রোবের্ট কখ জীবনী: gksolve.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Robert Koch Biography in Bengali. আপনারা যারা রোবের্ট কখ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী রোবের্ট কখ এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।
রোবের্ট কখ কে ছিলেন? Who is Robert Koch?
হাইনরিখ হের্মান রোবের্ট কখ, রোবার্ট কখ বা রবার্ট কখ (১১ই ডিসেম্বর, ১৮৪৩ – ২৭শে মে, ১৯২০) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি পরীক্ষাগারে অনেক শ্রম ও যত্ন সহকারে গবেষণাকর্ম সম্পাদন করে অণুজীব-সংক্রান্ত অধ্যয়ন ও গবেষণাকে আধুনিক ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানে উন্নীত করেন। তিনি প্রমাণ করে দেখান যে বিশেষ বিশেষ জীবাণুর কারণে বিশেষ বিশেষ রোগ ঘটে। তাকে ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানের পিতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও কলেরার মত রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে শনাক্ত করেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের বাহক প্রাণীদের আবিষ্কার করেন।
রোবের্ট কখ জীবনী – Robert Koch Biography in Bengali
নাম | রোবের্ট কখ |
জন্ম | 11 ডিসেম্বর 1843 |
পিতা | হারম্যান কখ |
মাতা | ম্যাথিল্ড জুলি হেনরিয়েট বিওয়ান্ড |
জন্মস্থান | ক্লসথাল, হ্যানোভারের রাজ্য, জার্মান কনফেডারেশন |
জাতীয়তা | জার্মান |
পেশা | চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী |
মৃত্যু | 27 মে 1910 (বয়স 66) |
রোবের্ট কখ এর জন্ম: Robert Koch’s Birthday
রোবের্ট কখ 11 ডিসেম্বর 1843 জন্মগ্রহণ করেন।
রোবের্ট কখ এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Robert Koch’s Parents And Birth Place
রোবের্ট কখ রোবের্ট কখ – এর জন্ম ১৮৪৩ খ্রিঃ জার্মানির ক্লাউস্তলে। অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর ওপরে গবেষণা ও যক্ষার জীবাণুর পরিচয় নির্ণয় করে বিশ্ববিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি স্থায়ী আসন লাভ করেছেন। কখ ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু মানবজাতির সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর শত্রু রোগজীবাণুর গবেষণার তাড়নায় পেশা হয়ে গিয়েছিল নিতান্তই গৌণ ব্যাপার।
রোবের্ট কখ এর কর্ম জীবন: Robert Koch’s Work Life
জীবাণু আবিষ্কার ও জীবাণুনাশক গবেষণাকেই তিনি মানবকল্যাণের ব্রত হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। এর জন্য তাকে সংসারে সহ্য করতে হত স্ত্রীর নির্যাতন, উপহাস আর তীক্ষ্ণ বাক্যবাণ। তার গবেষণার কাজকে স্ত্রী কখনোই সুনজরে দেখতেন না। অর্থোপার্জনের খোলা পথ থাকতেও তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের গবেষণা নিয়ে মেতে থাকলে সংসারের আর্থিক অনটন কে রোধ করবে ? তাই নিয়েই ছিল স্ত্রীর অভিযোগ। গবেষণার স্বার্থে কখ সবই নীরবে সহ্য করতেন।
