পরিনত মৃত্তিকা ও অপরিণত মৃত্তিকা সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য: পরিণত মাটি: মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া যখন দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে এবং প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসে, তখন যে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় তাকে পরিণত মৃত্তিকা বলে। যেমন – পডসল, ল্যাটেরাইট, চারনোজেম মৃত্তিকা। এক্ষেত্রে মৃত্তিকা গঠনকারী প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসে ।পরিনত মৃত্তিকা গুলি দৃঢ় ও সুসংবদ্ধ হয়। পরিণত মৃত্তিকায় আদি শিলার চিহ্ন থাকে না। এই প্রকার মাটি গুলি সুস্পষ্ট স্তর বিশিষ্ট হয়। মাটির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম গুলি প্রায় স্থিতিশীল। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে অপরিণত মৃত্তিকা পরিণত অবস্থায় পৌঁছায়।
অপরিণত মাটি: মৃত্তিকা গঠনের কাজ সম্পন্ন না হলে, সেই মৃত্তিকা গুলিকে অপরিনত মৃত্তিকা বা কঙ্কালসার মৃত্তিকা বলে। এই মৃত্তিকা গঠনকারী প্রক্রিয়ার কাজ অসম্পন্ন থেকে যায়। অপরিনত মৃত্তিকা ভঙ্গুর এবং আলগা হয়। এই মৃত্তিকা আদি শিলার চিহ্ন বহন করে। মৃত্তিকার স্তর গুলি সুস্পষ্ট ভাবে গড়ে ওঠে না। অপরিণত মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম গুলি পরিবর্তনশীল।
পরিনত মৃত্তিকা বৈশিষ্ট্য
মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া যখন দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে এবং প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসে, তখন যে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় তাকে পরিনত মৃত্তিকা বলে। যেমন – পডসল, ল্যাটেরাইট, চারনোজেম মৃত্তিকা। পরিনত মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য গুলি হল –
১. এক্ষেত্রে মৃত্তিকা গঠনকারী প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসে ।
২. পরিনত মৃত্তিকা গুলি দৃঢ় ও সুসংবদ্ধ হয়।
৩. পরিনত মৃত্তিকায় আদি শিলার চিহ্ন থাকে না।
৪. এই প্রকার মাটি গুলি সুস্পষ্ট স্তর বিশিষ্ট হয়।
৫. মাটির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম গুলি প্রায় স্থিতিশীল।
৬. দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে অপরিণত মৃত্তিকা পরিনত অবস্থায় পৌঁছায়।
অপরিণত মৃত্তিকা বৈশিষ্ট্য
মৃত্তিকা গঠনের কাজ সম্পন্ন না হলে, সেই মৃত্তিকাগুলিকে অপরিনত মৃত্তিকা বা কঙ্কালসার মৃত্তিকা বলে। অপরিণত মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
১. মৃত্তিকা গঠনকারী প্রক্রিয়ার কাজ অসম্পন্ন থেকে যায়।
২. অপরিনত মৃত্তিকা ভঙ্গুর এবং আলগা হয়।
৩. এই মৃত্তিকা আদি শিলার চিহ্ন বহন করে।
৪. মৃত্তিকার স্তর গুলি সুস্পষ্ট ভাবে গড়ে ওঠে না।
৫. অপরিণত মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম গুলি পরিবর্তনশীল।