ঘনীভবন কাকে বলে?

Rate this post

ঘনীভবন কাকে বলে?: জলবায়ুর বিদ্যার একটি অতি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ হল ঘনীভবন । এখানে ঘনীভবন কাকে বলে ও ঘনীভবন সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। 

ঘনীভবন – যে প্রক্রিয়ায় বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প তরল মাধ্যমে পরিণত হয় তাকে ঘনীভবন বলে। সাধারণত সম্পৃক্ত বায়ুর ( saturated air) তাপমাত্রা শিশির বিন্দুতে এসে পৌঁছালে ঘনীভবন প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। অন্য দিকে এই বায়ুর উষ্ণতা 0 ডিগ্রি সেলসিয়াসের (freezing point) নিচে নেমে গেলে জলীয়বাষ্প সরাসরি বরফে পরিণত হয়, যা sublimation নামে পরিচিত। 

ঘনীভবন সাধারণত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে – বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও বায়ুর শীতলীকরণ এর হার। বায়ু স্থিত জলীয় বাষ্প যখন গ্যাসীয় মাধ্যম থেকে তরল মাধ্যমে পরিণত হয়, তখন এক প্রকার তাপ নির্গত হয়, যা লীনতাপ (latent heat) নামে পরিচিত। যা বায়ুর শীতলীকরণ এর হারকে হ্রাস করে। 

ঘনীভবনের প্রক্রিয়া – সাধারণত বায়ু চারটি ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শীতল হয়ে ঘনীভবনের সূচনা করে। যথা – i) প্রসারণ এর মাধ্যমে শীতলীকরণ, ii) কোনো শীতল পৃষ্ঠে তাপের পরিবহনের মাধ্যমে শীতলীকরণ, iii) সরাসরি তাপের বিকিরণের মাধ্যমে শীতলীকরণ ও iv) উষ্ণ ও শীতল বায়ুর মিশ্রণ জনিত শীতলীকরণ। 

ঘনীভবনের এই চারটি প্রক্রিয়া কে আবার দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায় । নিম্নে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

A) অ্যাডিয়াবেটিক প্রক্রিয়া – যে প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্ব গামী বায়ু ভূপৃষ্ঠের উপরের অংশে চাপ হ্রাস জনিত কারনে প্রসারনের ফলে হালকা হয়ে তাপমাত্রার যে পরিবর্তন সাধন করে তাকে অ্যাডিয়াবেটিক প্রক্রিয়া বলে। মুক্ত বায়ুর ক্ষেত্রে প্রসারণ জনিত তাপ হ্রাস ঘণীভবনের এক অতি গুরুত্ব পূর্ন পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। 

অসম্পৃক্ত বায়ুর ক্ষেত্রে শুষ্ক অ্যাডিয়াবেটিক ল্যাপস রেট 10 ডিগ্রি সেলসিয়াস / 1000 মিটার এবং আর্দ্র অ্যাডিয়াবেটিক ল্যাপস রেট 6 ডিগ্রি সেলসিয়াস / 1000 মিটার। 

B) নন- অ্যাডিয়াবেটিক প্রক্রিয়া – বিকিরণ, পরিবহন ও মিশ্রণের মাধ্যমে বায়ুর শীতলীকরণ কে নন- অ্যাডিয়াবেটিক প্রক্রিয়া বলে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শীতলীকরণ এর ফলে কেবল মাত্র শিশির, কুয়াশার সৃষ্টি হয় কিন্তু তেমন একটা বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে না

Leave a Comment