বিভিন্ন ভৌত রাশির একক তালিকা PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ভৌত রাশির একক ও মাত্রা PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একক কাকে বলে এর প্রয়োজনীয়তা কি? Symbols and Units of Physical Quantities PDF.
নিচে কোন ভৌত রাশির একক, কুলম্ব কোন রাশির একক, কোন ভৌত রাশির একক vm-1, ক্যান্ডেলা কোন ভৌত রাশির একক, ওহম কোন রাশির একক, আলোকবর্ষ কোন ভৌত রাশির একক, জুল কোন রাশির একক PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। বিভিন্ন ভৌত রাশির একক – SI ও CGS পদ্ধতিতে PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।
বিভিন্ন ভৌত রাশির একক তালিকা PDF – ভৌত রাশির একক ও মাত্রা PDF
❏ ভৌত জগতের যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকেই বলে – রাশি।
❏ রাশি – ২ প্রকার। যথা:- মৌলিক ও যৌগিক রাশি।
মৌলিক রাশি
যে সব রাশি অন্য কোন রাশির উপর নির্ভরশীল নয়, বরং অন্য সকল রাশি এদের উপর নির্ভরশীল, সে সব রাশিকে মৌলিক রাশি বলে। যেমনঃ দৈর্ঘ্য, ভর, সময় ইত্যাদি।
এ পর্যন্ত সাতটি রাশিকে বিজ্ঞানীদের সর্বসম্মতিতে মৌলিক রাশি হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এগুলো হলঃ ভর, দৈর্ঘ্য, সময়, তাপমাত্রা, তড়িৎ প্রবাহ দীপন তীব্রতা, পদার্থের পরিমাণ। ১৯৬০ সালে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের যৌথ সম্মেলনে এ সাতটি রাশিকে মৌলিক রাশি হিসেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
যৌগিক রাশি
যে সকল রাশি মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল, তাদেরকে যৌগিক রাশি বলে। যেমনঃ বেগ, ত্বরণ বল ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রকার মৌলিক রাশির যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় যৌগিক রাশিগুলো লাভ করা যায় বলে এদেরকে লব্ধ রাশিও বলা হয়। যেমনঃ বল একটি যৌগিক রাশি বা লব্ধ রাশি।
কেননা, বল= ভর x ত্বরণ = ভরx সরণ/ (সময় x সময়)। এখান থেকে বোঝা যায় যে, ভর, সরণ (দৈর্ঘ্য) ও সময় এই তিনটি মৌলিক রাশিকে গুণ ও ভাগ করে অবশেষে ‘বল’রাশিটি পাওয়া গেছে। তাই, বল একটি যৌগিক রাশি।
আবার, দিক নির্দেশের ভিত্তিতে রাশি দুই প্রকার,
যথাঃ ১। স্কেলার রাশি বা অদিক রাশি এবং ২। ভেক্টর রাশি বা সদিক রাশি।
বিভিন্ন প্রকার রাশির পরিচয়
দৈর্ঘ্য
কোন বস্তুর কোন একটি ধার বা প্রান্ত বা মাত্রা কতটুকু দীর্ঘ, সেটাই তার দৈর্ঘ্য।
যেমনঃ একটি আয়তাকার ঘনবস্তুর কথা বিবেচনা করা যাক। যার AB প্রান্তের দৈর্ঘ্য ৪ মিটার, BC প্রান্তের দৈর্ঘ্য ৩ মিটার এবং CD প্রান্তের দৈর্ঘ্য ২ মিটার। আমরা আমাদের চলতি পরিভাষায় সাধারণত AB কে দৈর্ঘ্য, BC কে প্রস্থ এবং CD কে উচ্চতা নামে ডেকে থাকলেও এগুলোর প্রত্যেকটিই কিন্তু এক একটি দৈর্ঘ্য এবং এদের এই দৈর্ঘ্যের পরিমাপ মূল নিয়ম-কানুন কিংবা ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি একই।
দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য আমরা রুলার, মিটার স্কেল , মেজারমেন্ট টেপ, স্লাইড ক্যালিপার্স, ভার্নিয়ার স্কেল, স্ক্রু-গেজ প্রভৃতি যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে থাকি। এছাড়া, হাত, পা প্রভৃতি থেকেও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতে পারি। যেমনঃ শাড়ির দৈর্ঘ্য মাপতে আমরা আজও হাত ব্যবহার করে থাকি। অন্যদিকে, পায়ের পাতার দৈর্ঘ্যকে ‘ফুট’হিসেবে ভেবে নিয়ে বিভিন্ন জিনিসের দৈর্ঘ্য মাপি।
ভর
কোন বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণকে ভর (mass) বলে। ভরকে সাধারণত ইংরেজি m হরফ দ্বারা সূচিত করা হয়। অবস্থানের পরিবর্তনের কারণে বস্তুর ভর পরিবর্তন হয় না।
