অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব কৃষি – Organic Farming

Rate this post

অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব কৃষি – Organic Farming: জৈব কৃষি থেকে উৎপন্ন ফসলের চাহিদা বর্তমানে ক্রমবর্ধমান। কারন জৈব কৃষিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় বলে, জৈব কৃষিজাত ফসল থেকে মানুষের শারীরিক সমস্যা কম হয়। অর্থাৎ জৈব কৃষি ব্যবস্থা এমন এক কৃষি প্রণালী যেখানে সব ধরণের কৃষিজ ফসল, যেমন – শস্য দানা, ডাল, তৈলবীজ, দুধ, পোলট্রি, মাংস, তুলো, পাট, শাকসবজি, ফুল ও কৃষিজ ফসল থেকে উৎপন্ন খাদ্য জৈবিক ভাবে চাষ করা হয়।

  • অর্গানিক ফার্মিং এ রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক প্রভৃতির ব্যবহার থেকে বিরত থাকা হয়।
  • অর্গানিক ফার্মিং এর ক্ষেত্রে শস্যাবর্তন, গরুর গোবর, প্রাণীজাত সার, জৈব বর্জ্য ও জৈব কীটনাশক ও জীবাণুনাশক বেশি ব্যবহার করা হয়।
  • কিছু কৃষক আবার মিশ্র কৃষি ব্যবস্থার দ্বারা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিকারী ফসল যেমন – মিলেটের সাথে ডাল, গমের সাথে ছোলা ও তুলোর সাথে মটর শুটি চাষ করে।    
  • মাটিতে জৈব পদার্থ তথা হিউমাসের পরিমান বৃদ্ধি করে মাটির জল ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।

অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব কৃষি ব্যবস্থার গুরুত্ব

১. প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থার সাথে যুক্ত কৃষক সহজেই অর্গানিক ফার্মিং শিখতে পারে।

২. অর্গানিক ফার্মিং কৃষি ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে কৃষকরা ২৫% উৎপাদন খরচ কমাতে পারে।

৩. রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করার ফলে মৃত্তিকার অবনমনের পরিমান হ্রাস পায়।

৪. সমগ্র বাস্তুতন্ত্র ও ভৌমজলের গুনমান বৃদ্ধি পায়।

৫. দুগ্ধ প্রদানকারী গরু গুলিকে জৈব কৃষিজ দ্রব্য খাওয়ানো হয় বা তাদের জৈব কৃষি খামারে চারন 

করানো হয় তাহলে তাদের তারা সুস্বাস্থ্য সম্পন্ন হবে, অসুখ কম হবে, ফল স্বরূপ তাদের থেকে উৎপন্ন দুধের পরিমান ও স্বাদ অনেক বেশি হবে।

৬.  অর্গানিক ফার্মিং এ মাটিতে পুষ্টিমৌলের পরিমান বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাই এই মৃত্তিকা গুলো থেকে কয়েক দশক ধরে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।

৭. এই কৃষি উৎপন্ন ফসল থেকে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না।

তাই সময়ের সাথে সাথে জৈব চাষের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায়, পৃথিবীর প্রতিটি দেশে জৈব চাষের প্রবনতা বাড়চ্ছে।

Leave a Comment