সর্বাঙ্গাসন (Sarvangasana) করার নিয়ম ও পদ্ধতি
সর্বাঙ্গাসন (Sarvangasana) যোগা করার পদ্ধতি: প্রথমে চিৎ হয়ে দুই পা সােজা রেখে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো শরীরের দুপাশে রাখুন। এবার হাতের কনুই এর ওপর ভর দিয়ে জোড় পা সােজা অবস্থায় ওপরে তুলুন। দুহাত দিয়ে কোমরের কাছে ধরে রাখুন যেমন কোনাে গাছকে ঠেস দিয়ে রাখা হয়। তেমনি করে থুতনি গলার কাছে লেগে থাকবে। মাথা, ঘাড়, কাঁধ মাটিতে লেগে থাকবে (ঠিক ছবির মতাে)। দম স্বাভাবিক রেখে এ ভঙ্গিমায় 10 থেকে 15 সেকেন্ড অবস্থান করুন। বিশ্রাম নিয়ে তিন থেকে চার বার করতে পারেন । ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে গেলে এক সাথে এক থেকে তিন মিনিট ও এ ভঙ্গিমায় অবস্থান করতে পারেন। এ আসনটিতে শরীরের সর্ব অঙ্গের ব্যায়াম হয় বলে একে সর্বাঙ্গাসন বলা হয়। ইচ্ছে করলে প্রথম দিকে দেয়ালে ঠেস দিয়ে করতে পারেন। অথবা কাউকে দিয়ে ধরে রেখেও করতে পারেন।
সর্বাঙ্গাসন করার উপকারিতা-Benefits Of Sarvangasana
1. এ আসনটি যৌবনকে দীর্ঘ দিন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
2. শরীরের থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড ও টনসিল প্রভৃতিতে প্রচুর রক্ত চলাচল হয়ে সতেজ ও সুস্থ রাখে। এন্ডােক্রাইন গ্ল্যান্ড থেকে যে হরমােন নিঃসৃত হয় তা সঠিকভাবে নিঃসৃত হওয়ার সুযােগ পায়।
3. কৈশাের থেকে যৌবনে পদার্পণকালে পিটুইটারি গ্রন্থির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পিটুইটারি গ্রন্থির সক্রিয়তায় নারীর দেহে যৌবনাগমন ঘটে ও দেহকে সুন্দর করে গড়ে তােলে।
4. কোষ্ঠকাঠিন্য, রেট্রোভারটেড ইউটেরাস, অর্শ প্রভৃতি রােগে যারা ভুগছেন তাদের জন্যে এ আসন অত্যন্ত উপকারী। এ আসন নিয়মিত চর্চায় স্থানচ্যুত জরায়ু যথাস্থানে ফিরে আসে।
বি.দ্র . : যারা হার্টের রােগে ভুগছেন এবং যেসব ছেলে-মেয়ের বয়স 12 বছরের কম তাদের এ আসনটি করা উচিত নয়। সর্বাঙ্গাসনের পর মৎস্যাসন অবশ্যই করবেন।