1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের প্রেক্ষাপট এবং বিষয়বস্তু বা শর্তাবলী আলোচনা কর। এই আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া কি হয়েছিল? এই আইনের গুরুত্ব কি ছিল?: 1919 খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইনের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ ও ভারতের সাংবিধানিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে 1928 খ্রীঃ সাইমন কমিশন ভারতে আসে এবং ওই কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে 1935 খ্রীঃ ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন (Government of India Act 1935), 1935 নামক একটি আইন পাশ করেন।1937 খ্রীঃ 1লা এপ্রিল থেকে এই আইন কার্যকর হয়।
1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের প্রেক্ষাপট বা পটভূমি
1919 খ্রিষ্টাব্দে মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইন প্রণয়নের পরবর্তীকালে ভারতীয় রাজনীতিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায়, তার পরিপ্রেক্ষিতে 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন পাশ হয়। এই আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট বা পটভূমি ছিল নিম্নরূপ-
1)গণ আন্দোলন-1919 খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইন ভারতীয়দের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সারা ভারত জুড়ে অসহযোগ আন্দোলন (1920 খ্রীঃ), আইন অমান্য আন্দোলন (1930 খ্রীঃ) প্রভৃতি গণআন্দোলন শুরু হয়। এইসব গণ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দের ক্ষোভ প্রশমনের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন পাশ করেন।
2)বিপ্লবী কার্যকল-1919 খ্রীঃ থেকে 1935 খ্রীঃ এর মধ্যবর্তী সময়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপ্লবী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। মাস্টারদা সূর্যসেন, চন্দ্রশেখর আজাদ, ভগত সিং, রামপ্রসাদ বিসমিল প্রভৃতি বিপ্লবীদের অতি সক্রিয়তায় ব্রিটিশ সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েনি। তাই বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে জনগণের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন পাশ করেন।
3)জাতীয়তাবাদের আতঙ্ক-বিংশ শতকের সূচনা থেকে ভারতে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সঞ্চার হয় এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন গণআন্দোলনে তার স্বরূপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভারতের ক্রমবর্ধমানে জাতীয়তাবাদের প্রভাব সরকারকে আতঙ্কিত করে তোলে। তাই ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন পাশ করেন।
4)সাইমন কমিশনের রিপোর্ট-1919 খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইনের পর্যালোচনা এবং ভারতীয়রা স্বায়ত্তশাসন লাভের উপযুক্ত কিনা তা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে 1928 খ্রীঃ জন সাইমনের নেতৃত্বে 7 সদস্য বিশিষ্ট সাইমন কমিশন ভারতে আসে।1930 খ্রিষ্টাব্দে এই কমিশন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে রিপোর্ট পেশ করে তাতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশগুলির পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন পাশ করেন।
5)গোল টেবিল বৈঠক-সাইমন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা উদ্দেশ্যে লন্ডনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন। এইসব বৈঠকের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার নতুন সাংবিধানিক সংস্কার প্রবর্তনের চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য হন, যার ফলশ্রুতি ছিল 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন।
6)শ্বেতপত্র প্রকাশ-সাইমন কমিশনের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন গোল টেবিল বৈঠকে আলোচনা ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার ‘ভারতের সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য প্রস্তাব সমূহ’ শিরোনামে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। এই শ্বেতপত্র ও যৌথ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন পাশ করেন।
1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের বিষয়বস্তু বা শর্তাবলী
1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের বিষয়বস্তু বা শর্তাগুলিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
A)কেন্দ্রীয় সরকার-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের মাধ্যমিক কেন্দ্রে এক ধরনের দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্তরে নেওয়া শাসনতান্ত্রিক পদক্ষেপগুলি হল-
১)যুক্তরাষ্ট্র গঠন-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনে ব্রিটিশ ভারত ও দেশীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয় দেশীয় রাজ্যগুলি তাদের ইচ্ছা অনুসারে এই যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করতে পারবে।
২)দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন অনুসারে কেন্দ্রে 5 বছর মেয়াদী দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার উচ্চকক্ষের নাম হয় কাউন্সিল অফ স্টেট এবং নিম্ন কক্ষের নাম হয় ফেডারেল অ্যাসেম্বলি। উচ্চ কক্ষের 260 জন সদস্যের মধ্যে 156 জন ব্রিটিশ ভারতের ও 104 জন দেশীয় রাজ্যের এবং নিম্নকক্ষের 375 জন সদস্যের মধ্যে 250 জন ব্রিটিশ ভারতের ও 125 জন দেশীয় রাজ্যের প্রতিনিধি থাকবে বলে বলা হয়।
3)সাম্প্রদায়িক নির্বাচন-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনে মুসলমান সদস্যদের সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে এবং তফসিলি সদস্যদের 1932 খ্রীঃ পুনা চুক্তির ভিত্তিতে পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া শিখ, খ্রিস্টান, ইঙ্গ-ভারতীয়, ইউরোপীয় প্রভৃতি প্রতিনিধিদেরও সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে আইনসভায় গ্রহণ করা হয়।
4)মন্ত্রী পরিষদের দায়িত্ব-এই আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলের অধীনে একটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের হাতে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের শাসনভার প্রদান করা হয়। আইনসভার সদস্যদের মধ্য থেকে গভর্নর জেনারেল মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের গ্রহণ করবেন বলে বলা হয় । মন্ত্রীরা তাদের কাজের জন্য আইন সবার কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন বলে বলা হয়।