কোন রকমে সংসারের হালটা ধরে থাকতেন কেবল। এই স্ত্রীই জীবনের কোন এক দুর্বল মুহূর্তে জন্মদিনে স্বামীকে একটা মাইক্রোস্কোপ কিনে উপহার দিয়েছিলেন। সেই যন্ত্র পেয়ে কখ হাতে স্বর্গ পেয়েছিলেন। সম্পূর্ণ এক নতুন জগতের সন্ধান দিয়েছিল কখকে এই অণুবীক্ষণ যন্ত্রটি। সে হল জীবাণুর জগৎ ও জীবন। যেখানে যা পান তাই এনে তিনি যন্ত্রের লেনসের নিচে ধরেন।
পদার্থের আণুবীক্ষণিক চেহারা দেখেন মুগ্ধ হয়ে। সেই সময়ে জার্মানির গ্রামে দুরন্ত পশুরোগ অ্যানথ্রাক্স রোগের ভয়ঙ্কর দাপট। এই রোগের মড়কে গৃহপালিত পশুর পাল নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। কি খেয়াল হতে একদিন অ্যানথ্রাক্স রোগে মৃত একটি ভেড়ার কিছু কাল রক্ত সংগ্রহ করে কখ নিয়ে এলেন নিজের ক্লিনিকে।
পরীক্ষা করতে বসে গেলেন মাইক্রোস্কোপ নিয়ে। লেন্সে চোখ রাখতেই দেখতে পেলেন, অসংখ্য রডের আকৃতির সজীব পদার্থ রক্তের মধ্যে কিলবিল করছে। সুস্থ ভেড়ার রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করেন, না সেখানে কোন সজীব পদার্থের অস্তিত্ব চোখে পড়ে না। এরপর আরও জীবজন্তুর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে একসময় তিনি নিশ্চিত হন এই সজীব রডেরাই হল অ্যানথ্রাক্স রোগের বাহক।
রোগের কারণ হিসাবে রডকে নির্দেশ করতে পারলেও তিনি তাদের জীবনকে প্রমাণ করবার মত কোন পরীক্ষা করে উঠতে পারেন নি। কিন্তু জীবাণুদের কালচারের অভিনব পদ্ধতি তিনি রেখে যেতে পেরেছিলেন। কখ জীবাণু জন্মের জৈবমাধ্যম জল নিতেন ষাঁড়ের অশ্রু থেকে। তাতে মিশিয়ে দিতেন অ্যানথ্রাক্সে মৃত জীবজন্তুর প্লীহার রস। নির্দিষ্টভাবে তৈরি এই তরলকে জীবাণুমুক্ত কাচের স্নাইডে নিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিতেন।
তারপরই দেখতে পেতেন অসংখ্য রড দল বেঁধে সেই তরল থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। এইভাবে প্রতিবারের কালচারেই তিনি দেখতে পেলেন, যে রড জন্মাচ্ছে তাদের প্রত্যেকেরই অ্যানথ্রাক্স রোগ তৈরির ক্ষমতা সমান। এইভাবে কখ সমাধানে আসেন যে কোন কোন বিশেষ রোগের পেছনে থাকে একই ধরনের জীবাণু। কখ সানন্দে ঘোষণা করলেন “One specific microbe causes one specific disease.”
উনিশ শতকের শেষ লগ্নের চিকিৎসা বিজ্ঞানে কখে এই ঘোষণা তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছিল। কখে এই আবিষ্কারের সাহায্য নিয়েই পাস্তুর অ্যানথ্রাক্স রোগের ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক টিকা তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ফলে বেঁচে গিয়েছিল কোটি কোটি গৃহপালিত পশু, সেই সঙ্গে ফ্রান্সের ভেঙ্গে পড়া কৃষি অর্থনীতি। যে টিকাদান পদ্ধতি আজ সারা পৃথিবীতে প্রচলিত তার প্রথম পথিকৃৎ হলেন রোবের্ট কখ।
কখ তার পরবর্তী গবেষণার কাজ শুরু করেন যে বিষয় নিয়ে তা হল, ব্যাসিলাস জীবাণু বা রডদের পশুর শরীরে অনুপ্রবেশ ঘটে কি ভাবে। দিনের পর দিন কেটে যেতে থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন ইতিহাসের সন্ধানে। অনেকদিন আগের তৈরি অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর একটা smear রাখা ছিল ক্লিনিকে। অনেকদিন তাতে হাত পড়েনি। সেটাকেই কি মনে হতে একদিন টেনে আনলেন অনুবীক্ষণের তলায়। দেখলেন, রডদের পরিচিত চেহারা একেবারে বদলে গেছে।
