সিয়াল ও সিমার মধ্যে পার্থক্য: পৃথিবীর বহির্ভাগের কঠিন আবরণ হল ভূত্বক। এই ভূত্বক গঠনকারী পদার্থের ঘনত্বের তারতম্যের ওপর নির্ভর করে ভূত্বক কে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়, যথা – সিয়াল ও সিমা। এই সিয়াল ও সিমার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সিয়াল ও সিমার মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হল।
1st পার্থক্য
মহাদেশীয় ভূত্বক গুলি সিয়াল নামে পরিচিত।
মহাসাগরীয় ভূত্বক গুলি সিমা নামে পরিচিত।
2nd পার্থক্য
সিয়াল ভূত্বকে সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম খনিজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
সিমা ভূত্বকে সিলিকা ও ম্যাগনেসিয়াম খনিজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
3rd পার্থক্য
সিয়াল বা মহাদেশীয় ভূত্বক মূলত গ্রানাইট জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত।
সিমা বা মহাসাগরীয় ভূত্বক মূলত ব্যাসল্ট জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত।
4th পার্থক্য
সিয়ালের গড় গভীরতা ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার। সিমার গড় গভীরতা ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার।
5th পার্থক্য
সিয়াল বা মহাদেশীয় ভূত্বকের গড় ঘনত্ব ২.৭-২.৮ গ্রাম/ঘনসেমি।
সিমা বা মহাসাগরীয় ভূত্বকের গড় ঘনত্ব ৩ গ্রাম/ঘনসেমি।
6th পার্থক্য
পৃথিবীর মোট ভূত্বকের ৩০ থেকে ৪০ % মহাদেশীয় ভূত্বক বা সিয়াল।
পৃথিবীর মোট ভূত্বকের ৬০ থেকে ৭০ % মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমা।
7th পার্থক্য
সিয়াল ভূত্বক প্রধানত প্রাচীন শিলা দ্বারা গঠিত।
সিমা মূলত নবীন শিলা দ্বারা গঠিত।
8th পার্থক্য
সিয়াল ভূত্বক হালকা হওয়ায় এটি সিমার উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে।
সিমা ঘনত্ব বেশি হওয়ায় সিয়ালের নিচে সিমার অধঃপাত ঘটে।