ভারতের পূর্ব বাহিনী ও পশ্চিম বাহিনী নদীর পার্থক্য

Rate this post

ভারতের পূর্ব বাহিনী ও পশ্চিম বাহিনী নদীর পার্থক্য: ভারতের দক্ষিণ অংশ দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদী গুলিকে প্রবাহ দিক অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, যথা – পূর্ব বাহিনী নদী ও পশ্চিম বাহিনী নদী। এই পূর্ব বাহিনী ও পশ্চিম বাহিনী নদীর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নিচে সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো – 

1) উৎপত্তি স্থল 

  • পূর্ব বাহিনী নদী গুলি পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে ভূমির ঢাল বরাবর পূর্ব দিকে বয়ে গেছে। 
  • পশ্চিম বাহিনী নদী গুলি ভারতের মধ্যভাগের উচ্চভূমি অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

2) উদাহরণ 

  • কৃষ্ণা, মহানদী, গোদাবরী, কাবেরী প্রভৃতি দক্ষিণ ভারতের প্রধান প্রধান পূর্ব বাহিনী নদী ।
  • নর্মদা, তাপ্তি প্রভৃতি ভারতের প্রধান পশ্চিম বাহিনী নদী।

3) মোহনা 

  • পূর্ব বাহিনী নদী গুলি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
  • পশ্চিম বাহিনী নদী গুলি আরব সাগরে গিয়ে পতিত হয়েছে।

4) বদ্বীপ গঠন

  • পূর্ব বাহিনী নদী গুলি তাদের বিশাল নদী অববাহিকায় প্রচুর পলি রাশি বহন করে আনে বলে মোহনা অঞ্চলে বদ্বীপের সৃষ্টি হয়।
  • পশ্চিম বাহিনী নদী গুলি মোহনা অঞ্চলে দ্বীপ সৃষ্টি করতে পারে না। 

5) নদীর বৈশিষ্ট্য

  • পূর্ব বাহিনী নদী গুলি দীর্ঘ এবং অসংখ্য উপনদী, শাখা নদী নিয়ে বিশাল অববাহিকা গ্রহণ করে প্রবাহিত হয়।
  • পশ্চিম বাহিনী নদী গুলির দৈর্ঘ্য তুলনামূলক ভাবে কম, উপনদী ও শাখা নদীর সংখ্যা কম হওয়ায় নদী অববাহিকা সুবিশাল হয় না। 

6) জলপ্রবাহের পরিমাণ

  • পূর্ব বাহিনী নদী গুলির দ্বারা বাহিত জলের পরিমাণ অনেক বেশি।
  • পশ্চিম বাহিনী নদী গুলির দ্বারা বাহিত জলের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।

Leave a Comment