বায়ুর প্রবাহে উপত্যকা অঞ্চলে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। | অ্যানাবেটিক বায়ুর প্রভাবে পাহাড়ি উপত্যকায় বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়। |
বায়ুর বৈশিষ্ট্য | ক্যাটাবেটিক বায়ু শীতল, শুষ্ক ও ভারী হয়। | অ্যানাবেটিক বায়ু উষ্ণ, আদ্র ও হালকা হয়। |
প্রবাহ সময় | ক্যাটাবেটিক বায়ু শীতকালে মূলত রাত্রি ও ভোর বেলা প্রবাহিত হয়। | অ্যানাবেটিক বায়ু গ্রীষ্মকালে মূলত দিনের বেলা প্রবাহিত হয়। |