5)গভর্নর জেনারেলের চূড়ান্ত ক্ষমতা-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেল শাসন পরিচালনার বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতা লাভ করেন। কোন আইন রচনার আগে কেন্দ্রীয় আইনসভাকে গভর্নর জেনারেলের অনুমতি নিতে হতো। ইনি আইনসভা ও মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শ উপেক্ষা করতে ও তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারতেন। এছাড়া তিনি কিছু স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা ও স্ববিবেচনা প্রসূত ক্ষমতা ভোগ করতেন।
6)গভর্নর জেনারেলের দায়বদ্ধতা-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেল তার কাজের জন্য সরাসরি ভারত সচিব ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন।
7)সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত বিষয়-এই আইনে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন ক্ষমতাকে সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত বিষয়-এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। দেশের প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক নীতি, রিজার্ভ ব্যাংক, মুদ্রা ব্যবস্থা, শান্তি-শৃঙ্খলা, ধর্ম প্রভৃতি সংরক্ষিত বিষয় এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি হস্তান্তরিত বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হয়। সংরক্ষিত বিষয়ে গভর্নর জেনারেল ও তার তিনজন উপদেষ্টার হাতে চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং সংরক্ষিত বিষয়গুলি গভর্নর জেনারেল তার মন্ত্রিসভার পরামর্শ অনুযায়ী পরিচালনার দায়িত্ব পান। অবশ্য মন্ত্রিসভার পরামর্শ গ্রহণ করা গভর্নর জেনারেলের পক্ষে বাধ্যতামূলক ছিল না।।
8)কেন্দ্র ও প্রদেশের ক্ষমতার তালিকা-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বন্টন এর উদ্দেশ্যে তিনটি পৃথক তালিকা তৈরি করে। সেগুলি হল-
ক)কেন্দ্রীয় তালিকা-সামরিক বিভাগ, বিদেশ নীতি, রেল ব্যবস্থা, ডাক ব্যবস্থা, মুদ্রা ব্যবস্থা প্রভৃতি এই তালিকার অন্তর্গত হয়।
খ)প্রাদেশিক তালিকা-শান্তি শৃঙ্খলা, পুলিশ, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য প্রভৃতি এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়।
গ) যুগ্ম তালিকা-সংবাদপত্র, মুদ্রণ ব্যবস্থা, দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইন, বিবাহ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়।
B)প্রাদেশিক সরকার-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের মাধ্যমে গঠিত প্রাদেশিক সরকারের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা হয়-
1)স্বায়ত্ত্বশাসন প্রতিষ্ঠা-1919 খ্রিষ্টাব্দের মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইনের দ্বারা প্রদেশগুলিতে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল।1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনে ওই দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রদেশ গুলিতে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
2)প্রাদেশিক আইনসভা গঠন-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনে বাংলা সহ ছয়টি প্রদেশের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট এবং অবশিষ্ট পাঁচটি প্রদেশে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠন করা হয়।
3)মন্ত্রী পরিষদ-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন অনুসারে গভর্নরের অধীনে প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনয়নের মাধ্যমে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয় এবং বলা হয় মন্ত্রীরা তাদের কাজের জন্য প্রাদেশিক আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
4)গভর্নরের দায়িত্ব-1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনে কেন্দ্রের অনুকরণের প্রদেশের শাসন কাঠামো তৈরি করা হয় এবং প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা, ধর্ম প্রভৃতি বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব গভর্নরের হাতে ন্যস্ত হয়।
5)গভর্নরের বিশেষ ক্ষমতা-এই আইনের সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে মুসলমান সদস্যদের জন্য পৃথক নির্বাচন এবং পুনা চুক্তির ভিত্তিতে তফসিল সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।
1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া বা সমালোচনা
1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন ভারতবাসীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এই আইনের ভোটাধিকারের প্রসার ঘটানো হয়নি, ব্রিটিশ ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র 14% মানুষ ভোটদানের অধিকার পেয়েছিলেন। এছাড়া এই আইনের দ্বারা ভারতবাসীকে প্রকৃত সাহিত্য শাসনের অধিকার দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের গভর্নর জেনারেল ও প্রদেশের গভর্নরের অসীম ক্ষমতা স্বায়ত্তশাসনকে প্রহসনে পরিণত করেছিল এবং আইনসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করেছিল। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় রাজন্যবর্গের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে গিয়েছিল। এইসব ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ এই আইনের সমালোচনা করেন। জহরলাল নেহেরু আইনকে “দাসত্বের এক নতুন দলিল” বলে অভিহিত করেন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহোর মতে, “এই আইনটি ছিল সম্পূর্ণ পচনশীল, মূলত নিকৃষ্ট এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য”। কংগ্রেস দল এই আইনকে “সম্পূর্ণ হতাশা জনক” এবং মুসলিম লীগ এই আইনকে “গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা ধ্বংসকারী” বলে অভিহিত করে। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের শ্রমিক দলের নেতা ক্লিমেন্ট অ্যাটলিও এই আইনের নিন্দা করে বলেন, “কংগ্রেসকে শাসন ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে এই আইন তৈরি করা হয়েছে”।
1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি ও সমালোচনার সত্ত্বেও 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন-
১)যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা-এই আইন ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে।
২)দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন-এই আইনের মাধ্যমে ভারতের দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
৩)সংবিধানের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা-স্বাধীন ভারতের সংবিধান কাঠামোটি 1935 খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইনের উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৪)প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন প্রতিষ্ঠা-এই আইনের মাধ্যমে প্রদেশ গুলিতে দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়।