ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Rate this post

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলন ও ভারতের সর্ববস্তরের মানুষ এর মিলিত আন্দোলনের ফলে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়।

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি পরিব্যাপ্ত, একত্রীভূত বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক অভিযান বা আন্দোলন যা অহিংস ও বৈপ্লবিক উভয় দর্শনের প্রচেষ্টায় এবং ভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব এবং অন্যান্য ঔপনিবেশিক প্রশাসন শেষ হয়। সাধারণ ছিল।পর্তুগিজের দ্বারা কর্ণাটকে ঔপনিবেশিক বিস্তারের শুরুতে ষোড়শ শতকে প্রথম প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল।

সপ্তদশ শতকের মধ্য ও শেষ ভাগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা উত্তর ভারতে ঔপনিবেশিক বিস্তারের প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ বিদ্রোহের আগুন জ্বালেন বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে এই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল। তারা প্রার্থনা, আবেদন-নিবেদন এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে এক মধ্য পন্থা অবলম্বন করেছিল। ফলে উনিশ শতকের প্রথম ভাগে লাল-বাল-পাল এবং শ্রী অরবিন্দ এর দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতার আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৈপ্লবিক জাতীয়তাবাদ ইন্দো-জার্মানি ষড়যন্ত্রএবং গদর ষড়যন্ত্র প্রভাব বিস্তার করছিল। যুদ্ধের শেষ প্রান্তে কংগ্রেস অহিংস আন্দোলনের নীতিমালা অবলম্বন করেছিল এবং অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিল। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র মত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরবর্তীকালে একটি বৈপ্লবিক দর্শন অবলম্বন করে আন্দোলনে করতে এসেছিলেন।

ভারত ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজশক্তির স্বায়ত্বশাসনে ছিল। তারপর ভারত একটি প্রজাতন্ত্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। পাকিস্তান ১৯৫৬ সালে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অধিকার লড়াইয়ের একটি গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছিল তার ফলে গণতন্ত্রের স্থগিতাবস্থা এসেছিল।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

1)বাংলায় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?

Ans: রবার্ট ক্লাইভ ।

2) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কবে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে।

Ans: 1765 খ্রিস্টাব্দে (এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি দ্বারা)।

3) বাংলার কোন গভর্নর জেনারেলকে ব্রিটিশ সংসদে ইমপিচ করা হয়েছিল?

Ans: ওয়ারেন হেস্টিংস কে।

4) ভারতের প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: আচার্য ধন্দ কেশব কার্ভে।

5) 1925 খ্রিস্টাব্দে কোন ভারতীয় কেন্দ্রীয় আইনসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন?

Ans: বিঠল ভাই প্যাটেল।

6) আলিপুর বোমা মামলা অরবিন্দ ঘোষের আইনজীবী কে ছিলেন?

Ans: চিত্তরঞ্জন দাশ।

7) ভারতে কার্জনের প্রশাসনকে কে ঔরঙ্গজেবের প্রশাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

Ans: গোপালকৃষ্ণ গোখলে।

8) কোন ভাইসরয়কে ভারতের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসনের জনক বলা হয়?

Ans: লর্ড রিপন।

9) 1939 সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে সভাপতির ইংরাজী ভাষণ কে পাঠ করেন?

Ans: শরৎচন্দ্র বসু।

10)মুসলিম লীগ কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ (1906 খ্রীঃ)।

11)কলকাতায় সদর দেওয়ানি আদালত কে স্থাপন করেন?

Ans: ওয়ারেন হেস্টিংস।

12)পাঁচসালা বন্দোবস্ত ও একসালা বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?

Ans: ওয়ারেন হেস্টিংস।

13)রায়তওয়ারি ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?

Ans: স্যার টমাস মুনরো(1820 খ্রীঃ)

14)মহলওয়ারি ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?

Ans: এলফিনস্টোন(1822খ্রীঃ)

15)চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?

Ans: লর্ড কর্ণওয়ালিস(1793খ্রীঃ)

16)ভারতে নিহত একমাত্র ব্রিটিশ ভাইসরয়ের নাম কী?

Ans: লর্ড মেয়ো।

17)আধুনিক পাঞ্জাবের জনক কাকে বলা হয়?

Ans: লর্ড ডালহৌসিকে।

18)অ্যাকওয়ার্থ কমিটি কবে গঠিত হয়?

Ans: 1919 খ্রীঃ(রেলপথের সম্প্রসারণ ও রেল প্রশাসন সংস্কারের উদ্দেশ্যে)।

19)1916 খ্রীঃ কার নেতৃত্বে শিল্প কমিশন গঠিত হয়?

Ans: টমাস হল্যান্ড।

20)চিলিনওয়ালার যুদ্ধ কবে হয়েছিল?

Ans: 1849 খ্রীঃ(ইংরেজ ও শিখ)।

21)কে ভারতে সর্বপ্রথম “বিভাজন ও শাসন নীতি” কার্যকর করেন?

Ans: জন লরেন্স।

22)কোন দল ক্রীপস প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়?

Ans: Radical Democratic Party.

23)ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় পশ্চিমবঙ্গের কোথায় জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: মেদিনীপুরের তমলুক ও দিনাজপুরের বালুরঘাট।

24)”সি.আর.ফর্মূলা” কবে প্রকাশিত হয়?

Ans: 1944খ্রীঃ।

25)ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি কে ছিলেন?

Ans: জে.বি.কৃপালিনী।

Leave a Comment