শল্কমোচন ও ক্ষুদ্র কণা বিশরণের পার্থক্য

5/5 - (1 vote)

শল্কমোচন ও ক্ষুদ্র কণা বিশরণের পার্থক্য: চাপ, তাপ ও আর্দ্রতার পার্থক্য জনিত কারণে কোন স্থানের শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যদি সেখানেই পড়ে থাকে তবে তাকে আবহ বিকার বলে। যান্ত্রিক আবহবিকারের দুটি গুরুত্ব পূর্ন পদ্ধতি হল শল্কমোচন ও ক্ষুদ্রকনা বিশরণ। এখানে শল্কমোচন ও ক্ষুদ্রকনা বিশরণের পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

1) অবহবিকারের প্রকৃতি 

শল্কমোচনের ফলে শিলা স্তর পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে যায়। 

ক্ষুদ্রকনা বিশরণের ফলে শিলা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডে পরিণত হয়।

2) শিলার ধরন 

শল্কমোচন সমজাতীয় শিলায় হয়ে থাকে।

ক্ষুদ্রকনা বিশরণ বিষম খনিজ যুক্ত শিলাস্তরে হয়ে থাকে। 

3) আবহবিকারের কারণ

একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিলার ওপরের অংশ যত দ্রুত উত্তপ্ত হয় শিলার ভিতরের অংশ তত দ্রুত উত্তপ্ত হতে পারে না বলে, শিলায় শল্কমোচন ঘটে। 

বিভিন্ন খনিজের তাপ গ্রহণ ক্ষমতা বিভিন্ন হওয়ায় তাপের পার্থক্য জনিত কারণে ক্ষুদ্রকনা বিশরণ ঘটে থাকে। 

4) শব্দ 

শল্কমোচনের ক্ষেত্রে শিলা স্তর কোনো রকম শব্দ না করে স্তরে স্তরে খসে যায়। 

ক্ষুদ্রকনা বিশরনের ক্ষেত্রে শিলা স্তর প্রচন্ড শব্দে ভেঙে যায়। 

5) চূর্ন বিচূর্ণ শিলার প্রকৃতি 

শল্কমোচনের ফলে সৃষ্ট শিলা চূর্ণ অপেক্ষাকৃত গোলাকার ও বড়ো হয়।

ক্ষুদ্রকনা বিশরনের ফলে সৃষ্ট শিলা চূর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়। 

Leave a Comment