অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বা সিফ বালিয়াড়ি: যে সকল বালিয়াড়ি বায়ুর প্রবাহপথের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে গড়ে ওঠে, তাদের অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলে।আর অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়িগুলির মধ্যে যেগুলি খুব দীর্ঘ ও সংকীর্ণ, তাদের সিফ বালিয়াড়ি বলে।
উৎপত্তি: “মরুভূমির যেসব অংশে বায়ুর গতিবেগ যথেষ্ট বেশী সেখানে আড়াআড়ি ও তির্যক ভাবে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহের যুগ্ম প্রভাবে বার্খানগুলি ভেঙে গিয়ে সিফ বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়।
অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বা সিফ বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্য:
১)সিফ বালিয়াড়িগুলি পরস্পরের সমান্তরালে অবস্থান করে।
২)সিফ বালিয়াড়িগুলির আকৃতি অনেকটা সোজা তলোয়ারের মতো হয়।
৩)সিফ বালিয়াড়ির শীর্ষদেশ যথেষ্ট তীক্ষ্ণ হয়।
৪)এই ধরনের বালিয়াড়িগুলির উচ্চতা প্রায় ১৫০-২০০ মিটার পর্যন্ত হয়।
৫)এই ধরনের বালিয়াড়িগুলি লম্বায় কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত হয়।
উদাহরণ: সাহারা, কালাহারি ও থর মরুভূমিতে এই ধরনের বালিয়াড়িগুলি দেখতে পাওয়া যায়।