ভারতীয় সংবিধানে সংগৃহীত উৎস তালিকা: ভারতের সংবিধান (Constitution of India) ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। এই সংবিধানে বহুকক্ষবিশিষ্ট সরকারব্যবস্থা গঠন, কার্যপদ্ধতি, আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদ, গোত্রীয় স্বাতন্ত্র্যবাদ, ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারণ; মৌলিক অধিকার, নির্দেশমূলক নীতি, এবং নাগরিকদের কর্তব্য নির্ধারণের মাধ্যমে দেশের মৌলিক রাজনৈতিক আদর্শের রূপরেখাটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে ২৮৪ জনের সই করলে গৃহীত হয় এবং এই দিনটি জাতীয় আইন দিবস হিসেবে পরিচিত। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান জোরদারভাবে কার্যকরী হয়।[ উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ঘোষণার স্মৃতিতে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি সংবিধান পরিচালনার জন্য গৃহীত হয়েছিল।
সংবিধানে ভারতীয় রাজ্যসংঘকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও আধা-ধর্মতান্ত্রিক গণপ্রজাতান্ত্রিক রূপে ঘোষণা করা হয়েছে; এই দেশের নাগরিকবৃন্দের জন্য ন্যায়বিচার, সাম্য ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক সংহতি সুরক্ষার জন্য নাগরিকদের পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃভাব জাগরিত করে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। “সমাজতান্ত্রিক”, “ধর্মনিরপেক্ষ-আধা-ধর্মতান্ত্রিক” ও “সংহতি” এবং সকল নাগরিকের মধ্যে “ভ্রাতৃভাব” – এই শব্দগুলি ১৯৭৬ সালে একটি সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হয়। সংবিধান প্রবর্তনের স্মৃতিতে ভারতীয়রা প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি তারিখটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদ্যাপন করেন। ভারতের সংবিধান বিশ্বের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রসমূহ মধ্যে বৃহত্তম লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান। এই সংবিধানে মোট ২৪টি অংশে ৪৪৮টি ধারা, ১২টি তফসিল এবং ১১৩টি সংশোধনী বিদ্যমান। ভারতের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণে মোট শব্দসংখ্যা ৪৮৬টি। এই সংবিধানের প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপ্রচলিত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ধ্বংস হয়ে যায়। দেশের সর্বোচ্চ আইন হওয়ার দারুন, ভারত সরকার প্রবর্তিত প্রতিটি আইনকে সংবিধানানুসারী হতে হয়। সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ড. ভীমরাও রামজি আম্বেডকর ছিলেন ভারতীয় সংবিধানের প্রধান মহাস্থপতি।
ভারতীয় সংবিধানে সংগৃহীত উৎস তালিকা
ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫ 🇮🇳
- যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো
- যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থা
- রাজ্যপাল
ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য 🇬🇧
- প্রধানমন্ত্রীর পদ ও তার কার্যকর্ম
- মন্ত্রীদের ক্যাবিনেট ব্যবস্থা
- সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা
- একক নাগরিকত্বের ধারণা
- দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ
- লোকসভার স্পিকার কার্যাবলী
- রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান
- শক্তিশালী নিম্ন কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র 🇺🇸
- প্রস্তাবনা
- মৌলিক অধিকারের ধারণা
- লিখিত সংবিধানের ধারণা
- বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা
- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ধারণা
- সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট এর বিচারপতিদের অপসারণ পদ্ধতি
- রাজ্যসভার চেয়ারম্যান রূপে উপরাষ্ট্রপতি
- সুপ্রিম কোর্টের ধারণা
- রাষ্ট্রপতি সৈন্যবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার
জাপান 🇯🇵
- সুপ্রিমকোর্টের কার্য পরিচালনার নিয়মাবলী
সুইডেন
- লোকপাল বিল
জার্মানি 🇩🇪
- জরুরী অবস্থা চলাকালীন মৌলিক অধিকার রদ
অস্ট্রেলিয়া 🇳🇿
- যুগ্ম তালিকা
- প্রস্তাবনার ভাষা
- ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার
ফ্রান্স 🇫🇷
- ‘প্রজাতন্ত্র’ ধারণা
- স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভাতৃত্বের ধারণা
কানাডা 🇨🇦
- আধা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ধরণের সরকার
- শক্তিশালী কেন্দ্রের উপস্থিতি
- কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ক্ষমতার বন্টন
সোভিয়েত রাশিয়া 🇷🇺
- মৌলিক কর্তব্য
- লোকসভার স্পিকারের কার্যাবলী
- পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
- ন্যায় বিচার
আয়ারল্যান্ড 🇮🇪
- রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি দ্বারা মনোনীত সদস্য
- রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি
- রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি
দক্ষিণ আফ্রিকা 🇿🇦
- সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি
- রাজ্যসভায় সদস্য নির্বাচন