প্রত্যেকটি ব্যাসিলাস বা রডের গায়েই যেন বসানো রয়েছে মুক্তোর মালা। সেদিন সকালেই সংগ্রহ করা ষাঁড়ের চোখের জল রাখা ছিল পরীক্ষানলে। তা থেকে সামান্য জল ছড়িয়ে দেন স্লাইডের স্মীয়ারে। এরপর চলে কঠিন ধৈর্যের পরীক্ষা। অণুবীক্ষণের লেনসে চোখ রেখে কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একসময় দেখতে পান, সেই মুক্তোর মালার ভেতর থেকে ধীরে ধীরে জেগে উঠছে পুরনো চেহারার রডেরা।
ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায় তাঁর কাছে — জীবাণুর সুপ্ত বা নিষ্ক্রিয় দশাতেই তাদের গায়ে গজিয়ে ওঠে অসংখ্য রেণুর মুক্তোমালা। অনুকূল অবস্থার সম্মুখীন হলেই রেণুময় অবস্থা ঘুচে গিয়ে সক্ষম সজীব জীবাণুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নানা মারাত্মক রোগ সৃষ্টিতে তখন এদের শক্তির অভাব হয় না। কখের এই নতুন আবিষ্কারের সংবাদ প্রচারিত হবার কিছুদিন পরেই পাস্তুর ঘোষণা করলেন, অ্যানথ্রাক্স রোগে মৃত যে – সব পশু মাঠে ঘাটে ফেলে দেওয়া হয়, তাদের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে কৃমির দল।
এই কৃমিদের শরীরেই রেণুর মুক্তোমালা হয়ে জড়িয়ে থাকে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু। জীবাণুবাহী এইসব কৃমি যখন নীরোগ পশুর দেহে প্রবেশ করে, তারা রোগাক্রান্ত হয়। এইভাবে কখ – এর নিজস্ব ক্লিনিকের নিভৃতিতে আবিষ্কৃত তত্ত্ব পাস্তুরের পরীক্ষায় নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়ে গেল। পাস্তুরের আগে কখূই প্রথম চাষীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, অ্যানথ্রাক্সে মৃত পশুদের যেন নরম মাটির অনেক গভীরে পুঁতে দেওয়া হয় অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
তাহলে আর রোগ ছড়াবার ভয় থাকে না। অনতিবিলম্বেই কখ তাঁর গবেষণার ফল লাভও করলেন। ডাক এল ব্রেসলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানে তাঁর নানা আবিষ্কারের একটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হল। এরপরেই বিস্ময়কর আবিষ্কারক হিসেবে কখের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এবারে ডাক এলো রাজধানী বার্লিনের ইম্পিরিয়াল হেল্থ অফিস থেকে। তার জন্যই সেখানে তৈরি করা হয়েছে এক্সট্রা অর্ডিনারি অ্যাসোসিয়েটের পদ।
আর তাঁর গবেষণার জন্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে আধুনিক নানা যন্ত্রপাতিতে চমৎকার এক ল্যাবরেটরি, মায় দুজন সহকারী। বৃহত্তর গবেষণার স্বার্থে কখের প্রতি এ সবই ছিল সরকারি উপহার। কখ যখন বার্লিনে তার কর্মজীবন শুরু করলেন সেই সময় গোটা শহরেই ক্ষয়রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কখ এই সুকঠিন রোগটির মোকাবিলায় নেমে পড়লেন।
তিনি লক্ষ করলেন, ক্ষয়রোগের মূলেও রয়েছে ব্যাসিলাস বা রডশ্রেণীর জীবাণু। তবে খানিকটা ভিন্ন গঠনের। এই জীবাণুদের নিয়ে একে একে ২৭০ টি স্মীয়ার তৈরি করলেন কখ। তারপর তার সঙ্গে মেশান দু – এক ফোটা করে বিশেষ বিশেষ রাসায়নিক রঞ্জক। প্রতিটি স্মীয়ারই বিশেষ বিশেষ রঙে এভাবে রঞ্জিত করে পরীক্ষা করলেন। কিন্তু অণুবীক্ষণ উৎসাহ ব্যঞ্জক কোন বার্তা দিতে পারল না।
