জোসায়া উইলার্ড গিবস জীবনী: gksolve.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Josiah Willard Gibbs Biography in Bengali. আপনারা যারা জোসায়া উইলার্ড গিবস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী জোসায়া উইলার্ড গিবস এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।
জোসায়া উইলার্ড গিবস কে ছিলেন? Who is Josiah Willard Gibbs?
জোসায়া উইলার্ড গিবস একজন মার্কিন বিজ্ঞানী যিনি পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে তাত্ত্বিক অবদান রেখেছেন। গিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশলে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারী। তিনি ১৮৭১ থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য তিনি ১৯০১ সালে রয়েল সোসাইটি থেকে কপলি পদক লাভ করেন।
জোসায়া উইলার্ড গিবস জীবনী – Josiah Willard Gibbs Biography in Bengali
নাম | জোসায়া উইলার্ড গিবস |
জন্ম | 11 ফেব্রুয়ারি 1839 |
পিতা | জোসিয়া উইলার্ড গিবস সিনিয়র |
মাতা | মেরি আনা ভ্যান ক্লিভ |
জন্মস্থান | নিউ হ্যাভেন, কানেকটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | বিজ্ঞানী |
মৃত্যু | 28 এপ্রিল 1903 (বয়স 64) |
জোসায়া উইলার্ড গিবস এর জন্ম: Josiah Willard Gibbs’s Birthday
জোসায়া উইলার্ড গিবস 11 ফেব্রুয়ারি 1839 জন্মগ্রহণ করেন।
জোসায়া উইলার্ড গিবস এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Josiah Willard Gibbs’s Parents And Birth Place
বিশ্রুত পদার্থ বিজ্ঞানী উইলার্ড গিবস – এর জন্ম হয় ১৮৩৯ খ্রিঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হেভেন নামক স্থানে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৫৮ খ্রিঃ তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
জোসায়া উইলার্ড গিবস এর প্রথম জীবন: Josiah Willard Gibbs’s Early Life
পরে পদার্থ বিদ্যার উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য প্যারিসে যান। সেখানে কিছুকাল অধ্যয়ন ও গবেষণা করে বার্লিনে গিয়ে হাইডেনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন। এই সময়ে তাঁর কিছু মৌলিক গবেষণা প্রকাশিত হলে বিজ্ঞানীদের প্রশংসা লাভ করেন এবং বিজ্ঞানী হিসেবে গিবস স্বীকৃতি লাভ করেন। তাঁর গবেষণায় অনুপ্রণিত হয়ে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়।
জোসায়া উইলার্ড গিবস এর কর্ম জীবন: Josiah Willard Gibbs’s Work Life
গিবস সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং দেশে ফিরে এসে পদার্থ বিদ্যার অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন। এই কর্মক্ষেত্র থেকেই পরবর্তীকালে গিবসের গবেষণাগুলি প্রকাশিত হয়েছিল। গিবস ছিলেন খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের বিজ্ঞানী। প্রকৃতপক্ষে তিনি তার গবেষণার বিষয়ে নিশ্চিন্ত না হওয়া পর্যন্ত বার বার পরীক্ষা করতে পছন্দ করতেন।
বিজ্ঞানী গিবসের চরিত্রের এটাই ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর গবেষণা মূলক প্রবন্ধের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। বারবার পরীক্ষা করে ভালভাবে যাচাইয়ের পর তিনি তা প্রকাশ করতেন। কোন বিষয়ে গবেষণায় সাফল্য লাভের পরেও তা প্রকাশের জন্য তিনি ব্যস্ত হতেন না। খুঁটিনাটি বিষয়ের যাচাইয়ের জন্য বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে যেতেন।