কোন বস্তুকে পৃথিবীতে রাখা হলে, তার ভর যা হবে, বস্তুটিকে চাঁদে নিয়ে গিয়ে রাখলেও ভর তাই-ই হবে। যদিও বস্তুটির ওজন পৃথিবী ও চাঁদে ভিন্ন ভিন্ন হবে, কিন্তু ভর ভিন্ন হবে না। কারণ, ভর মানে বস্তুতে কী পরিমাণ জিনিস আছে সেটা। যেহেতু পৃথিবীতে থাকাকালীন বস্তুটিতে যা ছিল, চাঁদেও বস্তুটিতে তা-ই ছিল। অতএব, বস্তুটির ভর উভয় স্থানে একই হবে।
কোন বস্তু যদি আলোর ন্যায় অস্বাভাবিক দ্রুতিতে গতিশীল না থাকে, তবে বস্তুটির ভরের কোন পরিবর্তন হয় না। (বা হলেও সেটা নিতান্তই নগণ্য)। তবে, আইন্সটাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বানুসারে দেখা গেছে, কোন বস্তু যদি আলোর কাছাকাছি বেগে গতিশীল হয়, তবে গতিশীল অবস্থায় বস্তুটির ভর বেড়ে যায়।
ভর পরিমাপের জন্য রয়েছে সাধারণ বাটখারা, নিক্তি, তুলাদণ্ড, দাড়িপাল্লা ইত্যাদি যন্ত্রপাতি।
সময়
বলা হয়ে থাকে, সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। স্রোতের মত সময়ও চিরপ্রবহমান। চিরায়ত পদার্থবিদ্যায় সময়কে সার্বভৌম জ্ঞান করা হয়। সময় সতত গতিশীল এবং একে কোন কিছু দ্বারাই থামিয়ে রাখা যায় না। এদিক থেকে সময়ের সাথে নদীর স্রোতের কিছুটা তফাত আছে, অন্তত নদীর স্রোতকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে মন্থর বা রুদ্ধ করা যায়, কিন্তু সময়কে কখনোই মন্থর বা রুদ্ধ করে দেয়া যায় না। সময় তাই শাশ্বত ও সার্বভৌম।
চিরায়ত পদার্থবিদ্যায় সময়ের পরিমাপ পর্যবেক্ষকের গতির দ্বারা প্রভাবিত হয় না। পর্যবেক্ষক, যিনি সময় হিসেব করছেন, তিনি স্থির থাকুন কিংবা গতিশীল, সর্বাবস্থায় তিনি কোন একটি ঘটনা ঘটার সময়কাল একই রকম মাপবেন। তবে, আধুনিক মতে, পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে বস্তু যদি আলোর ন্যায় কাছাকাছি বেগে গতিশীল হয়, তবে, সময়কাল বেড়ে যায়। তবে এই ক্ষেত্রটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, যেহেতু, এখনো পর্যন্তু উদ্ভাবিত কোন বস্তু আলোর বেগে গতিশীলতা লাভ করতে পারে নি। সেজন্য, সময়কে আমরা আপাতত সার্বভৌমই ধরে নিতে পারি।
সময় পরিমাপের জন্য থামা ঘড়ি বা স্টপ ওয়াচ, দোলন ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি, ডিজিটাল ঘড়ি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে।
তাপমাত্রা
কোন বস্তু কতটুকু গরম বা কতটুকু ঠাণ্ডা তা বোঝা যায়, বস্তুটির তাপমাত্রা থেকে। কোন বস্তুর তাপমাত্রা বেশি মানে বস্তুটি বেশি গরম, আর তাপমাত্রা কম মানে, বস্তুটি তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা। মূলত, তাপমাত্রা হলো কোন বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা নির্ধারণ করে অন্য কোন বস্তুকে এই বস্তুটির সংস্পর্শে নিয়ে এলে তাপের প্রবাহ কোন দিকে হবে। তবে একথা সহজেই অনুমেয় যে, তাপ বেশি তাপমাত্রার বস্তু হতে কম তাপমাত্রার বস্তুতে প্রবাহিত হয়।
তাপমাত্রা মাপার জন্য আমরা অনেক সময় আমাদের ত্বক ব্যবহার করে থাকি। যেমন জ্বর হলে আমরা রোগীর কপালে হাত রেখে জ্বরের তীব্রতা অনুধাবনের চেষ্টা করি। তবে, স্পর্শানুভুতির দ্বারা তাপমাত্রা সঠিকভাবে, নিখুঁতভাবে ও সংখ্যাত্নক উপায়ে নির্ণয় করতে পারি না। এর জন্য আমাদের প্রয়োজন তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র। তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের নাম থার্মোমিটার বা তাপমান যন্ত্র।
তড়িৎ প্রবাহ