সবশেষে আর একটি নতুন স্মীয়ারে মিথিলিন ব্লু নামক রাসায়নিক রঞ্জকে রঞ্জিত করে অণুবীক্ষণের তলায় ধরতেই দেখতে পান স্লাইডের জমিতে কিলবিল করছে সজীব জীবাণুরা। কখ নির্দ্বিধায় সিদ্ধান্ত করলেন ক্ষয়রোগের জন্যও ওই রড বা ব্যাসিলাসের দলই দায়ী। এরপর জীবাণু নাশক রাসায়নিক আবিষ্কারেও সচেষ্ট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার সে চেষ্টা সফল হয়নি।
কিন্তু তিনিই প্রথম যক্ষ্মার ব্যাসিলাসের পরিচয় নির্ণয় করার কাজে সাফল্য লাভ করেছিলেন। তাঁর এই সূত্র অনুসরণ করেই উত্তরকালের বিজ্ঞানীরা জীবাণু ধ্বংসের রাসায়নিক আবিষ্কার করতে সমর্থ হয়েছিলেন। সেই দিক থেকেও চিকিৎসা বিজ্ঞান কখের কাছে ঋণী। যক্ষ্মারোগেব জীবাণু মানব শরীরে কিভাবে রোগের উৎপত্তি ঘটায় তা নিয়েও গবেষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তে এসেছিলেন কখ ৷ তিনি জানিয়েছেন এই জীবাণুরা বায়ুজীবী এবং এরা মানবশরীরে প্রবেশ করে নিঃশ্বাসের সাহায্যে।
প্রত্যক্ষ পরীক্ষার দ্বারাই এই বিষয়টি তিনি প্রমাণ করেছিলেন। প্রতিটি রোগের জন্যই ভিন্ন ধরনের জীবাণু দায়ী। কখের পূর্বঘোষিত জীববৈজ্ঞানিক তত্ত্বটি তার যক্ষ্মারোগ জীবাণু নির্ণয়ের মধ্য দিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত হল। জীবাণুতাত্ত্বিক হিসেবে দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল রবার্ট কখের নাম। মিশরে এশিয়াটিক কলেরার প্রাদুর্ভাব হলে ১৮৮৩ খ্রিঃ তাঁকে মিশরে যেতে হয়েছিল।
তিনি পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন ‘ কমা ‘ – এর মত চেহারার বিশেষ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থেকেই কলেরার উৎপত্তি। দূষিত জলই হল এদের বাসস্থান ৷ জলকে দূষণমুক্ত করলেই কলেরার সম্ভাবনা দূর হবে। কখের পরামর্শে রক্ষা পেয়ে গিয়েছিল মিশর। এরপর ১৮৯৭ খ্রিঃ কখ এসেছিলেন ভারতবর্ষে। বোম্বাই সেই সময় দুরন্ত প্লেগরোগে ধুঁকছে। সেখানেও তার পরামর্শে রোগের প্রকোপ প্রশমিত হয়।
স্লিপিং সিকনেস নামক মারাত্মক ঘুম – রোগের কবল থেকে কখ রক্ষা করে ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার অসহায় মানুষদের। দুর্গত মানুষের সেবার কাজে এইভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন কখ। রোগাক্রান্ত বহু মানুষও আসত তাঁর কাছে নিরাময়ের আশায়। তিনি সাধ্যমত তাদের শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুলবার চেষ্ট করেছেন। বহু সময় তিনি এই কাজের সম্পূর্ণ ব্যয় নিজেই বহন করেছেন নির্দ্বিধায়। কখ ছিলেন আত্মপ্রচার বিমুখ নীরব বিজ্ঞান সাধক।
অর্থ যশের চাইতে মানব সেবাই ছিল তাঁর কাছে অধিকতর কাম্য। এই কাজে তার স্বার্থত্যাগের তুলনা বিরল। বিশ্ববিজ্ঞানে অবদানের জন্য রোবের্ট কখ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন জীবনের অন্তিম লগ্নে ১৯০৫ খ্রিঃ। বলা ভাল, বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল তাঁকে শেষ বয়সে এই সম্মানটুকু না জানিয়ে পারেন নি।
রোবের্ট কখ এর মৃত্যু: Robert Koch’s Death
জীবনবিজ্ঞানের অগ্রপথিক রোবের্ট কখ ৬৭ বছর বয়সে ১৯১৩ খ্রিঃ লোকান্তরিত হন।