ভগৎ সিং স্মরণীয় কেন? | Why Famous Bhagat Singh: 1920 এর দশকে পাঞ্জাবের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের নেতা ছিলেন ভগৎ সিং। 1907 খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের বাঙ্গা গ্রামে তার জন্ম হয়। তার বিপ্লবী কাকা অজিত সিং এর বৈপ্লবিক আদর্শ দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হন এবং লাহোর কলেজে পড়াশোনার সময়েই তিনি বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত হন। পরবর্তীকালে তিনি চন্দ্রশেখর আজাদ প্রতিষ্ঠিত হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
বৈপ্লবিক কার্যকলাপ-ভগৎ সিং যে সমস্ত বৈপ্লবিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন সেগুলি হল-
1)বিপ্লবী সমিতি গঠন-1925 খ্রিস্টাব্দে ভগৎ সিং নওজোয়ান ভারত সভা নামে একটি বিপ্লবী সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। 1928 খ্রিস্টাব্দে তিনি চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন হিন্দুস্থান সোসালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক বিপ্লবী সমিতি।
2)স্যান্ডার্স হত্যা-সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে পাঞ্জাবের বিপ্লবী নেতা লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ভগৎ সিং ও রাজগুরু অত্যাচারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট স্যান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন।
3)কেন্দ্রীয় আইন সভায় বোমা নিক্ষেপ-1929 খ্রিস্টাব্দের 8ই এপ্রিল ভগত সিংহ ও বটুকেশ্বর দত্ত জননিরাপত্তা বিল ও শিল্পবিরোধ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অধিবেশন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় আইনসভায় প্রবেশ করে বোমা নিক্ষেপ করেন এবং ইনক্লাব জিন্দাবাদ ধ্বনি দেন।
মৃত্যুবরণ-কেন্দ্রীয় আইনসভায় বোমা নিক্ষেপের অপরাধে ভগত সিং বটুকেশ্বর দত্ত ও শুকদেবকে গ্রেপ্তার করে 1929 খ্রীঃ ব্রিটিশ সরকার লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে। এই মামলার বিচারে 1931 খ্রিস্টাব্দে 23শে মার্চ এই তিন বিপ্লবীর ফাঁসি হয়।
মূল্যায়ন-ভগৎ সিং এর বৈপ্লবিক কার্যকলাপ ও আত্ম বলিদানে সমুদ্র ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তার এই বিরচিত সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ পরবর্তীকালে ভারতের তরুণ প্রজন্মের মনে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা সৃষ্টি করে।