আমরা জানি, সকল পদার্থই পরমাণু নামক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত। আর এই পরমাণুর মধ্যে রয়েছে আবার ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। ইলেকট্রন ও প্রোটনের রয়েছে একটি বিশেষ ধর্ম যাকে আধান বা চার্জ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এই চার্জের প্রবাহ ঘটলেই তাকে বলা হয় তড়িৎ প্রবাহ বা বিদুৎ প্রবাহ।
পরিমাণগতভাবে বললে বলা যায়, কোন পরিবাহীর যেকোন প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান (চার্জ) প্রবাহিত হয়, তাকে তড়িৎ প্রবাহ বলে। গ্যালভানোমিটার দ্বারা পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায় এবং অ্যামিটার নামক যন্ত্রের সাহায্যে অ্যাম্পিয়ার এককে তড়িৎ প্রবাহ হিসেব করা যায়।
দীপন তীব্রতা
কোন আলোক উৎস কর্তৃক এর চারপাশের অঞ্চল আলোকিত করার শক্তিমাত্রাকে দীপন তীব্রতা বলা হয়।
দীপন তীব্রতার একক ক্যান্ডেলা (cd)এবং মাত্রা J
পদার্থের পরিমাণ
পদার্থের পরিমাণ একটি মৌলিক রাশি। একে ভরের সাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। ভর হচ্ছে কী পরিমাণ জিনিস দিয়ে বস্তুটি গঠিত তা। অন্য দিকে, পদার্থের পরিমাণ বলতে বোঝায় কতুটুকু পরিমাণ পদার্থ নেয়া হয়েছে। পদার্থের পরিমাণ বিষয়টি শুনতে খুব সহজ মনে হলেও এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুব একটা ব্যবহৃত হয় না, যেমনটি হয় ভর। সাধারণত, রসায়নে পদার্থের পরিমাণ রাশিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
❏ যে সকল রাশি অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে বলে – মৌলিক রাশি।
❏ মৌলিক রাশি – ৭টি।
❏ SI পদ্ধতিতে মৌলিক রাশিগুলোর একক
❏ দৈর্ঘ্যের একক – মিটার
❏ ভরের একক – কিলোগ্রাম
❏ সময়ের একক – সেকেন্ড
❏ তাপমাত্রার একক – কেলভিন
❏ তড়িৎ প্রবাহের একক – অ্যাম্পিয়ার
❏ দীপনক্ষমতার একক – ক্যান্ডেলা
❏ পদার্থের পরিমাণের একক – মোল
❏ যে সকল রাশি মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদেরকে বলে – লব্ধ রাশি
❏ SI পদ্ধতিতে কয়েকটি লব্ধরাশির একক
❏ বলের একক – নিউটন
❏ কাজ/শক্তি/তাপ এর একক – জুল
❏ ক্ষমতার একক – ওয়াট
❏ চাপের একক – প্যাসকেল
❏ কম্পাংকের একক – হার্জ
❏ আধানেরর একক – কুলম্ব
❏ রোধের একক – ওহম
❏ পরিবাহিতার একক – সিমেন্স
❏ তেজস্ক্রিয়তার একক – বেকরেল
❏ এক্সরের একক – রনজেন্ট
❏ লেন্সের একক – ডাইঅপ্টার
● CGS এর পূর্ণরূপ – Centimetre Gram Second System
● FPS এর পূর্ণরূপ – Foot Pound Second System
● MKS এর পূর্ণরূপ – Meter Kilogram Second System
● ISO এর পূর্ণরূপ – International Organization for Standardization
● আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি চালু হয় – ১৯৬০ সালে।
❏ বিভিন্ন পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য, ভর ও সময়ের একক
❏ CGS পদ্ধতিতে
❏ দৈর্ঘ্যের একক – সেন্টিমিটার।
❏ ভরের একক – গ্রাম
❏ সময়ের একক – সেকেন্ড
❏❏ FPS পদ্ধতিতে
❏ দৈর্ঘ্যের একক – ফুট
❏ ভরের একক – পাউন্ড
❏ সময়ের একক – সেকেন্ড
❏ MKS পদ্ধতিতে
❏ দৈর্ঘ্যের একক – মিটার
❏ ভরের একক – কিলোগ্রাম
❏ সময়ের একক – সেকেন্ড
❏ গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপের সম্পর্ক
❏ ১ অশ্বক্ষমতা – ৭৪৬ ওয়াট।
❏ ১ নটিক্যাল মাইল – ১৮৫৩.১৮ মিটার বা ১.৮৫ কিলোমিটার।
❏ ১ নটিক্যাল মাইল – ১.৪ মাইল।
❏ ১ মাইল – ১.৬১ কিলোমিটার।
❏ ১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি।
❏ ১ ইঞ্চি – ২.৫৪ সেন্টিমিটার।
❏ ১ পাউন্ড – ০.৪৫৪৫ কিলোগ্রাম।
❏ ১ কিলোগ্রাম – ২.২১ পাউন্ড।
❏ ১ হেক্টর – ১০০০০ বর্গমিটার।
❏ ১ লিটার – ১০০০ ঘন সেন্টিমিটার।
File Details:
File Name: Practice Set [www.gksolve.in]
File Format: PDF
Quality: High
File Size: 3 Mb
File Location: Google Drive