ভূমিকম্প লিখ যন্ত্র বা সিসমোগ্রাফ কি? রিখটার স্কেল কী?
ভূমিকম্প লিখ যন্ত্র বা সিসমোগ্রাফ কি?
সংজ্ঞা: যে যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবিধি, ভূমিকম্পের উৎস, সময় ও স্থায়িত্ব সম্বন্ধে জানা যায়; তাকে ভূমিকম্প লিখ যন্ত্র বা সিসমোগ্রাফ বলে।
আক্ষরিক অর্থ: সিসমোগ্রাফ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘সিসমো’ অর্থাৎ ভূমিকম্প এবং ‘গ্রাফ’ অর্থাৎ লেখচিত্র থেকে।
আবিষ্কর্তা: 1892 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী মিলনে প্রথম সিসমোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
কার্যপ্রণালী: সিসমোগ্রাফ যন্ত্র প্রকৃতপক্ষে একটি গ্রাহক যন্ত্র। এই যন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এই যন্ত্রটির সঙ্গে একটি দন্ড লাগানো থাকে এবং ওই দণ্ডটি থেকে একটি দোলক ঝোলানো থাকে। এই দোলকের নিজে একটি পিন এবং তার নিচে একটি কাগজ আটকানো থাকে। ভূমিকম্পের মাত্রা অনুসারে দন্ডের ভিত্তি কাঁপতে থাকে এবং ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সঙ্গে সঙ্গে দোলকের নিচে আটকানো পিনটিও দুলতে থাকে। এই অবস্থায় ওই পিনের নিচে আটকানো কাগজে দাগ কাটতে থাকে। এরপর ওই দাগ বা পরিলেখ দেখে ভূমিকম্পের গতিবিধি নির্ণয় করা হয়।
রিখটার স্কেল কি?
যে বিশেষ স্কেলের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়, তাকে রিখটার স্কেল বলে। এই স্কেলকে মূলত সমান 10 ভাগে ভাগ করা হয়। ভূকম্পনের মাত্রা এই স্কেলে ৬ দাগ অতিক্রম করলেই ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি হয় এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। 1935 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান ভূমিকম্প বিশারদ ডঃ চার্লস. এফ. রিখটার ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপের জন্য সর্বপ্রথম এই স্কেল আবিষ্কার করেছিলেন বলে তার নাম অনুসারে এই স্কেলের নাম হয়েছে রিখটার স্কেল।