এই কারণে তাঁর প্রত্যেকটি প্রবন্ধই হত নিখুঁত এবং অতি উচ্চমানের। ফলে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি প্রবন্ধ বিজ্ঞানী মহলে সমাদৃত হত। গিবস আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছিলেন অসম পদার্থসমূহের স্থিতাবস্থা বা অন দি ইকুইলিব্রিয়াম অব হেটরজিনিয়স সাবটেন্সেস নামের একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধের জন্য। তার এই প্রবন্ধটি ছিল খুবই সম্ভাবনাপূর্ণ।
পরবর্তীকালে এই প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে বহু বিজ্ঞানী নিজেদের গবেষণার কাজ করেছেন। ফেজরুল নামক রাসায়নিক সাম্যের বিখ্যাত সূত্রটি গিবসের উক্ত প্রবন্ধের ভিত্তিতেই আবিষ্কৃত হয়েছিল। গিবসের বিখ্যাত ‘অসম পদার্থসমূহের স্থিতাবস্থা ‘ প্রবন্ধটির গুরুত্ব বিচার করে সেটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন প্রসিদ্ধ রাসায়ন বিজ্ঞানী অস্টওয়াল্ট। অস্টওয়াল্ট খ্যাতি লাভ করেছিলেন অনুঘটক দ্বারা অ্যামোনিয়াকে জারিত করে বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে নাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্তুত প্রণালী আবিষ্কার করে ৷
গিবসের উক্ত প্রবন্ধকে কেন্দ্র করে রসায়ন বিজ্ঞানের একটি নতুন শাখার উদ্ভব হয়েছিল। রসায়ন বিজ্ঞানী অস্টওয়াল্ট গিবসকে রাসায়নিক শক্তিতত্ত্বের জনক আখ্যায় ভূষিত করেন। বিখ্যাত ফরাসী বিজ্ঞানী লা শতলিয়ে গিবসের গবেষণা পত্রটি ফরাসী ভাষাতেও অনুবাদ করেছিলেন। তিনিও এই প্রবন্ধের ওপর কিছুকাল গবেষণা করেছিলেন এবং গিবসের প্রবন্ধটিকে রসায়ন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে সানন্দে ঘোষণা করেছিলেন।
আলোকের তড়িৎ চৌম্বক তত্ত্ব সম্বন্ধেও গবেষণা করেছিলেন গিবস। এই বিষয়েও তিনি মহামূল্যবান অবদান রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার সিদ্ধান্তের ওপর গবেষণা করেছিলেন বহু বিজ্ঞানী। উদ্ঘাটিত হয়েছিল একাধিক মূল্যবান তথ্য। এই তথ্যগুলি আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের সামনে উদ্ঘাটিত করেছিল নতুন পথের সন্ধান।
পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন বিজ্ঞানের বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে গিবস তাপগতিবিদ্যা বা থার্মোডাইনামিকস – এর সূত্রকে প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন। তার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা এবিষয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য গিবসেব পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন এবং কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করেছেন। কর্মসূত্রে আজীবন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গিবস। নিজের সাধনা নিয়ে মগ্ন থাকতেই তিনি পছন্দ করতেন।
জোসায়া উইলার্ড গিবস এর পুরস্কার ও সম্মান: Josiah Willard Gibbs’s Awards And Honors
বিদেশ গিয়ে বক্তৃতা দেওয়া বা একের পর এক বিষয় নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ — এসব বিষয়ে খুব উৎসাহ বোধ করতেন না তিনি। নিজেও খুব অল্পসংখ্যক গবেষণাপত্রই প্রকাশ করেছিলেন। বিজ্ঞান – প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ বহু সম্মান লাভ করেছিলেন গিবস। লণ্ডনের রয়েল সোসাইটি ১৮৭৯ খ্রিঃ তাঁকে ফেলো নির্বাচিত করেছিল। ১৯০১ খ্রিঃ লাভ করেছিলেন কোপলে পুরস্কার।
জোসায়া উইলার্ড গিবস এর মৃত্যু: Josiah Willard Gibbs’s Death
১৯০৩ খ্রিঃ এই নীরব বিজ্ঞান সাধকের জীবনাবসান হয়।