গৌর কি? গৌর কাকে বলে? গৌর বা গারা – Gour
গৌর বা গারা: মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ব্যাঙের ছাতার ন্যায় আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপ কে গৌর বলে।
গৌর বা গারার উৎপত্তি: মরু অঞ্চলে বায়ুর প্রবাহপথে কোন বৃহৎ শিলাখন্ডের নীচের অংশ কোমল এবং ওপরের অংশ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত হলে; বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয় কার্যের ফলে নিচের কোমল শিলাগঠিত অংশটি দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে শুরু হয়ে যায় এবং ওপরের কঠিন শিলাগঠিত অংশটি অল্প ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় আকৃতি ধারণ করে। এইভাবে গৌর সৃষ্টি হয়।
গৌর বা গারার বৈশিষ্ট্য:
1)কঠিন কোমল শিলা স্তর উল্লম্বভাবে স্তরে স্তরে সজ্জিত হলে এই ধরনের ভূমিরূপ অর্থাৎ গৌর সৃষ্টি হয়।
2)মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ক্ষয় কার্যের ফলে এই ধরনের ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
3)অনেকগুলি গৌড় পাশাপাশি অবস্থান করলে তাদের একত্রে ‘গারা’বলা হয়।
4)গৌরের আকৃতি ব্যাঙের ছাতার ন্যায় হয় বলে একে Mushroom Landform বলে।
উদাহরণ: আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি তে গৌর দেখা যায়।