থমাস চার্লস হোপ জীবনী: gksolve.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Thomas Charles Hope Biography in Bengali. আপনারা যারা থমাস চার্লস হোপ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থমাস চার্লস হোপ এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।
থমাস চার্লস হোপ কে ছিলেন? Who is Thomas Charles Hope?
থমাস চার্লস হোপ (২১ জুলাই ১৭৬৬ – ১৩ জুন ১৮৪৪) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বৃটিশ চিকিৎসক, রসায়ন বিজ্ঞানী এবং অধ্যাপক। তিনি স্ট্রনশিয়াম নামে এক নতুন মৃৎক্ষার ধাতু আবিষ্কার করেন। তার নামাঙ্কিত পরীক্ষা হোপস্ এক্সপেরিমেন্ট-এর মাধ্যমে দেখান যে, ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় জলের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।
থমাস চার্লস হোপ জীবনী – Thomas Charles Hope Biography in Bengali
নাম | থমাস চার্লস হোপ |
জন্ম | 21 জুলাই 1766 |
পিতা | জন হোপ |
মাতা | জুলিয়ানা (নী স্টিভেনসন) |
জন্মস্থান | এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেনের রাজ্য |
জাতীয়তা | স্কটিশ |
পেশা | চিকিৎসক, রসায়ন বিজ্ঞানী এবং অধ্যাপক |
মৃত্যু | 13 জুন 1844 (বয়স 77) |
থমাস চার্লস হোপ এর জন্ম: Thomas Charles Hope’s Birthday
থমাস চার্লস হোপ ২১ জুলাই ১৭৬৬ জন্মগ্রহণ করেন।
শীতপ্রধান দেশে দেখা যায় সাগর, নদী, হ্রদ, খাল, বিলের জল জমে বরফ হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যায় সেই বরফের তলায় থাকে উষ্ণ জল। সেখানে জলচর প্রাণীরা স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকতে পারে। এমনটা হয় কি করে ? এই অদ্ভুত ব্যাপারটি বিজ্ঞানের যে সূত্রের কারণে সম্ভব হয় তা আবিষ্কার করেছিলেন ইংরাজ পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানী চার্লস হোপ। বিজ্ঞানের এই সত্য আবিষ্কারের গৌরবই তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। হোপ আবিষ্কার করেছিলেন ৪° সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় জলের ঘনত্ব সর্বাধিক।
এই সত্যটি আবিষ্কার করার পর তিনি তা বোঝাবার জন্য যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তা এ রকম: শীতপ্রধান দেশে ‘ প্রবল ঠান্ডার সময়ে নদী কিংবা সাগরের জল ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে শীতল হয়। শীতল জল অপেক্ষাকৃত ভারী বলে সেই জল জলাশয়ের তলায় চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিচের উষ্ণ জল ওপরে উঠে আসে। ওপরের জলও একসময় শীতলতা লাভ করে নিচে চলে যায় এবং তল দেশের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ জল ওপরে চলে আসে। এইভাবে একটা পরিচলন স্রোত চলতে চলতে জলাশয়ের তলদেশের জল ৫° সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় চলে আসে। অন্যান্য তাপমাত্রার জলের তুলনায় ৪° সেন্টিগ্রেড জল অপেক্ষাকৃত ভারী।
ফলে সেই জল ওপরে উঠতে পারে না এবং তার তাপও বজায় থাকে। সেই অবস্থায় ওপরের জল স্থিতাবস্থা লাভ করে ক্রমে শীতল হতে থাকে এবং ০° সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে জমে বরফ হয়ে যায়। জলাশয়ের তলদেশের জল ০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় নেমে আসতে পারে না। ফলে তা আর বরফ হয় না, জলই থেকে যায়। চার্লস হোপ এই সত্যটি আবিষ্কার করে বিজ্ঞানের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
থমাস চার্লস হোপ এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Thomas Charles Hope’s Parents And Birth Place
১৭৬৬ খ্রিঃ এডিনবরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন চার্লস হোপ। তাঁর ছাত্রজীবন ছিল গৌরবময়। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ছাত্রাবস্থাতেই বিজ্ঞানের কয়েকটি মৌলিক তথ্য আবিষ্কার করে প্রশংসা লাভ করেছিলেন।
থমাস চার্লস হোপ এর কর্ম জীবন: Thomas Charles Hope’s Work Life
১৭৮৭ খ্রিঃ তিনি গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তখন তার বয়স মাত্র বাইশ বছর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে হোপ রসায়ন বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন। এই সময় তিনি স্টনসিয়াম নামে একটি নতুন ধাতু আবিষ্কার করেন। অজ্ঞাতপূর্ব স্টনসিয়াম সম্বন্ধে দীর্ঘ গবেষণার পর হোপ এই ধাতু বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিতে সক্ষম হন। এই আবিষ্কার তাঁকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসায়ন বিজ্ঞানীর সম্মান দান করে।
গবেষণাকার্যের সুবিধার জন্য ১৭৯৫ খ্রিঃ হোপ গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এখানে তিনি হলেন রসায়নের সহকারী অধ্যাপক। চারবছর পরেই ১৭৯৯ খ্রিঃ রসায়ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপকের পদ লাভ করেন। এডিনবরায় অবস্থান কালেই তিনি জলের ব্যাতিক্রান্ত প্রসারণ তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন। ১৮৪৩ খ্রিঃ হোপ কর্মক্ষেত্রে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছিল।
থমাস চার্লস হোপ এর মৃত্যু: Thomas Charles Hope’s Death
একবছর পরেই ১৮৪৪ খ্রিঃ সাতাত্তর বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান হয়।