কলকাতার উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য PDF: কলকাতা বা কোলকাতা হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ায় কলকাতা তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক)$২৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নতুন দিল্লির ঠিক পর ৩য় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। এছাড়াও কলকাতা শহর, মুম্বই ও নতুন দিল্লির পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় ধনী শহর।
কলকাতা জাদুঘর সম্পর্কে তথ্য:
কলকাতা জাদুঘর হলো একটি সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান জাদুঘর, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ সালে এবং এর নকশা পরিকল্পনা করেন ওয়াল্টার বি গ্রানভিল অতঃপর এই জাদুঘরের স্তম্ভ গুলি কোরা স্থিয়ান রীতিতে নির্মিত।
বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে তথ্য:
জগদীশচন্দ্র বসু ১৯৭১ সালে বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি উদ্বোধন করেন।
এশিয়াটিক সোসাইটি সম্পর্কে তথ্য:
১৭৮৪ সালে উইলিয়াম জোন্স এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সভাপতি হন অতঃপর এই সোসাইটির নকশা করেন ক্যাপ্টেন লক, এই প্রতিষ্ঠানে ১৯১৪ সালে ভারতের কংগ্রেসের গোড়াপত্তন হয়।
কলকাতা জিপিও সম্পর্কে তথ্য:
কলকাতার জিপিও প্রতিষ্টিত হয় ১৮৬৪ সালে এবং এই প্রতিষ্ঠানের নকশা পরিকল্পনা করেন ওয়াল্ডার গ্রানভিল।
শহীদ মিনার সম্পর্কে তথ্য:
শহীদ মিনার প্রতিষ্টিত হয় ১৮৪৮ সালে এবং এই প্রতিষ্ঠানের নকশা পরিকল্পনা করেন চার্লস নোয়েল রবিনসন, শহীদ মিনারের উচ্চতা ১৫২ ফুট, সিঁড়ির ধাপ ২১৮ টি, মিশরীয় শিল্পনীতিতে নির্মিত।
রাজভবন সম্পর্কে তথ্য:
১৮০৩ সালে রবার্ট অ্যাডাম রাজভবন নির্মাণ করেন ।রাজভবন হলো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সরকারি বাসভবন, যেটি কলকাতায় অবস্থিত । পূর্বে এই রাজভবনে ভারতের ভাইসরয় বাস করতেন ।বর্তমানে এই বাড়ির অধিবাসী হলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।
কলকাতার উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য
স্থাপত্য | নকশা পরিকল্পনা | অন্যান্য তথ্য |
---|---|---|
কলকাতা জাদুঘর (১৯৩৭) | ওয়াল্টার বি গ্রানভিল (নকশা) | স্তম্ভগুলি কোরা স্থিয়ান রীতিতে নির্মিত |
বসু বিজ্ঞান মন্দির (১৯১৭) | জগদীশচন্দ্র বসু (পরিকল্পনা) | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উদ্বোধন করেন |
এশিয়াটিক সোসাইটি (১৭৮৪) | ক্যাপ্টেন লক (নকশা), উইলিয়াম জোন্স (প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি) | এই প্রতিষ্ঠানে ১৯১৪ সালে ভারতের কংগ্রেসের গোড়াপত্তন হয় |
জিপিও (১৮৬৪) | ওয়াল্টার গ্রানভিল (স্থপতি) | নব্য ক্লাসিক্যাল স্থাপত্য নিদর্শন |
আর্মেনিয়ান গির্জা | পারস্যর গাভস্তের (স্থপতি) | কলকাতার প্রাচীনতম গির্জা |
শহীদ মিনার (১৮৪৮) | চার্লস নোয়েল রবিনসন (নকশা) | উচ্চতা ১৫২ ফুট, সিঁড়ির ধাপ ২১৮ টি, মিশরীয় শিল্পনীতিতে নির্মিত |
রাজভবন (১৮০৩) | রবার্ট অ্যাডাম (নির্মাতা) | বর্তমান রাজ্যপালের বাসভবন |
সেন্ট এন্ড্রুজ গির্জা | ডঃ ব্রাইস (পরিকল্পনা ও প্রতিষ্ঠাতা) | ভিত্তিপ্রস্তর করেন লর্ড হেস্টিংস, স্তম্ভগুলি গ্রিসের ডোরিস প্রদেশের শিল্পনীতিতে তৈরি |
আলবার্ট হল | কেশবচন্দ্র সেন (উদ্যোক্তা) | ব্রিটিশ যুবরাজের কলকাতাকে স্মরণীয় করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল |
মহাজাতি সদন (১৯৩৯) | সুভাষচন্দ্র বসু (উদ্যোক্তা) | ভিত্তিপ্রস্তর করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, “জাতীয় নিকেতন” বলে চিহ্নিত |