মারে ডার্লিং অববাহিকা পশুপালনে উন্নত কেন?: অস্ট্রেলিয়া হলো পৃথিবীর পশুপালনে উন্নত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। এদেশের মারে-ডার্লিং অববাহিকায় অসংখ্য উন্নত মানের পশম প্রদায়ী ও দুগ্ধ প্রদায়ী পশু পালন করা হয়। মারে ডার্লিং অববাহিকার পশু পালনের উপর নির্ভর করে অস্ট্রেলিয়া পশম উৎপাদনে পৃথিবীতে প্রথম এবং গোমাংস উৎপাদনে পৃথিবীতে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। শুধু তাই নয় দুগ্ধ উৎপাদনেও এই অঞ্চল যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকার পশুপালনের এই অভাবনীয় উন্নতির কারণগুলি হল নিম্নরূপ-
1)বিস্তীর্ণ তৃণভূমি: পশুপালনের জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তৃণ যুক্ত বিস্তীর্ণ তৃণভূমি বিশেষ উপযোগী। অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকায় জনসংখ্যার স্বল্পতার জন্য বিস্তীর্ণ ডাউনস তৃণভূমি সৃষ্টি হয়েছে, যা পশুপালনের উন্নতির সহায়ক।
2)নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু: পশুপালনের জন্য নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর প্রয়োজন হয়।কারণ এই ধরনের জলবায়ু দুগ্ধ প্রদায়ী পশু ও পশম প্রদায়ী ভেড়া পালনের উপযোগী। এই কারণে অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডালিং অববাহিকার জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় পশুপালনে উন্নত।
3)বৃষ্টিপাতের স্বল্পতা: অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষিকাজ ভালো হয় না; অন্যদিকে তেমনি তৃণভূমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তৃণ জন্মায়। ফলে পশু খাদ্যের অভাব হয় না।
4)জলের প্রাচুর্য্য: অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকার শুষ্ক তৃণভূমি অঞ্চলে ও ডাউনস্ তৃণভূমিতে অসংখ্য আর্টেজীয় কূপ থাকায় পশুপালনের জন্য প্রয়োজনীয় জলের অভাব হয় না।
5)হিংস্র জীব জন্তুর অভাব: অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকার ডাউনস্ তৃণভূমিতে হিংস্র জীব জন্তুর উপদ্রব কম। ফলে মেষসহ অন্যান্য গবাদি পশু পালন করা নিরাপদ।
6)উন্নত প্রজাতির পশু পালন: অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকার ডাউনস্ তৃণভূমিতে জার্সি, ফ্রিজিয়ান, সুইস ব্রাউন ইত্যাদি উন্নত প্রজাতির দুগ্ধ প্রদায়ী গবাদি পশু এবং মেরিনো, চেভিয়ট, রামবুলে ইত্যাদি উৎকৃষ্ট মানের পশম প্রদায়ী মেষ পালন করা হয়।
7)পশু জাত দ্রব্যের চাহিদা: অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং অববাহিকার ডাউনস তৃণভূমিতে পালিত পশু থেকে প্রাপ্ত উপজাত দ্রব্য উৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় বিদেশের বাজারে এখানকার পশুজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা আছে।ফলস্বরূপ এই অঞ্চলে পশুপালনের উন্নতি ঘটেছে।