হস্তপদাসন করার নিয়ম ও পদ্ধতি-Rules and Methods Of Hastapadasana
হস্তপদাসন (Hastapadasana) পদ্ধতি : প্রথমে মেরুদণ্ড সােজা রেখে দুপায়ের মধ্যে চার / পাঁচ আঙুল পরিমাণ ফাঁক করে দাঁড়ান। এবার হাত দুটো মাথার ওপরে সােজা করে তুলুন। দুই কানের সাথে দুহাত লাগিয়ে রাখুন। হাতের তালু সামনের দিকে থাকবে। (ছবির মতাে)
এবার ধীরে ধীরে শরীরের ওপরের অংশ সামনের দিকে নামাতে থাকুন। মাথা নুইয়ে মুখ হাঁটুর কাছে নিয়ে এসে কপাল হাঁটুর সাথে লাগিয়ে রাখুন। এবার দুহাত দিয়ে দুপায়ের গােড়ালির একটু ওপরে ধরুন। খেয়াল রাখুন যাতে হাঁটু ভেঙে না যায়। হাঁটু সােজা করে রাখতে হবে এবং পেট ও বুক উরুর সাথে লেগে থাকবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে 10 থেকে 20 সেকেন্ড এভাবে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে শরীরকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসুন। এভাবে তিন থেকে পাঁচ বার করতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, প্রথম দিকে শরীর সঠিক ভঙ্গিমায় না ও আসতে পারে। তবে জোর করে শরীরকে সঠিক ভঙ্গিমায় নিতে যাবেন না। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে সঠিক ভঙ্গিমায় আসুন। ক্লান্তি বােধ করলে প্রত্যেক ব্যায়ামের পরই সহজ শিথিলায়নে বিশ্রাম নিতে পারেন।
হস্তপদাসন করার নিয়ম, পদ্ধতি ও উপকারিতা-Benefits Of Hastapadasana
1 . যারা লম্বা হতে চান তারা এ আসন করে উচ্চতা বাড়াতে পারেন। 25 বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে-মেয়েরা এ ব্যায়াম করে উচ্চতার ব্যাপারে বেশি উপকৃত হবেন।
2 . হস্তপদাসনে মেরুদণ্ড সহজ ও নমনীয় থাকে। দেহের অসমতা দূর হয়।
3. নিয়মিত অভ্যাসে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অজীর্ণ রােগ হতে পারে না।
4. পেটে চর্বি জমতে পারে না। অপ্রয়ােজনীয় চর্বি কমিয়ে দেহকে সুন্দর করে তােলে।
5. নিয়মিত হস্তপদাসন অভ্যাসে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ – যথা পাকস্থলী , যকৃৎ , প্লীহা ও ক্ষুদ্রান্ত্রে চাপ পড়ায় তাদের ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
6. যারা নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তারা এ আসনটি করলে উপকার পাবেন।
বি.দ্র . : যাদের উচ্চ রক্তচাপ, প্লীহা ও যকৃৎ স্বাভাবিকের চেয়েও বড়, যাদের হৃদরােগ, স্লিপড ডিস্ক, সারভাইক্যাল বা লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস ও চোখের কঠিন অসুখ রয়েছে তারা এ আসনটি করবেন না।