শশাঙ্গাসন করার নিয়ম ও পদ্ধতি-Rules and Methods Of Sasangasana
শশাঙ্গাসন (Sasangasana) করার নিয়ম ও পদ্ধতি: প্রথমে জাজেন বা বজ্রাসনের মতাে করে বসুন। এবার এ অবস্থা থেকে হাঁটুতে ভর করে শরীরের ওপরের অংশ তুলুন। মাথা সােজা করুন। এবার আস্তে আস্তে মাথা সামনের দিকে বাঁকিয়ে কপাল হাঁটুর সাথে লাগাতে চেষ্টা করুন। এবার হাত দুটো দিয়ে দুপায়ের গােড়ালি ধরুন। দম স্বাভাবিক থাকবে। থুতনি গলার শেষ প্রান্তে থাকবে। দুপায়ের গােড়ালি লেগে থাকবে। মাথার তালু মাটিতে থাকবে (Sasangasana-1 ছবির মতাে)।
তবে জোর করে সঠিক ভঙ্গিমায় প্রথমেই যেতে চেষ্টা করবেন। চর্চা করলে ধীরে ধীরে সঠিক ভঙ্গিমায় যেতে পারবেন। শেষ অবস্থানে গিয়ে 10 থেকে 20 সেকেন্ড থাকুন। ইচ্ছে করলে সহজ শিথিলায়ন বা শবাসন করে বিশ্রাম নিয়েও করতে পারেন। যাদের নিম্ন রক্তচাপ আছে, এ আসন করলে তাদের প্রথম দিকে মাথা ঘােরাতে পারে; ভয়ের কিছু নেই। সাইনুসাইটিস থাকলে প্রথম দিকে কপাল, নাকের দুপাশ এবং মাথা ব্যথা করতে পারে। পরে ঠিক হয়ে যায়। এ আসনটি তিন থেকে পাঁচ বার করতে পারেন।
শশাঙ্গাসন করার উপকারিতা-Benefits Of Sasangasana
1. এ আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে স্নায়ুর মটর নিউরােন সুস্থ-সাবলীল থাকে। ফলে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়।
2 . মেরুদণ্ড নমনীয়-কমনীয় হয়। মেরুদণ্ডের সংযােগস্থলগুলাের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে বলে লােয়ার মটর নিউরােন বেশি কর্মক্ষম হয়।
3. টনসিলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় বলে টনসিলের সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যায়। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা দূর হয়। এ আসন নিয়মিত করলে টনসিলের রােগ সম্পূর্ণরূপে সেরে যায়। তবে ক্রনিক হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
4. পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে তাকে সুস্থ-সতেজ রাখে। ফলে বিভিন্ন মেয়েলি রােগে উপকার পাওয়া যায়।
5. থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের হরমােন প্রবাহ ঠিক রাখে।
6. শশাঙ্গাসনের নিয়মিত অভ্যাস লম্বা হতে সাহায্য করে।
7. এছাড়াও অগ্ন্যাশয়, যকৃৎ ও প্লীহার কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
8. যারা ক্ষুধামান্দ্যয় ভােগেন তাদের এ আসন করলে ক্ষুধা বাড়ে।